ছবি ও শৈশব || @shy-fox 10% beneficiary
আমি মানুষটা ভীষণ খুঁতখুঁতে স্বভাবের । যেখানেই যাই কেন , সেখানকার একদম আদ্যপ্রান্ত সবকিছু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখার চেষ্টা করি । তবে সেটা যেকোনো জায়গাতেই হোক না কেন, সেখানকার পরিবেশ মুহূর্তেই আমি নিজের মতো করে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করি এবং ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করি কি চলছে সেই পরিবেশে । যাইহোক কদিন আগেই গিয়েছিলাম গ্রামের বাড়িতে। ছবিগুলো সেখানেই তোলা হয়েছিল ।
মাটির উপর দাগ কাটিয়ে এই খেলাটি সম্ভবত অনেকেই খেলেছেন। তবে এই খেলাটি আমিও খেলেছিলাম একদম ছোটবেলায় । হুট করে যখন দুজন বাচ্চা খেলছিল, তখন বিষয়টা আমার মুহূর্তেই দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিয়েছিল । কারণ আমি মুহূর্ত বন্দি করে চলেছি প্রতিনিয়ত । তাই ধারণ করার চেষ্টা করেছি আমার মুঠোফোনে এই মুহূর্তটা ।
গত কয়েক দিনের ঝড়ে এলাকার অবস্থা ভীষণ নাজুক। বিশেষ করে ফসলের মাঠের চেহারার দিকে তাকালেই সেটা বোঝা যাচ্ছে কেমন বাতাস হয়েছে এই অঞ্চলে । হ্যাঁ বন্ধুরা গত কয়েক দিনের ঝড়ো বাতাসে ফসলের জমির ধান গুলো একদম মাটির সঙ্গে লেগে গিয়েছে । অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে ফসলের জমির ধান গুলো ।
এই মেঠোপথ আমার বহু পরিচিত । ছেলেবেলায় কত এসেছি , কত দৌড়াদৌড়ি কত ছোটাছুটি এইসব ভাবলেই অনেকটাই আবেগপ্রবণ হয়ে যাই । আজ সেই মেঠো পথে আবারও এসেছি বহু বছর পরে । চেষ্টাকরছি এই মেঠোপথের চারপাশের সৌন্দর্য্য আবারও নতুন করে উপভোগ করার জন্য । আগে যখন গ্রামে থাকতাম,তখন মাঝে মাঝেই এই মেঠোপথের পাশে এসে বসে থাকতাম বিকেল করে । সেই সময়ে অনেক বন্ধুরা মিলে গুনগুন করে গান গেয়ে সময় কাটিয়ে দিয়েছি কত, তার কোন সঠিক হিসেব নেই ।
গত কয়েকদিনের ঝড়-বাতাসের পড়ে আকাশে কেবল সূর্য উঁকি দিয়েছে আর তাতেই গ্রামীণ বধু ব্যস্ত হয়ে গিয়েছে ধান শুকাতে । এমন দৃশ্য বহুদিন পরে চোখে পরলো । ঐযে আমি বললাম আমি মুহূর্ত বন্দি করি, তাই এই মূহূর্তটাকে পাশ কাটিয়ে যেতে পারিনি ।
এই পুকুরগুলোতে যে ছোটবেলায় কত বার গোসল করেছি, তার কোন হিসেব নেই । আজ যখন পুকুরপাড়ের পাশের হাঁটাহাঁটি করছি ঠিক সেই সময়ে অতীতের দিনগুলোর কথা মনে পড়ছিল । অতীত বড়ই আবেগপ্রবণ বারবার শুধু ছেলেবেলায় ফিরে নিয়ে যেতে চায় । তবে চাইলেই তো আর ছেলেবেলায় ফিরে যাওয়া যায়না । হয়তো অনুভূতির মাঝে ছেলেবেলা গুলো বেঁচে থাকে যুগ থেকে যুগান্তর ।
হয়তো প্রকৃতির পরিবর্তনে বাচ্চা কারণে ছেলেগুলোর মাঝে অনেকটাই হাসি ফুটেছে । এই নির্মল পরিবেশে তারা টঙের পাড়ে হাওয়া বাতাস খাচ্ছে । সময়টাকে নিজের মতো করে নিয়েছে তারা আর অপরদিকে কৃষকের মন খারাপ, সে হয়তো তার জমির নষ্ট হয়ে যাওয়া ধানগুলো কাঁধে করে বাড়ি ফিরছে আর এইদিকে গোয়ালা চেষ্টা করছে তার গাভীর সঠিক পরিচর্যা করার জন্য ।
