প্রকৃতির মাঝে শুক্রবার
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে মোটামুটি ভালো আছি। গত দুদিন ধরে নীলফামারীতে মাত্রা অতিরিক্ত গরম পড়ছে। গত কয়েকদিন ধরে যে পরিমাণে গরম পড়ছিল তার সবথেকে বেশি মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে আজকে। আজকে প্রায় আনুমানিক গড় তাপমাত্রা ছিল 49 ডিগ্রী সেলসিয়া। বিষয়টা অনেকের কাছেই হাস্যকর বলে মনে হবে কিন্তু এটাই সত্য। কারণ বর্তমানে ৩৬° সেলসিয়াস থাকার পরেও অনুভব হচ্ছে প্রায় 49 ডিগ্রি সেলসিয়াস।
যাইহোক আজকের দিন টা অনেকটাই ব্যস্ততম কেটেছে এবং অনেকটাই কষ্টকর কেটেছে বটে। বিশেষ করে দুপুরবেলার রোদের তাপমাত্রায় এতটাই বেশি ছিল যদি রোদের স্পর্শে আমাদের কোন শরীরের অংশ লাগে তাহলে সেটা একদম জ্বলে যাচ্ছিল। যেটা আসলে অনেকটাই মরুভূমি অঞ্চলে হওয়ার কথা সেটা বর্তমানে আমাদের এই উত্তরাঞ্চলে হচ্ছে, অবস্থা একেবারে ভয়াবহ। যেহেতু সারাদিন বাসায় ছিলাম সেহেতু বিষয়গুলো আরো বেশি খারাপ লাগছিল। বাসায় ঘরের মধ্যে আরও বেশি গরম লাগছিল। তাই চিন্তাভাবনা করেছিলাম বিকেল বেলা বাহিরে কোথাও যাব এবং সেখান থেকে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করব এবং খোলামেলা জায়গায় গেলে একটু শীতল বাতাস যদি অনুভব করা যায়।
এটাই মনে মনে একটু পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম। এছাড়াও আমার মামার কাছ থেকে বাইকটাও আজকে ধার নিয়েছিলাম। যদিও বাইক চালাতে খুব একটা বেশি পারি না। তাই বাইক নিয়ে একটু চালানো শিখার চেষ্টা করছিলাম এবং সেই সাথে সাথে আশেপাশে একটু ঘোরাঘুরিও করা হবে, এই এমনটাই চিন্তাভাবনা করে রেখেছিলাম। পরিকল্পনা ছিল রোদ একটু কমলে পরবর্তীতে বিকেলের পরে এবং সন্ধ্যার আগে সময়টাকে বের হবো। ঠিক যেমনটা ভেবেছিলাম ঠিক তেমনভাবেই আজকে বেরিয়ে ছিলাম। তবে বের হওয়ার সময় অনেকটা দোয়া দরুদ পড়েই বের হয়েছিলাম। যদিও আমি খুব একটা বেশি বাইক চালাতে পারি না এবং বাইক চালানোর নতুন নতুন শিখছি তাই একটা আলাদা ভয়ও কাজ করে, আবার কোথায় যাব সেই বিষয়টাও ভেবে পাচ্ছিলাম না।
পরবর্তীতে মাথায় আসলো আমাদের নীলফামারী শহর থেকে অনেক কাছেই একটি মাজার রয়েছে, যেটাকে অনেকেই কুন্দু পুকুর মাজার নামে চিনে থাকে এবং সেই জায়গাটা অনেকটা গ্রামের মধ্যে এবং রাস্তাটা অনেক ভালো। যেহেতু তেমন কোন যানজট নেই এবং গ্রামের রাস্তা এবং পরিবেশটা অনেক চমৎকার তাই সিদ্ধান্ত নিলাম সেখানেই যাব। আমার বাসা থেকে সেখানে যেতে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট সময় লাগে বাইকে করে। আস্তে আস্তে বাইক চালাতে চালাতে সেখানে গিয়ে পৌঁছলাম এবং সেখানকার পরিবেশটা সত্যি অমায়িক ছিল। সূর্য একেবারেই মেঘের ভিতরে ঢুকে গিয়েছিল এবং সন্ধ্যা হবে হবে এমন একটি পরিবেশ বিরাজ করছিল। সেই সাথে শীতলতারও একটু ছোঁয়া পেয়েছি। তবে সেখানে বেশি সময় আমি স্থায়ী হইনি। কারণ সন্ধ্যার পর জায়গাটা অনেকটা খারাপ হয়ে যায়। কারণ অনেক গ্রামের ভিতরে তো তাই নিজেরও একটু সেফটির বিষয়ে রয়েছে।
তবে সারাদিন এই অসহ্য গরমের পরে একটু শীতলতা খুঁজে পেয়েছিলাম। এটাই অনেক এবং সেই শীতলতার পিছনের মূল কারণ হচ্ছে কুন্দু পুকুরের বিশাল বড় একটি ডিগ্রী রয়েছে এবং চারপাশে প্রচুর গাছপালা রয়েছে যার কারণে এত গরমের মধ্যেও সেই জায়গাটা অনেক শীতল পরিবেশ বিরাজ করছিল। যাইহোক আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং এই সময়টাতে নিজেসহ নিজের পরিবারের সকলকে অনেক সাবধানে রাখবেন, ধন্যবাদ সকলকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: প্রকৃতির মাঝে শুক্রবার
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......
আজকে যা গরম পড়েছে সেটা আসলে একদম অতিরিক্ত মাত্রায় বিশেষ করে সূর্যের তাপমাত্রা আজকে অত্যাধিক পরিমাণে ছিল মনে হয় আধাঘন্টা কোন মানুষ যদি আজকের গরমে রোদে দাঁড়িয়ে থাকতো তাহলে সে এমনিতেই মাথা ঘুরে পড়ে যেত যাই হোক ঘোরাঘুরি করার জন্য সঠিক সময়টি নির্বাচন করেছিলেন সেই সাথে আপনার অনুভূতি ও জেনে ভালো লাগলো।