বাসমতী দিয়ে মটন বিরিয়ানি রেসিপি।
হ্যালো,
কেমন আছেন বন্ধুরা,আশা করছি ভালে আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে ভালো আছি।আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বাসমতী চাল ও খাসির মাংসের বিরিয়ানি রেসিপি।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
বাসমতী চাল | ২কেজি |
খাসির মাংস | ২কেজি |
টকদই | পরিমাণ মতো |
বিরিয়ানির মশলা | ১ প্যাকেট |
পেঁয়াজ কুচি | পরিমাণ মতো |
কাঁচা মরিচ | ১০/১২টি |
জিরা বাটা | পরিমান মতো |
আদা বাটা | পরিমাণ মতো |
গোটা জিরা | অল্প পরিমাণে |
হলুদ | পরিমাণ মতো |
লবন | স্বাদমতো |
আলুবোখারা | ১৫ টি |
মরিচের গুড়া | স্বাদ মতো |
পেঁয়াজ বেরস্তা | পরিমান মতো |
ভোজ্য তেল | পরিমাণ মতো |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি বিরিয়ানির জন্য বাসমতী চাল গুলো ভালো করে ধুয়ে জল ঝড়ানোর জন্য একটা একটি পাত্রে রেখে দিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন আমি মাংস গুলো পরিস্কার করে ধুয়ে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এখন আমি খাসির মাংসো গুলোতে একে একে সব গুলো উপকরণ দিয়ে ম্যারিনেট করে রেখিছি এক ঘন্টার জন্য।
চতুর্থ ধাপ
এখন আমি বাসমতী চালের ভাত রান্না করে নিয়েছি তবে পুরাপুরি সিদ্ধ করিনি ৮০%সিদ্ধ করেছি এবং ঠান্ডা করার জন্য একটি পাত্রে নামিয়ে নিয়েছি। পুরাপুরি সিদ্ধ করিনি কারন বিরিয়ানির মাংসের সাথে মিক্সড করার পর বাকিটা দমে সিদ্ধ হয়ে যাবে পুরাপুরি সিদ্ধ করলে ভাত গুলো ভেংগে যায়।
পঞ্চম ধাপ
এবার আমি একটি কড়াইয়ে জিরা,তেজপাত ও পেঁয়াজ ফোঁড়ন দিয়েছি এবং ম্যারিনেট করা মাংসগুলো কড়াইয়ে দিয়ে খুব ভালো করে কষিয়ে কষিয়ে রান্না করে নিয়েছি তবে ৯০%রান্না করেছি মাংস গুলো।
ষষ্ঠ ধাপ
এখন আমি মাংসগুলো নামিয়ে নিয়েছি এবং একটি বড়ো পাতিলে কিছু রান্না করা মাংস দিয়ে তার উপরে বিরিয়ানির জন্য রান্না করা ভাত দিয়েছি এভাবে কয়েকটা লেয়ারে দিয়েছি ভাত ও মাংস,ও সবার উপরে আলুবোখারা, কাঁচামরিচ,পেঁয়াজ বেরেস্তা,দিয়ে একদম অল্প আচে বিরিয়ানির হাড়িটির মুখ বন্ধ করে চুলায় বসিয়ে রেখেছি।
অষ্টম ধাপ
এবার আমি বিরিয়ানির পাতিলটি নামিয়ে নিয়েছিও কিছু সময় দমে রেখে দিয়েছি এবং কিছু সময় পর বিরিয়ানির গুলো পরিবেশের জন্য একটি প্লেট বিরিয়ানি দিয়ে, সালাদ দিয়ে পরিবেশন করেছি।
এভাবেই আমি তৈরি করেছি লোভনীয় বাসমতী চাল ও খাসির মাংসের বিরিয়ানি রেসিপিটি।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | oppoA95 |
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
আপু আপনি আজকে খুব লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। মটন বিরিয়ানি আমার খুব ভালো লাগে খেতে। মাঝেমধ্যে বাজারে গিয়ে কিনে খাওয়া হয়ে থাকে। তবে আপনি বাড়িতে খুব চমৎকার ভাবে বাসমতি দিয়ে মটন বিরানি রেসিপি তৈরি করেছেন। রেসিপি তৈরির প্রতিটা ধাপ খুব চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বাসমতী চালের বিরিয়ানি একটি লোভনীয় খাবার।আমি বাইরের খাবার খুব কম খাই তাই বাড়িতেই তৈরি করে সবাই মিলেে খেয়েছি।
সকাল সকাল লোভ লাগিয়ে দিলেন আপু।বাসমতী চাল দিয়ে মটন বিরিয়ানি রেসিপি দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে।যাইহোক আপু একা একা খেয়েছেন কি আর করার।🤣🤣।ভালো থাকবেন আপু।
ভালো কিছু দিয়ে দিনের প্রথম টা শুরু করলে সমস্ত দিন ভালো কাটে। সুন্দর কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া,আপনিও ভালো থাকবেন।
আহ! জীব একদম জলে ভরে গেলো দিদি, এটা আমার খুবই প্রিয় একটা আইটেম। প্রায় প্রতি মাসেই বাড়িতে রান্না করা হয়। অবশ্য বাহিরেও সুযোগ পেলে চুপে চুপে খেয়ে নিই হা হা হা। দারুণ রেসিপি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ
