মাজার শরীফে কাটানো কিছু মুহূর্ত
নমষ্কার,,
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি ঈশ্বরের কৃপায় সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। মোটামুটি সারাদেশেই রোদের দেখা নেই কয়েকদিন হল। তবে আজকে শীতের পরিমাণটা একটু কম লাগছে আমার কাছে। আর দুপুরে কয়েক মিনিটের জন্য রোদের দেখা পেয়েছিলাম একবার। কিন্তু বেশিক্ষণ থাকতে না থাকতেই মেঘের আড়ালে আবার কোথায় যেন হারিয়ে গেল। যদিও আবহাওয়ার পূর্বাভাসে শুনছি আরো কয়েকটা দিন থাকবে শীতের এই প্রকোপ।
কয়েকদিন আগে গিয়েছিলাম খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ এবং তার মাজার শরীফ ঘুরতে। মূলত আসল উদ্দেশ্য ছিল আমার বোনের মানত করা জিনিস মাজার শরীফে দান করে আসা। এ ব্যাপারে আমি আগে থেকে কিছুই জানতাম না। সিরাজগঞ্জ যাওয়ার পথে হঠাৎ করেই আমার দিদি আমাকে ফোন করে সবটা খুলে বলে। আর সেখানে যাওয়ার পথে দাদা খাজা বাবার মাজারের কথা আমাকে বেশ খানিকটা বললেন। এই মাজার শরীফটা নাকি খুবই নামকরা একটা স্থান। প্রতিবছর লাখো ভক্তের সমাগম হয় এখানটায়। সবাই সবার মনোবাসনা পূর্ণের জন্য খাজা বাবার দরবারে মানত করে যায়, আর সেগুলো পূরণ হলে যে যা মানত করে সেটা দিয়ে যায়। আমার তো বেশ ভালো লাগলো শুনে। আর এখানে সব ধর্মের লোকেরই সমাগম হয়ে থাকে প্রতিবছর।
এটাই প্রথমবার আমার সেখানে যাওয়া। বেশ বড় জায়গা জুড়ে খাজা ইউনুস আলীর মাজার শরীফ টা ঘেরা। আমি পুরো জায়গাটা ঘুরে দেখলাম। যদিও সন্ধ্যা লেগে গিয়েছিল তারপরও যতটা সম্ভব ঘুরে দেখেছি। সেখানে ছবি তোলা নিষেধ ছিল। আমি অবশ্য ছবি তোলার নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে কিছুই জানতাম না। আমাকে যখন জানানো হলো তারপর থেকে আর একটা ছবিও তুলিনি। হাত মুখ ধুয়ে মাজার শরীফের ভেতরে প্রবেশ করলাম। তারপর যা যা সাথে করে নিয়ে গিয়েছিলাম সেগুলো ওখানকার কর্তব্যরত মানুষের হাতে দিয়ে আসি।
এই পবিত্র স্থানগুলোতে গিয়ে অদ্ভুত একটা শান্তি পাওয়া যায় মনের ভেতরে। সেদিন সন্ধ্যেবেলাতেও ঠিক তেমনটাই লাগছিল আমার। শুনলাম আর কয়েকদিন পরেই নাকি ওরস শুরু হবে। তার প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। সবকিছু ভালোভাবে এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হোক এমনটাই প্রত্যাশা করি। আর এমন পবিত্র স্থানে যেন আবার আসতে পারি এমনটাই ইচ্ছে পোষণ করেছি সৃষ্টিকর্তার কাছে।
ধর্মীয় পবিত্র স্থানগুলো সব সময় পবিত্র এবং সুন্দর হয়ে থাকে। সেজন্য মনের প্রশান্তি বিরাজমান থাকে। আপনার প্রথম যাওয়া মাজার শরীফে যেটা আপনার ফটোগ্রাফার মাধ্যমে আমরা উপভোগ করলাম। সত্যি এরকম মাজার শরীফে গেলে নিজের মধ্যে প্রশান্তি কাজ করে। যেটা আপনার মধ্যে কাজ করেছে।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
কিছু কিছু মাজার শরীফ বেশ জনপ্রিয়। সিলেটের শাহজালাল এবং শাহপরান মাজার শরীফও বেশ জনপ্রিয়। বেশ কয়েক বছর আগে গিয়েছিলাম এই দুটি মাজার শরীফে। যাইহোক মাজার শরীফে গিয়ে আপনি বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন, সেজন্য আমরা দেখতে পেলাম। যদিও ফটোগ্রাফি করার পর জানতে পেরেছিলেন ফটোগ্রাফি করা নিষেধ। আগে জানলে তো আমরা এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো মিস করে ফেলতাম। সবমিলিয়ে পোস্টটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ সিলেটের কথা তো সারা দেশের মানুষই মোটামুটি জানে ভাই। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। ভালো থাকবেন ভাই।
আসলে এটা ঠিক বলেছেন পবিত্র স্থানগুলোতে একটু বেশি শান্তি পাওয়া যায়। আপনার বোনের মানত করা জিনিস দান করতে গিয়েছিলেন এটা শুনে ভালো লাগলো। তাছাড়া প্রথম বার যখন আমরা একটা জায়গায় যাই তখন আমাদের আরো বেশি ভালো লাগে। ছবি তোলা নিষেধ এটা তো দেখছি আপনি না জেনেই প্রথমে কিছু ছবি তুলে ফেললেন। তবে জানার পর ছবি তুলেন নি এটাই ভালো হয়েছে। আমার নিজেরও এই ধরনের জায়গায় যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে।
সময় সুযোগ করে একবার যাবেন আপু। অনেক ভালো লাগবে। একটা শান্তি পাওয়া যায় মনে। অনেক ধন্যবাদ আপু।