সত্যি বলতে কি এই জীবন গুলো সত্যিই অদ্ভুত । ঠিক কতটা অদ্ভুত হয়তো কাছ থেকে না দেখলে অনুভব করা খুবই মুশকিল । হয়তো কতটুকু ছবিতে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি তা আমি জানিনা । তবে এগুলোই আমার অতীত, এগুলোই আমার ছেলেবেলা, এগুলোই আমার শৈশব । এসবের মাঝেই আমি বেড়ে উঠেছি । আজ যখন দীর্ঘদিন পরে খুব কাছ থেকে এই দৃশ্যগুলো আবারো দেখছি , তখন হঠাৎ করেই অনেকটাই আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছি । বেঁচে থাকুক আমার শৈশব এই কামনাই করছি ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

ঠিক বলেছেন ভাইয়া, জীবন বড়োই বৈচিত্র্যময়।আপনার প্রত্যেকটি ছবি ভীষন সুন্দর হয়েছে।প্রথম ছবিটি দেখেই আমার স্কুলজীবনের কথা মনে পড়ে গেল।এই খেলাটিকে আমরা প্যাত প্যাত বলতাম।আমরা এটি খাতায় দাগ কেটে কিংবা স্কুলের বেঞ্চে দাগ কেটে খেলতাম।দারুণ মজার খেলা ছিল।আর যখন গ্রামের বাড়ি থাকতাম তখন তো প্রতিনিয়ত সাঁতার কাটতাম।গরু আমার ভীষণ প্রিয় ।আমাদের বাড়ীতে আগে অনেক গরু ছিল ,তাই গরুর সঙ্গে আমার অনেক গভীর আত্মার স্মৃতি রয়েছে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার ব্যাপারটা জেনে বেশ খুশি হলাম আপু । ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।
আসলে ভাইয়া শৈশবে আমরা এই খেলা অনেকে খেলেছি। আসলে মাটিতে দাগ কেটে এই খেলাটি আমার মনে হয় গ্রাম অঞ্চলের প্রতিটা মানুষই শৈশবে খেলেছে। আমার খুবই ভালো লাগছে আপনার পোস্টের মাধ্যমে গ্রামের সেই ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল, বিশেষ করে গ্রামের সৌন্দর্য পথ দিয়ে আপনার হেঁটে যাওয়ার সেই দৃশ্যগুলো আসলে আমার সবার গ্রামের মেঠো পথে হেঁটে যাবার দৃশ্য এবং স্মৃতি রয়েছে। ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়। যাইহোক আপনার গ্রামের সুন্দর পরিবেশের ফটোগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো এবং সুন্দরভাবে আমাদের শৈশবের স্মৃতি তুলে ধরেছেন, ধন্যবাদ ভাইয়া।
এটা একদম সত্য কথা, স্মৃতিগুলো যখন হুট করে চোখের সামনে ভেসে ওঠে , তখন অনেকটা আবেগপ্রবণ হয়ে যাই আমরা।
অতীত থেকে কখনো ভুলে থাকা সম্ভব না। সম্ভব না অতীত থেকে ভুলে বেঁচে থাকা। নিজের শেকড়ের টানে আপনি ঠিকই ফিরে গিয়েছেন সেই চিরচেনা আদিনিবাসে। যেখানে ছোটবেলায় কাটিয়েছেন শৈশব যে জায়গাটাই আপনার রঙিন শৈশব কেটেছে। পুকুড়ে গোসল করা মেঠোপথ দিয়ে হেঁটে চলা। যতদিন বেঁচে থাকবেন এগুলো আপনার মনে থাকবে। এগুলোই তো আপনাকে আমাকে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা দেবে। ঝড়ের পরে ধানক্ষেতের হেলে পড়া দৃশ্যটা আমি প্রতিনিয়ত দেখি। অসাধারণ একটি পোস্ট ছিল ভাই। সুন্দরভাবে গুছিয়ে লিখেছেন।।
একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই । এগুলো আমার জীবনের বেঁচে থাকার একটা মুহূর্ত । আমি মনে করি, যতবার দেখবো ততবার আমি শৈশবে ফেরত যাবো ।
