রেসিপি পোস্ট - //নাস্তা রেসিপি//
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি নতুন একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে। আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
রান্নার কাজে আমি আসলে তেমন পারদর্শী নই। তবে রান্না করতে আমার খুবই ভালো লাগে।সেই ভালোলাগা থেকেই মাঝে মাঝে কিছু ইউনিক রেসিপি তৈরি করি।এবং সেই রসিপি পরিবারের সবাইকে খাওয়াতে অনেক ভালো লাগে।আসলে কষ্ট করে কোন কিছু রান্না করার পরে সেটা খেয়ে যদি কেউ প্রশংসা করে তাহলে কষ্টগুলো নিমিষেই আনন্দে পরিণত হয়।
আজকে আমি খুবই সুন্দর একটি নাস্তার রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।খুব কম উপকরণ ব্যবহার করে আমরা সহজেই এই নাস্তার রেসিপি তৈরি করতে পারবো।তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে আমি এই রেসিপিটি তৈরি করলাম।
ক্রমিক নাম্বার | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | ময়দা | ২ কাপ |
২ | আলু | ৩ টি |
৩ | ধনিয়া পাতা | পরিমাণমতো |
৪ | জিরা | পরিমাণমতো |
৫ | লবণ | পরিমাণমতো |
৬ | হলুদের গুড়া | পরিমাণমতো |
৭ | পেঁয়াজ কুচি | ৩ টি |
৮ | মরিচ কুচি | ৫টি |
৯ | তেল | পরিমাণমতো |
![]() | ![]() |
---|
প্রথমে আমি আলুর পুর তৈরি করার জন্য তিনটি আলুকে চিকন করে কেটে সিদ্ধ করে নিব। এরপর চুলায় কড়াই বসিয়ে দিব। এখন কড়াইয়ে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিব। তেল গরম হয়ে আসলে এর মধ্যে দিয়ে দিব পরিমাণ মতো জিরা।
![]() | ![]() |
---|
কিছু সময় জিরা ভেজে নেয়ার পরে এর মধ্যে দিয়ে দিব পেঁয়াজ কুচি ও মরিচ কুচি। এখন পেঁয়াজ ও মরিচ হালকা লাল করে ভেজে নিব।
![]() | ![]() |
---|
তারপর এর মধ্যে দিয়ে দিব আগেই সিদ্ধ করে রাখা আলু। এবং বাকি উপকরণ : ধনিয়া পাতা, হলুদের গুড়া ও লবণ দিয়ে দিব। এখন পাঁচ মিনিট ধরে উপকরণগুলো ভালোভাবে নাড়তে থাকবো। আলুর পুর রান্না হয়ে আসলে চুলাটি অফ করে দিব।
![]() | ![]() |
---|
এখন তৈরি করে নেব আটার ডো। প্রথমে আমি দুই কাপ ময়দার মধ্যে পরিমাণমতো পানি, হলুদের গুড়া ও লবণ দিয়ে সুন্দরভাবে মেখে ডো তৈরি করে নিব।
![]() | ![]() |
---|
এরপর আটার ডো ছোট ছোট ৭ টুকরো করে নিয়েছি। এখন এক টুকরো ডো নিয়ে বেলনের সাহায্যে সুন্দরভাবে মাঝারি সাইজের রুটি তৈরি করে নিব।
![]() | ![]() |
---|
এখন রুটির অর্ধেক অংশে আগেই তৈরি করে রাখা আলুর পুর দিয়ে দিব। এরপর রুটিটিকে মাঝখান থেকে ভাঁজ করে আলুর পুর ঢেকে দিব। এভাবেই সবগুলো রুটি তৈরি করে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এখন সবগুলো রুটি ভেজে নেবার পালা। চুলায় একটি প্যান বসিয়ে দিব। এরপর পরিমাণ মতো তেল দিব। তেল গরম হয়ে আসলে পিঠাগুলো দিয়ে দিব। এক পাশ ২ মিনিট করে ভেজে নেয়ার পর উল্টিয়ে পেছনের পাশ আবার দুই মিনিট ভালোভাবে ভেজে নিব। এভাবে সবগুলো পিঠা ভেজে নিব।
![]() | ![]() |
---|
তৈরি হয়ে গেল বিকালের সুন্দর নাস্তার রেসিপি। এখন সুন্দর করে পরিবেশন করে নিব।
আমার তৈরি করা এই নাস্তার রেসিপিটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। যদিও এটি আমি প্রথমবার তৈরি করলাম তবে বেশ ভালোই হয়েছে। আপনাদের কেমন লেগেছে মন্তব্যে জানাবেন।আপনারাও চাইলে বিকেলে এরকম নাস্তা তৈরি করে পরিবারের সবার মাঝে পরিবেশন করতে পারবেন। আজকে এখানেই শেষ করছি। আগামীতে হাজির হব নতুন কোন পোস্ট নিয়ে। আপনারা সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইস | OPPO A15s |
---|---|
শ্রেণী | রেসিপি পোস্ট |
ফটোগ্রাফার | @jerin-tasnim |
লোকেশন | কুষ্টিয়া,বাংলাদেশ |
খুব মজাদার ও লোভনীয় রেসিপি প্রস্তুত করেছেন এ ধরনের খাবারগুলো সকাল অথবা বিকেলের নাস্তায় খেতে সব থেকে বেশি মজা হয়।
