^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।}

^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।}

^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।}

^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।}

আজকে আমি আপনাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে চলে আসলাম৷ প্রথমে নাটকটি শুরু হয় এবং এখানে নায়িকাকে এবং নায়ককে দেখানো হয়৷ তারা দুজনে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল৷ তারা দুজনে অনেক সুন্দর জীবন যাপন করছিল৷ তবে কোনভাবেই নায়িকা নায়কের প্রতি সন্তুষ্ট ছিল না৷ কারণ নায়ক সবসময়ই সৎ পথে টাকা উপার্জন করত। যার ফলে সে কোনভাবেই কোন ধরনের অনৈতিক কাজ করত না৷ সব সময় সৎ পথে টাকা উপার্জন করত৷ নায়ক অনেক সৎ ব্যক্তি ছিল৷ সে কোনদিনও কোন ধরনের অনৈতিক কাজ করার পক্ষেও ছিল না৷ তার বস যখন তাকে বিভিন্ন ধরনের চাপ দিত তখন সে তার বসকে এক কথায় বলে দিত সে যদি এখানে অনৈতিক কাজ করার জন্যই তাকে বসায় তাহলে সে এখান থেকে চলে যাবে। সে কোন প্রকারের বেয়াইনি ফাইলের মধ্যে সাইন করবে না৷ যদি সে কোন ধরনের কাজ করে তাহলে কোন ভাবেই সে তার নিজের সম্মানবোধ পাবে না৷ সে কোনভাবে নিজেকে মানুষ হিসেবেও মনে করতে পারবে না৷ এর পরবর্তীতে নায়িকা যখন সবসময় নায়কের কাছ থেকে টাকা আশা করতে থাকে এবং অবৈধ পথে টাকা উপার্জন এর জন্য সে বলতে থাকে তখন নায়ক কোনভাবেই এই কাজটি করে না৷ তখন নায়িকা তার বাবাকে বলে এবং তার বাবার কাছ থেকে অনেক বেশি পরিমাণে টাকা তার নিজের কাছে নিয়ে আসে।

^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।}

^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।}

^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।}

তার বাবা অবৈধ কাজের রাজা ছিল এবং সে সবসময় অবৈধ কাজ করত। অবৈধ কাজের মধ্য দিয়ে সে অনেক টাকা তার কাছে রেখে দিয়েছে। সে তার টাকার গরম সবসময় দেখাতে থাকে। নায়কের উপরেও সে তার টাকার গরম দেখাতে থাকে। অনেক সময় সে যখন নায়িকার সাথে দেখা করার জন্য আসে তখন সেখানে সে টাকার গরম দেখাতে থাকে। সে সেখানে কোন ধরনের কথাবার্তা নায়কের সাথে বলার চেষ্টা করে না৷ নায়ক কথা বললেও কোনভাবে সে সঠিক উত্তর দিতে চায় না। এভাবেই অনেক সময় চলে যেতে থাকে। নায়িকা যখন এই টাকা নিয়ে আসে এবং তার বিছানার মধ্যে সাজিয়ে রাখে এবং এর টাকা নিয়ে অনেক আনন্দ উল্লাস করতে থাকে তখন নায়ক তাকে বলেছিল যে এই দুই নাম্বারের টাকা দিয়ে কোনভাবে সে সুখ খুঁজে পাবে না। এর কিছুদিন পরেই দেখা যায় যে নায়িকার বাবা অবৈধ কাজের জন্য ধরা পড়ে গিয়েছে। তাকে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অর্ডার চলে এসেছে। এরপর নায়িকা কি করবে কিছুই বুঝতে পারছিল না৷ কারণ তার বাবা এত বেশি টাকা অনৈতিকভাবে টাকা অর্জন করেছিল যে তার টাকার হিসাব তার নিজের কাছেও নেই৷ সে যখন টাকাগুলো দিয়ে মানুষের সম্পদ আত্মসাৎ করত এবং মানুষকে অনেক ধরনের অত্যাচার নির্যাতন করত তখনই সে বিভিন্ন ধরনের মামলার শিকার হয় এবং শেষ পর্যন্ত সে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।

