সুন্দর এবং স্বচ্ছ প্রাকৃতিক কিছু ফটোগ্রাফি।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ০৭ জুলাই , সোমবার , ২০২৫খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে থাকি। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। ফটোগ্রাফি একটি আর্ট। আর আমি ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আপনারা যারা আমার পোস্টে দেখেন তারা জানেন আমি সবসময় আপনাদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের ফুল এবং প্রকৃতির ফটোগ্রাফি তুলে ধরার চেষ্টা করি। আজকেও কিছু প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছি। আসলেই আমাদের বাংলার প্রকৃতি যে এত সুন্দর সেটা প্রাণ ভরে উপলব্ধি না করতে পারলে বুঝতেই পারতাম না। চলুন তাহলে আমার ক্যাপচার করা কিছু ফটোগ্রাফি দেখে নেওয়া যাক।
ফটোগ্রাফি নং-১
আমার প্রথম ফটোগ্রাফিতে রয়েছে আকাশ এবং সবুজ প্রকৃতির মিলিত একটি ফটোগ্রাফি। এখন বর্ষাকাল চলছে। এ সময় কখনো বৃষ্টি আবার কখনো বৃষ্টি পর এরকম স্বচ্ছ সুন্দর পরিষ্কার আকাশের দেখা পাওয়া যায়। বৃষ্টির পরে যখন আকাশ এরকম নীল থাকে মাঝে মাঝে সাদা মেঘগুলো যেন পাল্লা দিয়ে চলতে থাকে। মনে হয় ওই যেন মেঘ খসে পড়বে। প্রকৃতির ষষ্ঠ সতেজ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। এই সতেজদা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভিড়ে বসে থাকতে অসম্ভব রকমের ভালো লাগে। আমি তো এই দৃশ্যগুলো ভীষণভাবে ইনজয় করি। প্রকৃতির আসল সৌন্দর্য যেন এখানেই থমকে গেছে। দেখতে কতটা সুন্দর লাগছে। আমি আকাশ ভীষণ ভালোবাসি। এরকম আকাশে নিচে বসে মনে হয় যেন দিনের পর দিন কাটিয়ে দিন।
ফটোগ্রাফি নং-২
আমার এই ফটোগ্রাফি তে রয়েছে সাদা মেঘের ফটোগ্রাফি। কিছুক্ষণ আগে বললাম আমি আকাশ ভীষণ পছন্দ করি। সেদিন বৃষ্টির পরে দুপুর থেকে বেশ ভালো রোদ উঠেছিল। বিকেলবেলা যেন চারিপাশটা অসম্ভব রকমের ভালো লাগছিল। জানালা দিয়ে আকাশের এই সুন্দর দৃশ্য দেখে আর তর সইলো না। তখনই চলে গেলাম ছাদে। ছাদে গিয়ে আকাশের বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে ফটোগ্রাফি করেছিলাম। এটা হল কাঠগোলাপ পাতার উপর দিয়ে তোলা মেঘের সচিত্র। মনে হচ্ছিল যেন মেঘগুলা কাঠ গোলাপ ফুলের পাতার উপরেই বসে আছে। কত সুন্দর মেঘ মনে হচ্ছে যেন এখনই খসে পড়বে। কি যে ভালো লাগে এরকম প্রকৃতি বলে বোঝাতে পারবো না। সময় হলে স্নিগ্ধ হাওয়ায় বসে এক কাপ চা হাতে দূর আকাশে তাকিয়ে এরকম প্রকৃতি উপলব্ধি করে দেখবেন। মনে হবে এই সৌন্দর্যের উপরে যেন আর কিছুই নেই।
ফটোগ্রাফি নং-৩
এই ফটোগ্রাফি তে রয়েছে নয়ন তারা ফুলের ফটোগ্রাফি। আমাদের ছাদে অনেক নয়ন তারা ফুলের গাছ রয়েছে। প্রত্যেকটি না তারা ফুল এই রঙের। এরকম সুন্দর নীল আকাশের নিচে হাওয়ার তালে যখন নয়নতারা ফুলগুলো দুলছিল দেখেই চোখের শান্তি লাগছিল। আসলেই চোখের শান্তি। তখন আর ফটোগ্রাফি না করে থাকতে পারলাম না। নয়নতারা ফুল এমনিতেও আমি অনেক পছন্দ করি। আমার মনে হয় কমবেশি সকলেই নয়নতারা ফুল পছন্দ করে থাকে।
