মায়ের ভালোবাসা।
"হ্যালো বন্ধুরা"
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি।
পৃথিবীতে যতরকমের সম্পর্কে আছে তার মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর ও মধুর সম্পর্ক হলো মা সন্তানের সম্পর্ক।এটা আগে খুব একটা বুঝতাম না তাই মায়ের ভালোবাসা গুলো চোখ দেখতে পেতাম না।আমার মা সারাজীবন সংসার রান্নাবান্না এসব নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেছে তাই আমাদের জন্য এক্সট্রা সময় দেওয়ার মতো সময় তার কাছে ছিলো না।তাই মায়ের সাথে সেরকম সুসম্পর্ক গড়ে উঠার মতো সুযোগ কখনো হয়ে উঠেনি।মা আমাদের কে খুব ভালোবাসে এই জিনিস টাই বুঝতেই পারতাম না।কিন্তু যখন আমি নিজে মা হলাম তারপর থেকে বুঝতে শিখলাম মা সন্তানের সম্পর্ক টা ঠিক কি রকম হয়।তারপর থেকে অনুভব করতে লাগলাম মায়ের ভালোবাসা গুলো কিরকম হয়।আর তখন থেকেই মায়ের প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধা ভালোবাসা গুলো অনেক অংশে বেড়ে গেলো।
মা সারাদিনে কম করে হলেও তিন থেকে চার বার ফোন দিতো কি রান্না করলাম কি খেলাম এগুলো বিষয় জানার জন্য। আমার মা খুবই চিন্তাপ্রবণ মানুষ ছিলেন। তার সবকিছুতেই খুব চিন্তা হতো।আমি।যখন থেকে অসুস্থ হলাম তারপর থেকে তার চিন্তার পরিমাণ আরও অনেক গুণ বেড়ে গেলো।সারাদিন যদি কথা না হতো তখন তার চিন্তা হতো এই বুঝি আমার শরীর খারাপ করলো। ফোন দিয়েই বলতো তোর শরীর খারাপ করেছে তাই না!তখন যদি আমি বলতা যে না আমি একদম ঠিকঠাক আছি মা এই কথাটা কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে চাইতো না,বলতো আমি মিথ্যা বলছি তার টেনশন হবে জন্য।যখনই শুনতো আমি অসুস্থ তখনই ছুটে চলে আসতো আমাকে সেবা দেওয়ার জন্য।এখন সেই ভালোবাসা গুলো খুবই মিস করি।যা আর কখনোই ফিরে পাবো না ভাবতেই বুকের ভিতরটা দুমড়েমুচড়ে যায়।
আজ প্রায় দু'বছর হতে চলছে মা আমাদের ছেড়ে পরপারে চলে যাওয়ার।মা চলে যাওয়ার পর থেকে যতবার অসুস্থ হয়েছি ততবারই নিজেকেই সবকিছু করে খেতে হয়েছে।তখন খুবই কষ্ট লাগে আর নিজেকে অনেক অসহায় মতো হতো।আস্তে আস্তে মেয়দের একটু একটু করে রান্না শেখাতে লাগলাম যাতে করে অসুস্থতার সময় গুলোতে ওরা নিজেরা কিছু করে খেতে পারে এবং আমাকেও খাওয়াতে পারে।বড় মেয়ে মোটামুটি ভালোই রান্নাবান্না শিখে গেছে সাথে সাথে ছোট মেয়েটাও অনেক কিছু করতে পারে।বিশেষ করে ছোট মেয়ে অনেক ভালো চা বানাতে পারে।প্রতিদিন সন্ধ্যা বেলা চা বানিয়ে খাওয়ায়।
আজ হঠাৎ করেই কেনো জানি শরীর টা খুবই দূর্বল লাগছিলো তাই সকালে ঘুম থেকে উঠার পর হালকা নাশতা খেয়ে চা খেয়ে একটু শুয়ে ছিলাম।কখন ঘুমিয়ে পড়েছি বুঝতে পারিনি ঘন্টা খানেক পর ঘুম থেকে উঠে দাঁড়াতে পারছিলাম না মনে হচ্ছে মাথার উপরে সবকিছু ঘুরছে বেগতিক দেখে তাড়াতাড়ি বিছানায় শুয়ে পড়লাম।অনেক সময় ধরে শুয়ে ছিলাম কিন্তু যখনই উঠতে যাচ্ছি ঠিক একইরকম মাথার উপরে সবকিছু ঘুরছে মনে হয়।বড় মেয়ে বুঝতে পারছে আমার শরীর ভালো না তাই ও বললো মা তোমাকে উঠতে হবে না তুমি শুয়ে থাকো আমি কিছু একটা রান্না করবো।শুনে একটু নিশ্চিন্ত হলাম।কিছুক্ষণ পর ছোট মেয়ে এসে বলছে মা আজকের রান্না আমি করবো আমি বললাম মা তুমি পারবে না দিদি করুক।ও আমাকে আশ্বস্ত করে বললো মা আমি পারবো এই বলে চলে গেলো।