^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।}

^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।}

^{ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।}

এরপর একদিন রাতের বেলা তার বাবা এবং তার বাবার অ্যাসিস্ট্যান্ট নায়িকার বাড়িতে আসে এবং সেখানে নায়িকার কাছে কিছু খাবার চাইতে থাকে৷ এর পরবর্তীতে যখন নায়িকা তাকে খাবার দিতে থাকে এবং সবকিছু করতে থাকে তখন তারা সেখানে লুকিয়ে অনেক কিছুই তাদেরকে বলতে থাকে৷ তিনি তার মেয়ের জামাইকে বলেন সে তার পথে সঠিক ছিল৷ সে কোনভাবে কোন ধরনের অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়নি৷ যার ফলে সে এখন মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারছে৷ তবে এখন নায়িকার বাবা অনৈতিক কাজগুলো করার কারণে তিনি এত বেশি পরিমাণে অনৈতিক কাজ করে ফেলেছেন৷ এখন তিনি যেদিকেই যান না কেন সেদিকেই তার বাঁচার কোন সুযোগ নেই। এর পরবর্তীতে পুলিশ তাকে ধরে নেয়৷ সেখানে জেলের মধ্যে বন্দি করে দেয়৷ তিনি সেখানে অনেক কান্নাকাটি করতে থাকে। এর পরবর্তীতে নায়িকাকেও দেখানো হয়। সেও অনেক কান্নাকাটি করতে থাকে। সে বলে যে সে এতদিন যাবত তার বাবার টাকার গরমে অনেক বেশি লোভী হয়ে গিয়েছিল। তার স্বামীর যে নৈতিকভাবে উপার্জন করা টাকা রয়েছে সেগুলোর মর্ম সে কোনভাবেই বুঝতে পারেনি। এর পরবর্তীতে নায়ক যে টাকাগুলো তার বাসায় ছিল, নায়িকা অনেক আগে এনেছিল সেগুলো এতিমখানায় দান করে আসে৷ সে সেখান থেকে চলে আসে এবং এভাবে নাটকটি শেষ হয়ে যায়।

আমার ব্যক্তিগত মতামত।

খুব সুন্দর হয়েছে নাটকটি৷ নাটকের মধ্যে প্রথমে যেভাবে এত সুন্দর ভাবে নায়ক এবং নায়িকার সম্পর্ক দেখানো হয় সেটি খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত ছিল। এর পরবর্তীতে ধীরে ধীরে যখন নায়িকার অনেক বেশি টাকার প্রয়োজন হতে থাকে এবং সে তার বাবার টাকার গরমে সবসময় মগ্ন ছিল৷ এখন যেহেতু নায়ক তাকে সে টাকা দিতে পারছে না তাই সে অনেকটাই অসন্তুষ্ট থাকে৷ তবে শেষ পর্যন্ত সে আর কোন কিছু করতে না পেরে তার বাবার কাছ থেকে অনেক বেশি পরিমাণে টাকা নিয়ে আসে৷ সে অনেক আনন্দ উল্লাস করতে থাকে৷ তবে কিছুদিন যাবৎ তাদের এই আনন্দ উল্লাস স্থায়ী ছিল। তবে তাদের আনন্দ উল্লাস একেবারে স্থায়ী হয়নি৷ যখন তার বাবার অনৈতিক কাজগুলো ধরা পড়ে যায় এবং তিনি যখন সেখানে পুলিশের কাছে এরেস্ট হয়ে যান তখন তার টাকার কোন মূল্য থাকে না৷ একইসাথে এখানে নায়কের যে নৈতিক কাজ ছিল সেগুলো অনেক বেশি সম্মানীয় হয়৷ এর পরবর্তীতে যখন নায়িকাও তার ভুল বুঝতে পারে তখন সে টাকাগুলো নায়ক এতিমখানায় দান করে৷ আসলে আমাদের বাস্তব জীবনেও অনেকেই রয়েছে যারা অনেক বেশি টাকার গরম দেখাতে থাকে৷ তারা টাকা দিয়ে মানুষকে বিচার করতে থাকে৷ তারা এমনভাবে মানুষদের মনে করে যাদের কাছে টাকা আছে তারাই মানুষ৷ আর যাদের কাছে টাকা নাই তাদেরকে তারা মানুষ মনে করে না৷

৯.৭/১০