গিন্নির জন্মদিনের ভিডিও মুহূর্ত || @shy-fox 10% beneficiary
জন্মদিনের অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগেই মোখলেস ভাই চলে এসেছে । মূলত সে তার দোকান আধা বন্ধ করে রেখে এসেছে। সন্ধ্যাবেলায় যদিও তার বেশ ভালোই কাস্টমার হয় । তবে আমি তাকে দ্রুত ফোন দিয়েছি, তাই সে আগেই চলে এসেছে । আসার সময় হাতে করে দেখি মিষ্টি নিয়ে এসেছে । যদিও আমি তাকে বলেছিলাম যে, এসবের কোন দরকার ছিল না । তারপরেও সে নিয়ে এসেছে । যাইহোক আমি হীরাকে বললাম মোখলেস ভাইকে আগে খেতে দেওয়ার ব্যবস্থা করো , কারণ সে দোকান ছেড়ে এসেছে ।
এমনিতেই ভাসমান দোকান হয়তো শুধু কাউকে একটু দেখতে বলেই চলে এসেছে । হীরা বেশ স্বাচ্ছন্দেই তাকে প্রথমে খেতে দিল । আমি মোখলেস ভাইকে বললাম, একটু না হয় দেরি করে যাও । আমাদের সঙ্গে কেকটা কেটে যেও । তবে বুঝলাম তাকে এই মুহূর্তে আর জোর করা ঠিক হবে না ।
এদিকে আমার ছোট ভাইয়েরা মোটামুটি সন্ধ্যার পরপরই চলে এসেছে । বাসায় এসে মোটামুটি বেশ ভালোই গল্পগুজব করছে তারা । আমিও তাদের সঙ্গে কিছুটা সময় সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করলাম এবং চেষ্টা করলাম হীরাকে কিছুটা কাজে সহযোগিতা করার জন্য ।
আজ অবশ্য অর্থী ও জাহিরা বেশ দ্রুতই চলে এসেছে । দু'জনকেই খুব সুন্দর লাগছিল । একজন সাদা ড্রেস পড়েছে আর একজন আকাশী রঙের জামা । মিষ্টি মেয়ে দুটোকে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, তোমাদের আম্মুরা কখনো আসবে । কারণ তারাই আমার মূলত অতিথি । তাদের পরিবারকেই শুধুমাত্র আমি দাওয়াত করেছি এই জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ।
হীরাকে বলেছি আমি কিন্তু সাড়ে নয়টার পরে আর কোনভাবেই সময় দিতে পারবো না । যা করার তার আগেই করে নাও । কারণ আমার অফিসিয়াল মিটিং আছে । অতঃপর খানিকবাদেই রিতু ভাবি আর বৌদি দুজনেই হাজির । আমি আর সময় নষ্ট করতে কোনোভাবেই চাচ্ছিলাম না । কারণ আর অল্প কিছুক্ষণ পরেই আমার অফিসিয়াল মিটিং শুরু হয়ে যাবে । তাই আগেভাগেই আমরা সকলে মিলে বসে কেক কাটার পর্বটা সেরে নিলাম ।
যদিও এবারের কেকটা বেশ ছোট ছিল । তবে খেতে বেশ সুস্বাদু ছিল । আসলে বড় কেক গুলোর শুধুমাত্র সাইজ হয় কিন্তু খেতে খুব একটা স্বাদ হয় না । তবে এদিক থেকে ছোট কেক গুলো দেখতেও সুন্দর খেতেও বেশ মজা । আমি তো কেক কাটার পরে হীরাকে বললাম আমাকে আজকে একটু বেশি করে কেক দিও, ভালোই লাগছে কেকটা খেতে । এই কথা যে শুধুমাত্র আমি একাই বলেছি তা কিন্তু না । মোটামুটি আমার অতিথিরাও একই কথা বলেছে ।
কোনরকমে কেক কাটার পর্ব শেষ করেই যখন ঘড়ির দিকে তাকালাম তখন রাত্রি সাড়ে নয়টা বাজতে আর মিনিট পাঁচে বাকি । আমি বললাম তুমি কষ্ট করে একটু অতিথিদের সামলাও। আমাকে দ্রুত স্টুডিও রুমে যেতে হবে । কারণ আমার মিটিং শুরু হবে ।
