চুই মাটন
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগবাসী বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালে আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি সুস্থ আছি।আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো মাটন দিয়ে চুই ঝাল রেসিপি।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
চুই ঝাল মসলা জাতীয় ফসল। এর ডাল পালা কান্ড পাতা, শাখা প্রশাখা শিকড় সব কিছুই ব্যাবহারিত হয়।
বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলীয় জেলা বাগেরহাট, খুলনা, নড়াইল যশোর সাতক্ষীরা এলাকায় খুব জনপ্রিয় এই চুই ঝাল। সুই ঝাল দিয়ে রান্না করলে মাংসে একধরনে কড়া শুধ্রান ও ঝাল জাতীয় স্বাদ অনুভূত হয়। বর্তমানে সারাদেশে চুই ঝালের জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করা যায়।নামীদামি হোটেল গুলোতে এই চুই মাটন খুব জনপ্রিয় একটি খাবার।আমি মাঝে মাঝেই অনেকেই পোস্ট দেখি যে চুই মাটন খাচ্ছা রেষ্টুরেন্টে তাই আমারও খুব ইচ্ছে হলো এই চুই ঝাল মাটন খাওয়ার।কিন্তুু আমি তো রেষ্টুরেন্টে কোন মাংস খাই না তাই আমাকে এই চুই ঝাল মাটন খেতে হলে বাড়িতেই রান্না করে খেতে হবে।যে কথা সেই কাজ তাই আর দেরি না করে আয়োজন করলাম।আমাদের এলাকায় কালিপুজায় এই চুই ঝাল অনেক কিনতে পাওয়া যায় কারণ ঝালের গুড়া বানিয়ে থাকে সবাই এই দিনে।আর তাই চুই ঝালও খুব পাওয়া যায় বাজারে। বাবাকে ফোন করে বল্লাম চুই ঝাল লাগবে আমার কিনে পাঠাও।ওনিও অনেক গুলো কিনে সকাল সকাল পাঠিয়ে দিলো আমার কাছে।আর আমিও আয়োজন করে নিলাম চুই ঝাল রেসিপিটি ও সবাই মিলে খুব মজা করে খেলাম।
তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন
খাসির মাংস | দের কেজি |
---|---|
চুই ঝাল | পরিমাণ মতো |
পেঁয়াজ কুচি | পরিমাণ মতো |
রসুন বাটা পরিমাণ মতো | |
আদা বাটা | পরিমাণ মতো |
হলুদ গুড়া | পরিমাণ মতো |
মরিচ গুড়া | স্বাদ মতো |
গরম মশলা | পরিমাণ মতো |
ভোজ্য তেল | পরিমাণ মতো |
লবন | স্বাদ মতো |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি মাংস গুলো ভালো করে ধুয়ে জল ঝড়িয়ে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এবার আমি খাসির মাংস গুলোতে একে একে আদা বাটা,জিরা বাটা,চুই ঝাল,লবন,হলুদ, ভোজ্য তেল,মরিচের গুড়া,পেঁয়াজ কুচি,ধনিয়া বাটা,সব গুলো উপকরণ দিয়ে খুব ভালো করে ম্যারিনেট করে রেখে দিয়েছি এক ঘন্টার জন্য।
তৃতীয় ধাপ
মাংস গুলো এক ঘন্টা ম্যারিনেট করা হয়ে গেছে তাই চুলায় একটি কড়াই বসিয়েছি এবং তাতে তেল দিয়ে গরম করে নিয়ে তাতে গোটা জিরে,তেঁজপাতা দিয়ে ফোঁড়ন দিয়েছি ও পেঁয়াজ গুলো ভাজা ভাজা হয়ে গেলে তাতে ম্যারিনেট করা মাংস গুলো কড়াইয়ে দিয়ে খুব ভালো করে কষিয়ে দিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
এখন আমি মাংসগুলো অনেক সময় ধরে কষিয়ে নিয়েছি ও তারপর মাংস সিদ্ধ করার জন্য পরিমাণ মতো জল দিয়েছি ও জ্বাল করে নিয়েছি। মাংস গুলো খুব সুন্দর মতো সিদ্ধ হয়ে গেছে তাই এতে গরম মশলা দিয়ে নামিয়ে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
এখন পুরাপুরি ভাবে রান্না হয়ে যাওয়া মাংস গুলো একটি পাত্রে নামিয়ে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
এখন আমি পরিবেশেন করেছি ভাতের সাথে।
পরিবেশা
এই ছিলো আমার আজকের মজাদার চুই ঝাল মাটন রেসিপি আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।আজ এ পর্যন্তই আবারও দেখা হবে অন্য কোন মজাদার রেসিপি নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি @shapladatta | |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, সাদুল্যাপুর |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
চুই ঝাল সত্যি অনেক বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। আপনি চুই মাটন রেসিপি তৈরি করেছেন, যেটা দেখে আমার তো অনেক বেশি লোভ লেগে গিয়েছে। যেহেতু খেতে ইচ্ছে করছিল তাই বাবাকে বলেছিলেন, যেন তিনি কিনে আপনার জন্য পাঠিয়ে দেয়। আপনার বাবা পরবর্তীতে সকাল সকাল চুই ঝাল পাঠিয়ে দিয়েছিল এটা জেনে ভালো লাগলো। মজাদার এই রেসিপিটা তৈরি করার ধাপগুলো আপনি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন।
খাসির মাংস আমার পছন্দের একটি খাবার। চুই ঝাল দিয়ে খাসির মাংস রান্না করলে এর স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। যখন খুলনা গিয়েছিলাম তখন চুই ঝাল খেয়েছি অনেক সুস্বাদু লাগে খাবার গুলো। আপনার রন্ধন প্রণালী সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন যা বুঝতে সুবিধা হয়েছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
