ভ্যানিশিং ম্যান নাটকের রিভিউ।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
ভ্যানিশিং ম্যান নাটকের রিভিউ। |
---|
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য |
---|
নাটকের নাম | ভ্যানিশিং ম্যান |
---|---|
পরিচালক | শেখ নাজমুল হুদা ইমন |
অভিনয় | জিয়াউল হক পলাশ, সাফা কবির সহ আরো অনেকে |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ১৮ জুন ২০২৪ |
প্রথমে নায়ককে দেখানো হয়। সে বসে বসে একটি ওষুধ তৈরি করছিল এবং সে সবসময় বিভিন্ন ধরনের ওষুধ তৈরি করত যা হারবাল ওষুধ হিসেবে পরিচিত ছিল৷ সে এটি তার নিজ হাতে তৈরি করত। বিভিন্ন ধরনের ফর্মুলা মিক্স করে সে এটি তৈরি করত৷ যার ফলে সে নিজে প্রথমে চেক করতো৷ তারপরে মানুষজনদেরকে দিত। সবসময় সে এই কাজই করতো৷ এভাবেই তার ব্যবসা অনেকদিন যাবত চলতে থাকে৷ এভাবে যখন সে অনেকদিন যাবত এই ব্যবসা করে তখন একদিন হঠাৎ করে সে এমন একটি ফর্মুলা ব্যবহার করে সেই ওষুধটি যখন সে তৈরি করে তখন সে দেখতে পায় যে তার শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলো ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছে৷ এই বিষয়টি সে ভালোভাবে যখন বুঝতে পারে তখন সে এর অপব্যবহার করতে শুরু করে দেয়৷ সে মাদক দ্রব্যের সাথে লিপ্ত হয়ে যায় এবং সে এখন মাদক পাচার করতে থাকে৷
তার বাসার সামনে প্রতিদিনই পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকতো৷ পুলিশরা সবাইকে সেখান দিয়ে চেক করতো৷ নায়ক যখন একেবারে অদৃশ্য হয়ে সেখানে চলে যেত তখন পুলিশ তাদেরকে দেখতে পারত না৷ একদিন যখন সে একেবারে হাসতে হাসতে সেখানে পুলিশের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল তখন এখানে দেখানো হয় যে তাকে পুলিশ দেখে নেয় এবং তাকে ধরে ফেলে৷ তার ব্যাগ চেক করার পরে তারা সেখানে মাদকদ্রব্য পায় এবং সেই মাদকদ্রব্য পাওয়ার পরে তাকে জেলে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সে সেখানে অনেকদিম জেলে থাকে৷ জেল থেকে বেরিয়ে আসার পরে সে আল্লাহর কাছে একেবারে ভালোভাবে মাপ চেয়ে নেয়৷ সে বলে যে সে আর কোন ধরনের অনৈতিক কাজ করবে না এবং সে অনেক ভালো জীবন যাপন করবে৷ সে এই সকল মাদকদ্রব্যের সাথে সংযুক্ত হবে না৷ তবে কিছুদিন পর আবারও সে তার আগের পথেই ফিরে আসে৷ সে মাদকদ্রব্য পাচারের জন্য তার যে অদৃশ্য হওয়ার ওষুধ ছিল সেটি তৈরি করতে থাকে৷
এর পরবর্তীতে সেখানে নায়িকার সাথে তার অনেক ধরনের কথাবার্তা হয় এবং নায়কের সাথে তার ভালোবাসার সম্পর্ক অনেক ভালোভাবে এগিয়ে যেতে থাকে৷ সেখানে নায়িকার বিয়ে ঠিক হওয়া যাওয়ার যে মুহূর্ত সৃষ্টি হয়ে গিয়েছিল তখন নায়িকা বলে যে, সে নায়ককে বিয়ে করবে৷ অন্য কাউকে সে বিয়ে করবে না৷ এর পরবর্তীতে দেখানো হয় যে নায়কের বাসার পাশে একটি বাসা ছিল যেখানে দুজন মেয়ে থাকত। তারা তাদের সাথে একটি বিড়ালও রেখেছিল৷ সেই বিড়াল নায়কের ওষুধ তৈরি করার কারখানায় সব সময় ডিস্টার্ব করত৷ এখন যেহেতু তারা চলে যাচ্ছে নায়ক মনে মনে একটু খুশি হচ্ছিল৷ তাদের চলে যাওয়াতে একটু লোক দেখানো কষ্ট সে প্রকাশ করছিল৷ এর পরবর্তীতে যখন যে আবারও সেই ওষুধ তৈরি করে খায় এবং সে আবারও মাদকদ্রব্য পাচারের জন্য বাসা থেকে বের হয়ে আসে তখন পুলিশের সামনে সে ভালোভাবে হেঁটে যাচ্ছিল৷ পুলিশও একটু ভান করেছিল যে তারা তাকে দেখতে পাচ্ছে না৷ তবে কিছুক্ষণ পরে তাকে ধরে নেয় এবং এর কিছুক্ষণ পরে তাকে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়ার মুহূর্তেই নায়িকা সেখানে চলে আসে৷ নায়িকা আসার পরে যখন সেখানে দেখতে পায় যে সে মাদক পাচারের জন্য এখানে অ্যারেস্ট হয়েছে তখন পুলিশ তাকে বলে যে সে যেন এখান থেকে চলে যায়৷ তার ভাগ্য ভালো হওয়ার কারণে এরকম একজন খারাপ মানুষের সাথে তার বিয়ে হয়নি৷ এভাবেই নাটকটি শেষ হয়ে যায়৷