যদিও হীরা ফিসফিস করে মনেমনে কি যেন বলছিল তবে সেদিকে আর গুরুত্ব দেওয়ার সময় নেই । যাইহোক চেষ্টা করলাম নিজের মতো করে কলিগদের সঙ্গে মিটিংয়ে যুক্ত হওয়ার জন্য আর ওদিকে ও একাই সামলাচ্ছিল বাসায় আসা অতিথিদের । কিচ্ছু করার নেই আমার,কর্মই যেখানে জীবন, সেখানে আগে কর্মকে প্রাধান্য দেয়াই উচিত ।
মিটিং এর ফাঁকে মাইকটা একবার অফ করে চেষ্টা করলাম বাসার ভিতরে পরিবেশটা দেখার জন্য । দোতালা থেকে সুফিয়ান ভাই এসেছে সঙ্গে রিতু ভাবী ও বৌদির পরিবারের সবাই খেতে বসেছে । আমি তাদেরকে শুধুমাত্র ইশারা করলাম যে, সবকিছু ঠিকঠাক আছে তো । তারাও আমাকে ইশারাতেই জবাব দিল । আবারো ঢুকে পড়লাম রুমে । তবে যখন বের হলাম, তখন মোটামুটি রাত পৌনে বারোটার মত বাজে ।
বের হয়ে দেখি , পুরো বাসা ফাঁকা । বুঝতে পারলাম যে, অনুষ্ঠান অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে । হীরা ও বাবু ঘুমিয়ে গিয়েছে তাদের রুমে । হীরাকে আর ডিস্টার্ব করলাম না । খাবার টেবিলে গিয়ে দেখি আমার জন্য খাবার সেজে রেখে দিয়েছে একটা প্লেটে । যাইহোক ব্যাপারটা দেখে ভালোই লাগলো ।
যতটুকু পেরেছি নিজের থেকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করেছি আর এভাবেই চলছে আমাদের জীবন । প্রতিটা অনুষ্ঠানেই কমবেশি টুকটাক নিজের থেকে অংশগ্রহণ করার জন্য চেষ্টা করেছি । দেখতে দেখতে গিন্নির জন্মদিনটাও বেশ ভালো ভাবেই পাড়ি দিয়ে দিলাম । এর মাঝেও চেষ্টা করেছি মুহূর্তগুলোকে বন্দী করে রাখার জন্য । যদিও গতকাল কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলাম । তাই আজকে শেয়ার করলাম সেই মুহূর্তের ভিডিওগ্রাফি , আশা করি ভালো লাগবে ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

প্রথমেই হিরা ভাবিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। চমৎকার আয়োজন ছিলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। ভিডিওটি অনেক সুন্দর হয়েছে। আর জন্মদিনের কেক দেখে তো খেতে ইচ্ছা করছে। আমাদের কিন্তু খাওয়াতে হবে ভাইয়া। আপনার পুরো পরিবারের জন্য দোয়া রইল 🤲
ভাইয়া ভাবির জন্মদিনটা ছোট করে সেলিব্রেট করা হলেও নিজেকে অনেকটা ভিআইপি মনে হচ্ছিল। আমরাই মূল অতিথি জানতে পেরে খুব ভালো লেগেছিল।আর কেক টা তো ইয়াম্মি ছিল।এজন্য দুবার করে খেয়েছি।আর ভাবির সব খাবার গুলো অসাধারণ হয়েছিল।আমিতো শুটকি ভর্তা অনেকটাই খেয়ে ছিলাম।সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটা সময় কাটিয়েছি।এভাবে বারবার ভাবির জন্মদিন ফিরে আসুক।আর আমরাও এরপর নিজে থেকে দাওয়াত নেব ভাবির হাতের সুন্দর রান্না খাওয়ার জন্য।