ঘন্টা খানেক পর আমাকে এসে ডাকছে বলে খাবার টেবিলে আসো।আমি তো খাবার টেবিলে গিয়ে খাবার দেখে অবাক। দেখি ভুনাখিচুড়ি আলু ভাজা,বেগুন ভাজা এসব করে সুন্দর করে একটি প্লেট সাজিয়ে রেখেছে আমার জন্য।এসব দেখেই আমার মায়ের কথা মনে পড়ে গেলো ঠিক এমন করেই মা আমার জন্য খাবার সাজিয়ে রাখতো।আজ কিছুটা হলেও মায়ের অভাব পূরণ হয়েছে আমার মেয়েদের জন্য।ওরা তো আমার মায়ের মতো গুণ পেয়েছে অনেক লক্ষ্মী স্বভাবের হয়েছে,সবকিছু পরিপাটি করে করে ঠিক আমার মায়ের মতো।ঈশ্বর আমাকে মায়ের মতো দু'টো কন্যা সন্তান উপহার দিয়েছেন তার জন্য আমি ঈশ্বরের কাছে অনেক অনেক কৃতজ্ঞ। আজ যদি মেয়ে দুটো না থাকতো তাহলে কতদিন যে আমাকে না খেয়ে থাকতে হতো।ওরা আছে বলেই অসুস্থতার সময় গুলোতে খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারি।
আমার গর্ভধারিণী মায়ের অভাব কখনোই পূরণ হবার নয় জানি।তারপরও আমার মেয়েদের কে দিয়ে সেই অভাব কিছুটা হলেও পূরণ হয়েছে।আর এই দুই মাকে নিয়ে আমি আগামী দিনগুলো পার করতে চাই।ঈশ্বর যেনো ওদের সবসময়ই ভালো রাখেন।আপনারাও আমার মায়েদের জন্য অনেক অনেক আশীর্বাদ,দোয়া করবেন।
আমাদের উইটনেস কে সাপোর্ট করুন।
OR
তোমার দুই মেয়েই ভীষণ লক্ষ্মীমন্ত, দিদিভাই। এত ছোট বয়স থেকেই গুণে গুণবতী, কাজে কর্মে পটু। সবচেয়ে বড় কথা, দুইজনই মনের দিক থেকে ভীষণ ভালো। ওদের জন্য ভালোবাসা। ঈশ্বরের কৃপায় ভালো মানুষ হোক ওরা।
মাসিমনির মতো গুণী মেয়ে হতে হবে তো।আমি তো সবসময়ই বলি তোমরা মাসিমনির মতো হও তাহলেই আমি খুশি।☺️আশীর্বাদ করিও মনা।ধন্যবাদ ও অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো তোমার জন্য।❤️❤️
আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো ও খারাপ লাগা অনুভব করলাম।সত্যি আপু মা কে ছাড়া আমি এটা ভাবলেই চোখ আমার ভিজে উঠে। আপনার মা আজ দুইটা বছর আপনার পাশে নেই।এটা খুব খারাপ লাগা।আর ভালো লাগলো আপনার দুই মেয়ের কথা শুনে।ওরা দুজনই খুব ভালো।ঘরের কাজ,লেখাপড়া, গান সবকিছুতেই খুব দক্ষ।মায়ের এই অসুস্থতায় ওদের ভূমিকা পড়ে আমার খুব ভালো লেগেছে। সব সময় দোয়া করি আপনার মেয়ে দুটি আপনার পাশে ছায়ার মতো থাকুক।অনেক ধন্যবাদ আপু অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ দু'বছর হতে চলছে মা পাশে নেই।যখন আগের দিনগুলো মনে করি তখন ভীষণ খারার লাগে।আপু আপনি বিশ্বাস করবেন না আমার একটু কিছু হলে মেয়েরা যে কি পরিমাণ সেবা করে আমার।ওদের কারনেই এখনো ভালো আছি।আপনাদের দোয়ায় মেয়েরা সত্যি অনেক ভালো আছে আর সবসময়ই দোয়া করবেন যাতে ওরা ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো আপু।❤️
আসলে মা আমাদের জীবনের এমন একজন যার অভাব অন্য কেউই পূরণ করতে পারে না। আপনি আপনার দুই মেয়েকে দিয়ে সেই অভাবটা কিছুটা হলেও পূরণ করতে চাচ্ছেন এটা জেনে ভালো লাগলো। আপনার দুই মেয়ে সত্যি অনেক ভালো। দোয়া করি যেন আপনার দুটি মেয়ে ভবিষ্যতে আরো ভালো কিছু করতে পারে, এবং কি আপনার মুখ আরো অনেক বেশি উজ্জ্বল করতে পারে। তারা যেন অনেক দূরে এগিয়ে যায় এটাই দোয়া করি।
জ্বি আপু মায়ের অভাব কোনোকিছুতেই পূরণ হবার নয়।মেয়ে দু'টো আছে বলেই ভালো থাকার চেষ্টা করি আর ওরাও আমাকে অনেক ভালো রাখার চেষ্টা করে।সবসময়ই দোয়া করবেন আপু।অনেক অনেক ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রইলো আপু।❤️
মা হলো পৃথিবীর মধ্যে এক অমূল্য রতন
। মাকে অনেক বেশি ভালোবাসি তবে কখনোই বলা হয়নি এই কথাটি। মা হলো পৃথিবীর ভেতরে এক ভালবাসার ঝলমলে প্রদীপ।
তবে একই স্থানে থেকে কোন কিছু শেখা যায় না
। অবশ্যই আপনার পরিবার এবং আপনার দুই মেয়ের জন্য অনেক অনেক প্রীতি শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইল। সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে সুস্থ সুন্দর এবং উন্নত জীবন দান করুক এটাই কামনা করি।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া মায়ের মতো অমূল্য রতন আর কিছু হয় না।তা এখন প্রতি পদে পদে অনুভব করি।সবসময় দোয়া করবেন ভাইয়া।অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।🥰