বাইরে চুপি চুপি খেয়ে নেন শুনু হাসি পাচ্ছে আসলে বেশি পছন্দের খাবারের জন্য কবে বাড়িতে হবে এই অপেক্ষায় না থেকে চুপিচুপি খেয়ে নেন বুঝতে পারলাম।সুন্দর কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া আপনার যে বিরিয়ানি খুব পছন্দের তা প্রথম থেকে জানি।তার কারন আপনি ক্লাস করানোর সময় বার বার বিরিয়ানি দিয়েই আমাদের রেসিপি পোস্ট বুঝিয়ে ছিলেন।😁😁😁
দিদি আপনার তৈরি বাসমতি চাউল দিয়ে মাটন বিরিয়ানি দেখেতো খেতে ইচ্ছা করছে। মাটন বিরিয়ানি তো আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। খুবই সুন্দরভাবে বাসমতি চালের মাটন বিরিয়ানি তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
হ্যাঁ ভাইয়া বাসমতী চালের মাটন বিরিয়ানি খুব লোভনীয়। আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বাসমতি চাল দিয়ে মটন বিরিয়ানি রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে আমার তো জিভে জল চলে এসেছে। এরকম মজাদার রেসিপি দেখলে সবার কাছেই অনেক বেশি ভালো লাগবে। এরকম মজাদার রেসিপি তৈরি করে একা একা খেয়ে নিয়েছেন এটা কিন্তু ভালো হলো না। রেসিপিটা আরো দুপুরবেলায় দেখলাম, যার কারণে আরো বেশি খেতে ইচ্ছে করছে।
জিভে জল আসার মতোই রেসিপি এটি।একা একাই খেতে হয়েছে কারন আপনারা মানে বাংলা ব্লগের বন্ধুরা তো সব দূরে দূরে।কখনো সুযোগ পেলে খাওয়াবো আপনাদের কেও।ধন্যবাদ
ঘরোয়া পদ্ধতিতে মটন বিরিয়ানি আহা দেখেই তো খুব লোভ হচ্ছে।
এ জাতীয় খাবার আবার আমার খুব ফেভারিট সকাল-সকাল দেখে ইচ্ছে করছে তুলে খেতে শুরু করি।
প্রস্তুত প্রণালী অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
মটন বিরিয়ানি সত্যি একটা লোভনীয় রেসিপি।সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বাসমতি চালের মাটন বিরিয়ানি দেখে তো লোভ লাগিয়ে দিলেন আপু ।এটি খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে ।আপনার রেসিপিটিও দুর্দান্ত হয়েছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। খেতেও দারুন হয়েছে নিশ্চয়ই।দারুন লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
খুব দারুণ হয়েছিল খেতে।লোভ লাগার মতোই খাবার এটি তাই তো লোভ লেগে যায় আপু।ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করে আমাকে সাপোর্ট করার জন্য।
বিরিয়ানি আমার খুব একটা পছন্দ না হলেও খেতে খারাপ লাগে না।আগে ঢাকায় থাকতে বুদ্ধু হোটেলের কাচ্চি অনেক খেয়েছি,বাসমতী চাল খাসির মাংস দিয়ে রান্না করতো।তোমার বিরিয়ানি রেসিপি টি দেখে আগের কথা মনে পড়ে গেলো।অসাধারণ হয়েছে রেসিপি টি।আমরা বাড়িতে গেলে এরকম বিরিয়ানি রান্না করে খাওয়াবা কিন্তু।😁😁দিন দিন তোমার পোস্ট কোয়ালিটি ভালো হচ্ছে আশাকরি আগামীতে আরও অনেক ভালো লিখবা।শুভকামনা রইলো।ধন্যবাদ।
অবশ্যই খাওয়াবো।আমার বিরিয়ানির রেসিপি দেখে পুরানা কথা মনে পড়লো জেনে ভালো লাগলো। যতোই দিন যাবে ততই পোস্ট কোয়ালিটি ভালো হবে আশা রাখছি।অবশ্যই ভালো লেখার চেষ্টা করবো।সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
বাশমতি দিয়ে মাটন বিরিয়ানি খুবই দারুন।বিরিয়ানির নাম শুনলেই জিভে জল এসে যায়।আমরা সচারাচর চিকেন বিরিয়ানি টা বেশি খাই। এবং বেশি অভ্যস্ত। সুন্দর হয়েছে রেসিপিটা।
হ্যাঁ ভাইয়া দারুণ ছিলো বিরিয়ানি। চিকেন বিরিয়ানি সবাই বেশি খায় কিন্তুু আমি চিকেন খাইনা একদমই তাই মাটন বিরিয়ানি খাই বানিয়ে🙂।সুন্দর মন্তব্য করেছেন ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি মাটন বিরিয়ানির লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন।রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুব ভালো ছিল।রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। এটা দেখে যে কেউ সহজেই রেসিপিটি তৈরি করে নিতে পারবেন।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
খুব ভালো ছিলো রেসিপিটি। আপনাকে ও ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।