প্রতিনিয়ত আমরা অনেক সুন্দর সুন্দর রেসিপি দেখে থাকি। আজকে আপনার মাধ্যমে চুই মাটন রেসিপি দেখতে পেলাম। বেশ ভালো লাগতেছে। জি চুই ঝাল মসলা জাতীয় ফসল। আমিও অনেক জায়গায় দেখেছি বিভিন্ন জনপ্রিয় হোটেলগুলোতে চুই মাটন খুবই জনপ্রিয়। আমার কাছেও ভীষণ ভালো লাগে। দারুণ লেগে খেতে। আপনি দারুন দক্ষতায় প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এবং প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার রান্নার ধরনটি দেখে আমি শিখতে পারলাম এবং এই ধরনের রান্না গুলি খেতে বিশাল টেস্ট হয়। দারুন দক্ষতায় আপনি এটা আমাদের মাঝে পরিবেশনা করেছেন। আপনার পরিবেশনা টা অনেক সুন্দর ছিল। ভীষণ ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল
হ্যাঁ চুই মাটন খুব জনপ্রিয় একটি রেসিপি।ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
আপু সকাল সকাল এমন মজাদার রেসিপি দেখে তো লোভ সামলাতে পারছি না। চুই ঝাল আমার এখনও খাওয়া হয়নি। তবে ইচ্ছে আছে রেস্টুরেন্টে গিয়ে চুই ঝাল দিয়ে মাংস খাওয়ার। আপনার চুই ঝাল দিয়ে মাটন রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু খুব সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ
চুই ঝাল যেটা দক্ষিণ অঞ্চলে বিখ্যাত একটি খাবার । অনেকবার যাওয়া হয়েছে কিন্তু এই ধরনের খাবার খাওয়া হয়নি। যেটা অনেক জনপ্রিয় আপনি বাড়িতে চুই ঝাল মাটন রেসিপি করেছেন খুবই সুন্দর হয়েছে। আপনার রেসিপি ভালো লেগেছে যেটা খেতে খুবই সুস্বাদু।
হ্যাঁ ভাইয়া খুব সুস্বাদু একটি খাবার। ধন্যবাদ
ঠিক বলেছেন আপু বর্তমান সময়ে চুই ঝাল বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের মজাদার চুই ঝালের মাংস পাওয়া যায়। বেশ কিছুদিন ধরে আমারও ইচ্ছা আছে কোথাও গিয়ে চুই ঝালের মাংস খাব। আপনার আজকে চুই ঝাল দিয়ে মাটনের রেসিপি দেখে লোভ লেগে যাচ্ছে। এত লোভনীয় হয়েছে দেখতে। খেতেও নিশ্চয় অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
হ্যাঁ আপু অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো খেতে।ধন্যবাদ
চুই ঝাল রান্নার লোভনীয় একটা রেসিপি তৈরি করে আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। বিকেল বেড়াতে যদি এত লোভনীয় রেসিপি চোখের সামনে চলে আসে তাহলে কি কোন ভাবেই লোক সামনে থাকা যায় আপু। এই ধরনের রেসিপিতে যদি একটু বেশি করে মরিচ দেয়া যায় তাহলে খেতে খুবই ভালো লাগে।
হ্যাঁ ভাইয়া মরিচের ব্যাবহার তো হয়েছে তাছারা চুই এরও একটা ঝাল ছিলো।ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
বিভিন্ন ব্লগারদেরকে দেখি চুইঝাল দিয়ে মাংস রান্না করতে। তবে আজকে আপনার চুইঝাল দিয়ে মাংস রান্না দেখে বেশ লোভ লেগে গেল খুব ইচ্ছে করছে খেতে। রেসিপির কালার দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু চুইঝাল দিয়ে মাটন রান্নার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সত্যি অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ
কখনো চুই ঝাল খাওয়া হয়নি।যদিও এটা অনেক জনপ্রিয় কিন্তু এটার স্বাদ এখনো গ্রহণ করতে পারিনি।ইচ্ছে করছে আপনার এখন থেকে একটু খেয়ে দেখতে।তবে যাইহোক না খেলেও কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে আপনার রেসিপিটির স্বাদ অতুলনীয় হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় এই রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পাশাপাশি বাড়ি হলে অবশ্যই খাওয়াতাম।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
চুই মাটন দেখে লোভ সামলাতে পারতেছি না। আর আপনি এমনিতে বেশ চমৎকার রেসিপি করে থাকেন।চুই মাটন ঝাল রেসিপি এখন সব জায়গাতে বড় বড় রেস্টুরেন্ট দেখা যায়। আপনার বাবাকে বলার সাথে সাথে সকাল বেলা পাঠিয়ে দিয়েছে আপনার প্রিয় জিনিস। তবে রেসিপিটি সত্যি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অসাধারণ হয়েছে। আর রেসিপি কালার দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। রেসিপিটি সুন্দর করে উপস্থাপনা করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু চুই মাটন দেশের জনপ্রিয় একটা খাবার হয়ে গেছে। খেতেও অসাধারণ স্বাদে ভরা এই চুই মাটন।ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।