কি বলবো মা হচ্ছে পৃথিবীর সবচাইতে মূল্যবান সম্পদ। কোন সন্তান যদি তার মাকে ভালোবাসে তাহলে মায়ের কোন অসুস্থ বা কোন কিছু হলে সন্তানের চোখ শুকনা থাকে না। আর আপনার দুই মেয়ে অনেক লক্ষী আপু। তাদের দেখেই বোঝা যাচ্ছে। শুভকামনা রইল তাদের জন্য তারা যেন মানুষের মতো মানুষ হতে পারে এই দোয়াই কামনা করি ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া মায়ের প্রতি সন্তানের ভালোবাসা থাকলে মায়ের অসুস্থতায় সন্তান ঠিক থাকতে পারে না।আমি বুঝেছি আমার মায়ের অসুস্থতার সময় কিরকম কষ্ট হয়।দোয়া করবেন ভাইয়া।ধন্যবাদ।🥰
আমাদের সবার জীবনে মা এমন একজন যার অভাব কখনো পূরণ হয় না, সে যদি আমাদেরকে ছেড়ে চলে যায় তখন। আপনার মা আপনাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে প্রায় দুই বছর হয়ে গিয়েছে এটা শুনে খুব খারাপ লেগেছে। আসলে আমাদের জীবনে কেউ সারা জীবন থাকে না। তবে আপনি দুইটি লক্ষ্মী মেয়ে পেয়েছেন। তারা যদি আপনার পাশে থাকে তাহলে আর কিছুরই প্রয়োজন হবে না বলে মনে করি। আপনার দুই লক্ষী মেয়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো। ওরা যেন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে দোয়া করি।
হ্যাঁ ভাইয়া মায়ের অভাব কোনোভাবেই পূরণ হবে না এটা বুঝি।এখন মাকে হারানোর কষ্ট সবসময়ই অনুভব করি আর মনে করি যদি মা আরও কিছু টা সময় আমাদের সাথে থাকতো তাহলে আমরা নিজেকে একটু গুছিয়ে নিতে পারতাম।ঠিক বলেছেন আমার মেয়েরা সত্যিই অনেক লক্ষ্মী তাই ওরদের পেয়ে সত্যিই আমি ধন্য।অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।🥰
দিদি মায়ের সাথে কারো তুলনা হয় না। কারণ মা সবসময় ছেলেমেয়েদের ভাল চাই। আপনি যখন মা হইছেন তখন মায়ের অনুভবটা বুঝতে পারলেন। তবে আপনার মেয়ে দুটি খুবই লক্ষী। আপনার অসুস্থ সময় তারা খুব সুন্দর করে রান্না করেছে আপনার জন্য। এবং আপনার মায়ের কথা আপনার মনে পড়ে গেল। আপনি মনে করতে হবে দুটি কন্যা সন্তানে আপনার মা। আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো আবার খারাপ লাগলো। আপনার মায়ের জন্য এখন আপনার মনটি কাঁদে। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু মায়ের সাথে কারো তুলনা হয় না।মা হবার পর তা বুঝতে পারি।আমার একটু শরীর খারাপ হলেই মেয়েরা দুজন মিলে রান্নাবান্না করে খাওয়ায় এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।দোয়া করবেন আপু।অনেক ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রইলো আপু।❤️
তবে আপু মেয়েরা হচ্ছে মায়ের জন্য বড় আশীর্বাদ। যখন মা অসুস্থ হয় তখন মেয়েগুলো পাশে থেকে মায়ের সেবা করে। আপনি অসুস্থতার কারণে আপনার মেয়ে দুটি খুব সুন্দর করে রান্না করে আপনাকে খাওয়াচ্ছেন। তবে আপু এক সময় সবাইকে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে। আপনি পোষ্টের মধ্যে লিখেছেন আপনার মা বিগত দুই বছর আগে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে। তবে আপনি একটু অসুস্থ হলে কোন কিছু হলে আপনার মা আপনার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়তো। আসলে এটি মায়ের ভালোবাসার সন্তানের জন্য। এখন আপনি নিজে মা হয়েছেন সে অনুভূতিতে আপনি নিজেই বুঝতেছেন। দোয়া করি আপু পরিবারের সবাইকে নিয়ে খুব সুখে থাকেন।