আমার ব্যক্তিগত মতামত।
খুব সুন্দর একটি নাটকের মধ্যে যেভাবে এত সুন্দর কিছু বিষয়কে শেয়ার করা হয়েছে তা একেবারে বাস্তবতার সাথে অনেকটাই মিল রেখেছে বলে আমি মনে করি৷ প্রথমে যখন নাটক শুরু হয় এবং এখানে নায়ক যখন তার ভ্যানিশিং ওষুধ তৈরি করে ফেলে এবং সেটি যখন সে অপব্যবহার করতে শুরু করে দেয় কিছুদিন যাবৎ সেটির অপব্যবহার সে করতে পেরেছিল৷ তবে কিছু সময় পর যখন সে আর কোনোভাবে একই ওষুধ আর তৈরি করতে পারছিল না তখন সে বারবার ধরা খেয়ে যাচ্ছিল৷ সে বারবার যখন এখানে ধরা খেয়ে যাচ্ছিল তখন পুলিশও তাকে আর কোন ভাবে ছাড় দিতে রাজি ছিল না। এর পরবর্তীতে একেবারে শেষ মুহূর্তে তাকে একেবারে ভালোভাবে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়৷ তার সাথে নায়িকার বিয়ে হওয়ার কথাটাও আর সফল হয় না৷ কারণ নায়িকা সেখানে বিয়ে করার দিনে নায়ককে আবারো পুলিশে ধরে নিয়ে যায়৷ এরপর নায়িকাও সেখানে থেকে যায়৷ এর পরবর্তীতে সেখানে বাস্তব জীবনেও কিছু কিছু পদ্ধতি অথবা কিছু মাধ্যম আমাদের জীবনে চলে আসে৷ যা আমরা সৎ পথে ব্যবহার করার চেয়ে অসৎ পথে বেশি ব্যবহার করি। আর অসৎ পথে ব্যবহার করলে সে জিনিস আমাদের কাছে বেশিদিন থাকে না।
আমার ব্যক্তিগত মতামত অনুসারে নাটকের রেটিংঃ |
---|
৯.৮/১০
সমাপ্ত
ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি।আগামিতে অন্য কোন নাটকের রিভিউ নিয়ে আবারও হাজির হবো।ভালো থাকবেন সবাই।আর কষ্ট করে রিভিউটি যারা পড়ছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক।
VOTE @bangla.witness as witness
OR


ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | নাটক রিভিউ । |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
🙏✅🙏✅
আপনি অনেক সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।যদিও নাটক টি দেখা হয়নি। তবে নাটকের রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আমার কাছে পলাশের অভিনয় অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
এরকম সুন্দর সুন্দর নাটকগুলো দেখতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। আর যখনই সময় পাই তখনই নাটক দেখার জন্য চেষ্টা করি। আজকে আপনি দারুন একটা নাটকের রিভিউ নিয়ে সবার মাঝে হাজির হয়েছেন। পুরো কাহিনীটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ রিভিউ টা শেয়ার করার জন্য।
নাটকের রিভিউ যদি পড়া হয়, তাহলে নাটক আর দেখা লাগে না। কারণ রিভিউর মাধ্যমে নাটকের পুরো কাহিনীটা সুন্দরভাবে জেনে নেওয়া যায়। সবাই অল্প সময়ের মধ্যে এই নাটকটার রিভিউ পোস্ট পড়ে নাটকের পুরো কাহিনীটা জেনে নিতে পারবে। আশা করছি আপনি এরকম সুন্দর সুন্দর নাটকগুলো রিভিউ আমাদের মাঝে প্রতিনিয়ত শেয়ার করে যাবেন। এটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জিয়াউল হক পলাশের অভিনয় আমার খুব ভালো লাগে। পলাশের বেশিরভাগ নাটক আমার দেখা হয়েছে। তবে এই নাটকটি এখনো দেখা হয়নি। যাইহোক এই নাটকের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।