ফটোগ্রাফি নং-৪
আমার এই ফটোগ্রাফিতে রয়েছে রামধেনু বা রংধনুক। সচরাচর আমরা পড়েছি বৃষ্টির পর স্বচ্ছ আকাশে এরকম সাত রাঙা রংধনুকের দেখা পাওয়া যায়। অনেকদিন পর সেদিন আকাশের রংধনু দেখতে পেলাম। হঠাৎ করে বসে বসে যখন দূর আকাশে তাকিয়ে ছিলাম তখন যেন চোখটা ওই রংধনুকে গিয়ে আটকে গেল। শেষ কবে রংধনক দেখেছি মনেই পরেনা। সেদিনই হঠাৎ দেখা পেলাম। সাত রং দেখতে পায়নি তবে বেশ কয়েকটি রং স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। চারিপাশে সাদা মেঘে ঢাকা আর মাঝখানে দিয়ে এই সুন্দর রাঙা রংধনু দেখে মনটা একেবারে জড়িয়ে গেল। আসলেই প্রকৃতি কত সুন্দর।
ফটোগ্রাফি নং-৫
এই ফটোগ্রাফিতে রয়েছে পূর্ণিমার রাতের চাঁদের সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি। চাঁদ আমি ভীষণ পছন্দ করি। শুধু আমি না আমার মনে হয় অনেকেই চাঁদ ভীষণ পছন্দ করে। এই ফটোগ্রাফি আমি বাড়ি থেকে করেছিলাম। চাঁদ বিশেষ করে গ্রামের বাড়িতে আমার বেশি ভালো লাগে। রাত একটু হতেই যখন গ্রাম স্তব্ধ হয়ে যায় তখন ওই সুন্দর চাঁদের আলো বাড়ির উঠানে এসে পড়ে। চারিদিকটা কেমন ঝকঝকে হয়ে ওঠে। ওই ঝকঝকে আলোর মাঝে সুন্দর চাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকতে অসম্ভব রকমের ভালো লাগে। আমি প্রকৃতি খুব ভালোবাসি। তাই তো থাকতে চাই প্রকৃতির খুবই কাছাকাছি।
ফটোগ্রাফি নং-৬
এটি একটি বৃষ্টিস্নাত দিনের কুষ্টিয়া এমএস রোডের ফটোগ্রাফি। কুষ্টিয়ার মধ্যে এন এস রোড অনেক সুন্দর। তবে এখন আবার এমএস রোডের থেকে কুষ্টিয়া ঝিনেদাহ মহাসড়ক দেখতে বেশি ভালো লাগে। সেদিন বৃষ্টির পর হরিপুর থেকে আসার সময় কুষ্টিয়া এন এস রোড দেখতে ভীষণ ভালো লাগছে না। তখনই ফোনটা বের করে ফটোগ্রাফি করে রাখলাম। বৃষ্টি ভেজা রাস্তায় হাঁটতে বেশ ভালই লাগে। যদিও আমি রিকশায় আসছিলাম তারপরেও রাস্তা দেখতে ভীষণই ভালো লাগছিল। বৃষ্টির পরে এমনিতেও চারিপাশটা ঝকঝকে এবং সৌন্দর্য ভরে ওঠে।
ডিভাইস:গুগল পিক্সেল ৭প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেলো
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে। আপনি অনেক সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করেছেন। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মত। অনেক ভালো লাগলো আপু।
বেশ দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন আজকে। ফটোগ্রাফি কোয়ালিটি যদি সুন্দর হয় তাহলে ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আকাশের এবং তারা ফুলের ফটোগ্রাফিটা অনেক ভালো লাগলো। কোয়ালিটি ফুল ফটোগ্রাফি করার জন্য ধন্যবাদ।