সাত দিনের কমিশনার নাটকের রিভিউ।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
সাত দিনের কমিশনার নাটকের রিভিউ। |
---|
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য |
---|
নাটকের নাম | সাত দিনের কমিশনার |
---|---|
পরিচালক | সজিব খান |
অভিনয় | নিলয় আলমগীর, তানিয়া বৃষ্টি সহ আরো অনেকে |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ১২ নভেম্বর ২০২৪ |
প্রথমে নাটকটি শুরু হয় এবং এখানে নায়ককে দেখানো হয়৷ সে এবং তার আশেপাশে যে সকল লোকজন ছিল সবাই মিলে এখানে আন্দোলন করছিল৷ এখানে বাজারের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে তারা আন্দোলন করছিল৷ একই সাথে তারা তাদের এলাকার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা নিয়ে সেখানে আন্দোলন করছিল৷ তারা আরো বলছিল যে কমিশনারের কারণে এই কাজগুলো এখনো পর্যন্ত চলছে৷ যাতে করে কমিশনার তার পদ থেকে বের হয়ে যায়৷ অন্য কাউকে যেন সেখানে বসতে দেয়৷ যাতে করে এলাকার আরো উন্নয়ন হতে পারে৷ এখন এলাকার মধ্যে যে সকল সমস্যা এবং সিন্ডিকেট গুলো চলছে সেগুলো যেন ভালোভাবে সমাধান হতে পারে৷ তখন সেখানে যে কমিশনার ছিল তার লোকজন এসে তাদেরকে মারধর করতে থাকে৷ সেখানে নায়ক এবং নায়কের বন্ধুর অনেক শারীরিক ক্ষতি হয়ে যায়৷ তারা বিভিন্ন সমস্যারও সম্মুখীন হয়৷ কমিশনার ছিল নায়িকার বাবা৷ নায়িকার বাবার লোকজন যখন নায়ক এবং তার বন্ধুকে এভাবে পিটিয়েছে সেই কথা নায়িকার কাছে এসে বলতে থাকে। তবে নায়িকা কোন ভাবে সেটি বিশ্বাস করে না।
এরপর সেখানে আরো বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা সৃষ্টি হতে থাকে৷ সেখানে নায়ক বলে যে সে এখন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবে৷ সে যদি এখন কমিশনার দায়িত্ব পালন করে তাহলে তাদের এলাকায় যে সকল সমস্যা গুলো চলছে সেগুলো সমাধান সে করে দিতে পারবে৷ তবে নায়েকের বাবা কোন ভাবেই তার কমিশনারের পদ থেকে সরে আসতে চাচ্ছিলেন না৷ তিনি সবসময়ই তার এই পদ ধরে রাখতে চেয়েছিলেন৷ তিনি সবসময় তা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন৷ তবে বিভিন্ন কারণবশত তিনি সে কাজগুলোর দিকে নজর দিতে পারছিলেন না৷ তখন নায়ক বলে যে তাকে এক সপ্তাহের জন্য হলেও যেন এই এলাকার কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়৷ তাই তাকে এক সপ্তাহের জন্য কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলো৷ সেই এলাকায় যেসকল সমস্যাগুলো ছিল সেগুলো সমাধান করতে থাকে৷ সেখানে রাস্তার সমস্যা সমাধান সে করতে থাকে৷ একই সাথে বৈদ্যুতিক সমস্যার সমাধান করতে সে এগিয়ে আসে৷
ধীরে ধীরে সে আরো অনেক সমস্যাগুলো সমাধান করতে থাকে এবং এখানে বৈদ্যুতিক সমস্যার সমাধান করার পাশাপাশি সে সেখানে যে রাস্তার সমস্যা ছিল তাও সমাধান করতে পেরেছিল৷ এরপর সে বাজারের সিন্ডিকেট সমস্যার সমাধান করার জন্য নায়িকার বাবার নিয়ন্ত্রনে থাকা যে চালের গুদাম রয়েছে সেখানে যায়৷ সেখানে দেখতে পায় যে সরকারের যেসকল চাল রয়েছে সব কিছুই তার সেই গুদামে অবস্থান করছে৷ সরকারি চাল সরকারিভাবেই মানুষের কাছে কম দামে বিক্রি করে দেওয়ার কথা ছিল৷ তবে কোনোভাবেই সেই চালগুলো মানুষের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়নি৷ অন্যদিকে