আমার কাছেও শুটকি ভর্তাটা বেশ ভালোই লেগেছিল ভাবি । যদিও পরে খেয়েছিলাম তবে ভালোই ছিল ।
খুবই অল্প সময়ের মধ্যে আপনি ভাবি অনেক আয়োজন করেছিলেন। ঘরোয়া ভাবে সুন্দর একটি মুহুর্ত আমরা উপভোগ করতে পেরে খুবই আনন্দিত। ভাবির রান্না অসাধারণ ছিল। সবমিলিয়ে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভাবির জন্য মন থেকে আর্শীবাদ করি তার জীবনে বার বার ফিরে আসুক এই দিনটি। আপনাদের ভালোবাসা সবসময়ই যেনো এরকমই থাকে।❤️❤️❤️
অবশ্যই বৌদি , পরের বার জন্য অগ্রিম দাওয়াত দিয়ে রাখলাম।
প্রথমেই অনেক অনেক ধন্যবাদ হীরা ভাবির জন্মদিন উপলক্ষে শুভ জন্মদিন। জন্মদিনের কেকটা অনেক সুন্দর ছিল দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে। আর ভিডিওটাও অনেক সুন্দরভাবে করেছিলেন। অনেক সুন্দর ইনজয় মুলক সময় কাটিয়েছেন দোয়া কামনা করি যেন এই দিনটি আপনার জীবনে বারবার ফিরে আসে আর আপনার বাচ্চাটাও দেখতে অনেক কিউট। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য।
ভাইয়া বিডিওটা দেখলাম। আপনি মোম বাতিতে আগুন ধরিয়ে দিলেন। বাতাসের জন্য আগুন ধরতে চাই না। বাসার মধ্যে ভালই বাতাসের ব্যবস্থা করেছেন। ভাবি কেক কাটার সাথে সাথে আপনি কোথায় গিয়ে আবার কেক খাওয়ার জন্য আসলেন। সবাই মিলে ভালই খাওয়া দাওয়া করলো। ধন্যবাদ।
প্রথমেই ভাবীর জন্য জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইল। শুভ জন্মদিন।। যাইহোক বেশ ভালো লাগলো ভাই ভাবির জন্মদিন উপলক্ষটা। অনেক সুন্দর হয়েছে জন্মদিনের অতিথি আপ্যায়ন ও পরিবেশনা। বাঙালি আনায় ভরপুর ছিল ঘরোয়া অনুষ্ঠানটি। আপনার পরিবারের জন্য মঙ্গল কামনা রইল।
হুম খাবারের মেনুতে চেষ্টা করেছিলাম ভাই বাঙালী আনায় প্রাধান্য দেওয়ার জন্য।
হীরা ভাবীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ভাবি সবসময় ভালো থাকুক এই কামনা ৷
যাই হোক দিনশেষে কর্মই জীবন খুব চমৎকার কথা বলেছেন ৷ ভাবীর জন্মদিন আপনি ভালো করে পালন করতে পারেন নি ৷সেটা পোষ্টটি পড়ে বেশ ভালো ভাবেই বুঝতে পারলাম ৷
আর মোখলেজ ভাই আপনার প্রথম অতিথি খুব ভালো ৷কারন মোখলেজ ভাইয়ের গল্প পড়েছি ৷
ধন্যবাদ ভাই
হুম মোখলেস ভাই আসাতে আমিও বেশ খুশি হয়েছিলাম ভাই ।
হিরা আপুর জন্মদিনে সবাই মিলে সত্যি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। তবে আপনি আপনার নিজের কর্মব্যস্ততার জন্য হয়তো সবাইকে সময় দিতে পারেনি। কিংবা সবার সাথে খেতে পারেননি। তবে আপনার আয়োজনে কোন কমতি ছিল না ভাইয়া। নিজের প্রিয় সহধর্মীনির জন্য অফুরন্ত ভালোবাসা মিশে ছিল ভাইয়া।
জীবনে চলতে গেলে আসলে সব দিকেই একটু নজর দিতে হয় , হয়তো সেই জায়গা থেকে চেষ্টা করেছি একটু ।