আপনার প্রস্তুত প্রণালী এবং পরিবেশনার ফটোগ্রাফি দেখেই লোভ হচ্ছে নিশ্চয়ই খুব মজা হয়েছিল খেতে।
যদিও আপনি রান্না খুব একটা বেশি পারদর্শী নয় তারপরও খুবই মজাদার একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এ ধরনের নাস্তা মাঝে মাঝে খেতে খুবই ভালো লাগে বিশেষ করে বিকেল বেলা আড্ডা দেওয়ার মুহূর্তে এ ধরনের রেসিপি অনেক বেশি ভালো লাগে। এছাড়া সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেও মাঝে মাঝে এরকম রেসিপি টেস্ট করা উচিত। শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর এবং মজাদার একটি নাস্তা রেসিপি শেয়ার করেছেন ৷ আপনার নাস্তা রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ আসলে সকাল কিংবা বিকেলে বেলা এমন নাস্তা পেলে বেশ জমে ৷ আপনি আলু ময়দা সাথে ধনিয়া পাতা দিয়ে অনেক মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ৷ নিশ্চয়ই এটি খেতে খুবই সুস্বাদু এবং মজাদার হয়েছে ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি নাস্তা রেসিপি শেয়ার করার জন্য ৷
বিকেলের নাস্তা হিসেবে কিন্তু এই মজাদার রেসিপি টা একেবারে পারফেক্ট। আসলে কষ্ট করে এরকম ভাবে রান্না করলে কেউ যদি খেয়ে প্রশংসা করে, তাহলে নিজের কাছে অনেক ভালো লাগে। সেই কষ্টটা একেবারে দূর হয়ে যায়, তা আনন্দে পরিণত হয়। আপনি খুব কম উপকরণ ব্যবহার কর সহজ পদ্ধতিতে এই নাস্তার রেসিপি তৈরি করেছেন। যেটা দেখে যে কেউ শিখে নিতে পারবে এটা দেখে। এরকম নাস্তা রেসিপি বেশ কয়েকবার খাওয়া হয়েছে।
আপনি রান্নার কাজে পারদর্শী নয় তাও আপনি আজকে কি সুন্দর ভাবে নাস্তা রেসিপিটি সম্পন্ন করেছেন। আমার ভীষণ ভালো লাগলো দেখে। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। আপনি ঠিক কথা বলেছেন, রান্না করার পর যদি আমরা প্রশংসা করি তখন অনেক ভালো লাগে। যতই কষ্ট হোক না কেন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল
সহজ এবং সুস্বাদু একটি রেসিপি। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
একজন রাধুনীর ধারাই এমন সুন্দর রান্না তৈরি করা সম্ভব। আমার তো মনে হচ্ছে আপনি একজন পারদর্শী। যাইহোক রেসিপিটিকে আমি আলু পরোটা বলেই সম্মোধন করলাম। খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন এভাবে একদিন তৈরি করে দেখব।
অনেক সুন্দর একটি রেসিপি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। বেশ ভালো লাগলো আপনার সুন্দরভাবে এই নাস্তা তৈরি করার প্রক্রিয়া দেখে। আশা করি এভাবে প্রতিনিয়ত অনেক কিছু আমাদের মাঝে তৈরি করার চেষ্টা করবেন। দোয়া করি যেন দ্রুত ভেরিফাইড মেম্বার হয়ে আমাদের সাথে কাজ করতে পারেন।
আমার রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।জি ভাইয়া,দোয়া করবেন যাতে ভেরিফাইড মেম্বার হয়ে আপনাদের সাথে এখানে ভালোভাবে কাজ করতে পারি।
এ ত দেখছি ফুরির মতো! আমাদের দিকে এটাকে ফুরি বলে। খেতে দূর্দান্ত লাগে। বিকালবেলায় এমন রেসিপি খেতে পারলে মন্দ হয় না
হ্যাঁ, বিকালবেলায় এমন নাস্তা খেতে আমারও অনেক ভালো লাগে।তাই,মাঝে মাঝে এই রকম সহজ নাস্তা তৈরি করি।
কিজে লোভনীয় একটি রেসিপি তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়।অসাধারণ সুন্দর ও লোভনীয় রেসিপিটি। রান্নার কাজে অনেকেই পারদর্শী নয় তবে কেউ কেউ আবার খুব যত্ন করে রান্না করে যেমন আপনি খুব সুন্দর যত্ন করে তৈরি করেছেন এই মজাদার নাস্তা রেসিপিটি।দেখতে তো খুব লোভনীয় লাগছে।খেতে নিশ্চয়ই খুব মজাদার ও সুস্বাদু হয়েছে। ধাপে ধাপে খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু,আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।আসলেই রেসিপিটি অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।