সে চালগুলোকে এখানে নায়িকার বাবার গুদামে এনে রেখে অন্য বস্তায় ঢুকিয়ে সেগুলোকে চড়া দামে মানুষের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হবে৷ এই কথাটি যখন নায়ক নায়িকাকে বলে তখন নায়িকা অনেক রাগান্বিত হয়৷ নায়িকা তার বাবাকে বলে যে এরকম দুর্নীতিবাজ এর সাথে কখনোই নায়িকা থাকবে না৷ নায়িকা বাসা থেকে চলে যাবে এরকম অনেক ধরনের কথাবার্তা বলছিল৷ তখন নায়কের এক সপ্তাহ শেষ হয় এবং নায়ক নায়িকার বাবাকে সবকিছু বুঝিয়ে বলেন৷ তিনি বলেন যে নায়ক যদি কমিশনারের দায়িত্ব পালন না করতো তাহলে এই সমস্যাগুলো তিনি কখনোই দেখতেন না৷ সমাধানের কথায়ও তিনি আসতে পারতেন না। এরকম অনেক ধরনের কথাবার্তা তিনি বলেন৷ এর পরবর্তীতে নায়ক এবং নায়িকার মিল হয় এবং এভাবে নাটকটি শেষ হয়৷
আমার ব্যক্তিগত মতামত।
খুবই সুন্দর একটি নাটক ছিল এটি৷ নাটকের মধ্যে এত সুন্দর কিছু বিষয়কে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তা একেবারে অসাধারণ ছিল৷ এখানে প্রথমে যখন নায়ক এবং তার বন্ধুরা মিলে সবাই সেখানে আন্দোলন করছিল তখন সেখানে অনেকে জড়ো হয়েছিল৷ সাংবাদিকরা সেখানে এসেছিল৷ এখানে তারা যার বিরুদ্ধে এই আন্দোলন করছিল তখন তিনিও সেখানে আসেন৷ তার লোকজন দিয়ে তাদেরকে অনেক মারধর করান৷ যার ফলে তারা অনেকটাই আহত হয়৷ তবে এর পরবর্তীতে পরিস্থিতি একেবারে খারাপের দিকে চলে যেতে থাকে৷ তখন নায়মকে এক সপ্তাহের জন্য কমিশনারের দায়িত্ব দেওয়া হয়৷ তখন সেখানে নায়ক সমস্যার সমাধানের জন্য বেরিয়ে পড়ে৷ এলাকার যে সকল ছোট বড় সমস্যাগুলো ছিল সেগুলো সে খুঁজে বের করতে থাকে৷ সেগুলো সমাধানের জন্য তাদেরকে অনেক ভাবে চাপ দিতে থাকে৷ শেষ পর্যন্ত সে বড় বড় সিন্ডিকেটের বিষয়টি দেখতে পায়৷ সেই সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য সে কাজ করতে থাকে৷ তার সময় যখন শেষ হয়ে যায় তখন নায়িকার বাবাকে সে সবকিছু বুঝিয়ে বলে৷ নায়িকার বাবা নিজ থেকেই অন্যায় ভাবে সরকারি চালগুলো নিজের অর্থায়নে সেগুলো বিক্রি করছেন৷ যা একেবারে খারাপ একটি কাজ৷ তারপর তিনি তার ভুল বুঝতে পারেন৷ সবকিছু আবার ঠিক হয়ে যায়৷ আসলে বাস্তব জীবনে আমরা এমন অনেক ঘটনা দেখতে পাই৷ বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন অন্যায়, দুর্নীতি ঘটে যাচ্ছে৷ তবে সেগুলো সমাধানের জন্য কেউ এগিয়ে আসছে না৷ আর যারা সেই দায়িত্বে বসে রয়েছে তারাও পরিস্থিতির চাপে কিংবা লোভে পড়ে সেই পরিস্থিতির সাথেই মানিয়ে নিচ্ছে এবং খারাপ অন্যায়ের সাথেই চলে যাচ্ছে।
আমার ব্যক্তিগত মতামত অনুসারে নাটকের রেটিংঃ |
---|
৯.৭/১০
সমাপ্ত
ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি।আগামিতে অন্য কোন নাটকের রিভিউ নিয়ে আবারও হাজির হবো।ভালো থাকবেন সবাই।আর কষ্ট করে রিভিউটি যারা পড়ছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক।
VOTE @bangla.witness as witness
OR


ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | নাটক রিভিউ । |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।নিলয় আলমগীর ও তানিয়া বৃষ্টির অভিনয় আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।যদিও নাটকটি দেখা হয়নি তবে নাটকের রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।