চাঁদ রাতে হাতে মেহেদী দেয়ার গল্প
হাতে মেহেদী দেয়ার সুন্দর মুহূর্ত
ঈদের আগের দিন রাতে মানে চাঁদ রাতে হাতে মেহেদী দেয়ার একটা ধুম পড়ে যায়। সারাবছর আর কোনো খবর না থাকলেও ঈদের আগের দিন সবার হাতে মেহেদী থাকা চাই। আমাদেরও একই অবস্থা। সন্ধ্যার পর থেকে মোটামোটি সিরিয়াল দেয়া শুরু করেছে মেহেদী দেয়ার জন্য। আমি আমার হাতের কাজ শেষ না করে একজনের টাও শুরু করতে পারবোনা বলে দিয়েছি কিন্তু তবুও কোনো লাভ নেয়। ভাতিজি, ভাগ্নি ,ছোট ছোট ভাই বোন এরা সিরিয়াল ধরেছে। যতক্ষণ না লাগিয়ে দিবো ততক্ষন কানের সামনে ঘেন ঘেন করতেই থাকবে।
পাড়ার একটা ছোট বোন আছে সেও বেশ সুন্দর মেহেদী লাগিয়ে দিতে পারে। তার কাছেও নাকি অনেক ভিড় জমেছে। তাই সেও বুদ্ধি করে সবার কাছ থেকে এক হাত দশ টাকা আর দুই হাতে মেহেদী লাগালে বিশ টাকা করে নেই। আর এই টাকার কথা শুনে অনেকেই চলে এসেছে আমার কাছে। আমিও নাকি ভালো মেহেদী দিয়ে দিতে পারি। যাক কি আর করা, সবকাজ শেষ করে একজন একজন করে মেহেদী দেয়া শুরু করলাম। এদিকে তাদের হাতে মেহেদী দিতে দিতে এখনো নিজের হাতে দেয়ার সময়টায় হচ্ছে না। সবার হাতে দেয়া শেষ করে নিজের হাতেও লাগিয়ে নিলাম নিজের মতো করে।
হাতে মেহেদী দেয়ার জন্য ছোটবেলায় প্রত্যেকেই কারো না কারো কাছে গিয়ে এভাবে অনুরোধ করে। আমরাও এভাবে কারো পিছনে ঘুরতাম হাতে মেহেদী দিয়ে দেয়ার জন্য। আর আজকের এই ছোট ছোট বাচ্চারাই একদিন আরো ছোটদের হাতে মেহেদী লাগিয়ে দিবে এটাই স্বাভাবিক আর এভাবেই চলবে সবসময়। হাতে মেহেদী দেয়ার সময়টা সত্যি অনেক আনন্দের। তাদের আগ্রহ ও উচ্ছাস দেখলে মনে হবে যেন ঈদ মানেই হাতে মেহেদী। হাতে মেহেদী ছাড়া যেন তাদের ঈদ হবেই না।
এদের আগের দিন রাতের বেশ কয়েকজনের হাতে মেহেদী লাগিয়ে দেয় ও হাতের ছবি তুলে রাখি যাতে সেই রাতের অনুভূতির কথা গুলো সকলের সাথে শেয়ার করা যায়। এদের মধ্যে কয়েকজন আছে যারা তাদের ছবি তুলতে নিষেদ করে তাই আর আমিও আগ্রহ করে তুলিনি। যাদের ছবি তুলেছি তাদের হাতের আমার করা কিছু মেহেদী ডিজাইন শেয়ার করেছি ও কিছু ভালোলাগার অনুভূতি শেয়ার করেছি।
হাতে মেহেদী লাগানোর পর ছবি। |
---|
ঈদের দিন তোলা ছবি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness
OR

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_

চাঁদ রাতে হাতে মেহেদী দেয়ার গল্প পরে ভীষণ ভালো লাগলো। আপু আপনি তো দেখছি চমৎকার মেহেদী দিতে পারেন। মেহেদী ডইজআইন গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আপু আপনার চাদঁ রাতে হাতে মেহেদী দেওয়ার গল্প পরে হতে অনেক ভাল লাগলো। সব ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচেছ আপনি খুব ভালো একজন ডিজাইনার। কেন যে আপনার বাসার পাশে বাসা হলো না। তাহলে তো আর আমার এত গুলো টাকা খরচ করে চাঁদ রাতে হাতে মেহেদী পড়তে হতো না। হি হি হি
চাঁদনি রাতে খুবি সুন্দর মেহেদি ডিজাইনগুলো করেছেন। আপনার মেহেদি ডিজাইন আমার খুবই ভালো লাগে।আর আপনি খুবই সুন্দরভাবে ডিজাইনগুলো হাতে করে দিয়েছেন। দেখে খুবই ভালো লাগলো।
চাঁদ রাতে হাতে মেহেদী না দিলে কি চলে।আগে জানলে আপনার কাছেই চলে আসতাম আপু। 😂আমি দিয়েছি ঈদের দুইদিন পর।যাই হোক আপনি তো খুব সুন্দর সুন্দর ছবি আঁকেন। আপনার কাছে মেহেদী সুন্দর ডিজাইন করা কোন ব্যাপারই নয়।দারুন হয়েছে দারুন।শেয়ার করলেন তাই দেখতে পেলাম।ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
চাঁদ রাতে মেহেদি না দিলে ঈদের মজাটাই হয় না। আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু মেহেদির ডিজাইন এঁকেছেন। সবগুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আপু, চাঁদরাতে মেহেদি দেওয়ার গল্পটা শুনে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে আপু ঈদ উপলক্ষে চাঁদ রাতে ছোট ছেলেমেয়েদের প্রধান আকর্ষণীয় থাকে হাতে মেহেদির ডিজাইন করা। তবে মেহেদী দেওয়ার ক্ষেত্রে এক হাত প্রতি 10 টাকা করে নেওয়ার বিষয়টি জেনে একটু অবাক হয়ে গেলাম। আর আপনি যেহেতু সস্তায় হাতে মেহেদি ডিজাইন করে দিয়েছিলেন তাই আপনার কাছে একটু ভিড় হওয়াটাই স্বাভাবিক। আপু আপনার দেওয়া মেহেদি ডিজাইন গুলো অসাধারণ সুন্দর হয়েছে।