💖💖
আসলে ভাই আমি মনে করি গ্রামীণ জীবনটা একটু অন্যরকমের। যা আসলে ভোলা সম্ভব না। কারণ আমাদের ছোটবেলা টাই কাটে গ্রামে অনেকেরই। গ্রামে কাটানো মুহূর্তগুলো সারা জীবনের একটা সুন্দর স্মৃতি হয়ে থাকে। সবচেয়ে ভালো লাগলো যে মাটিতে দাগ কাটে খেলাগুলো। আমি নিজেও অনেক খেলেছি এটাতে। সুন্দর সুন্দর কিছু গ্রামীন মুহূর্তে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাই। যা দেখে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এইরকম কিছু মুহূর্তে আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমি আপনার কথার সঙ্গে সহমত পোষণ করছি। এটাই একদম চিরন্তন সত্য কথা । আমরা যারা গ্রামে থেকেছি, তারা এই মুহূর্তগুলোর সঙ্গে অনেকটাই পরিচিত । যা চাইলেও ভোলা কখনো সম্ভব না ।
ভাই আমিও আপনার মত মাঝে মাঝে আবেগপ্রবণ হয়ে যাই। ছোটবেলার কথা মনে পড়লে কিংবা কোন জিনিস দেখলে যা আজও অনেক বছর পরও অপরিবর্তিত রয়েছে। বিশেষ করে গ্রামে গেলে এমন হয়। ইচ্ছে করে আবার যদি সেই ছোটবেলায় ফিরে যেতে পারতাম। যাইহোক আপনার ছবিগুলো খুবই ভালো লেগেছে। এগুলো শুধু ছবি নয় একজন মানুষের ভালোবাসা, একজন মানুষের অতীত। ধন্যবাদ ভাই
চাইলেই যদি সব কিছু ফেরত পাওয়া যেত, তাহলে তো বহু আগেই অতীতে ফিরে যেতাম । একদম ঠিক বলেছেন , আসলেই এগুলো ভালোবাসা ।
আজকে একদম মুগ্ধ করে ছাড়লেন ভাই। গ্রাম বাংলার সেই ঐতিহ্য তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে ফটোগ্রাফির মধ্য দিয়ে। এখন ধান কাটার সময়, কৃষকের পাকা ধান ঘরে উঠেছে। সে সমস্ত বিষয় গুলো ফটোগ্রাফি করেছেন এবং শেয়ার করেছেন। আসলে এখনও আমরা পুকুরে গোসল করে থাকি মাঝেমধ্যে। তবে ছোটবেলায় আমরা পুকুরে শুধু গোসল করি নাই,অনেক প্রকার খেলা খেলেছি বন্ধুদের সাথে। সর্বশেষে বলব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই।
আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, আপনার সাবলীল মন্তব্যের কাছে । আসলেই আমাদের অতীত জীবনটা, অনেকটাই রঙিন ছিল ।
আমি এখনো গ্রামে আছি ঈদের আগে আসার পর থেকে এই সব দৃশ্য দেখতেছি। আসলেই ভাই এই দৃশ্যগুলো দেখলেই সেই পুরোনো স্মৃতি মনে পড়ে যায়।
এই খেলাটি অনেক খেলেছি। ১৬ গুটি ৩২ গুটি, এই খেলা লুডু চোর পুলিশ, এই খেলা গুলো ৯০ দশকের খেলা। আপনার পোস্ট যখন পড়ছিলাম, সব স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছিলো। ধন্যবাদ ভাই শেয়ার করার জন্য।
নব্বইয়ের দশক হচ্ছে জীবনের সবথেকে সেরা সময় , আমি মনে করি । যেটা আর চাইলেও কখনো ফেরত পাব না ।
কিছুক্ষণের জন্য গ্রাম বাংলার সৌন্দর্যে হারিয়ে গিয়েছিলাম। আমিও গ্রামের ছেলে সেই সুবাধে খুব কাছ থেকে গ্রামের এই দৃশ্যগুলো দেখতে পেরেছি। মাটি কেটে গুটি খেলাটা আমিও খেলেছি সেই ছোটবলায়। সুপারি গাছের ছোট ছোট সুপারির বীজ দিয়ে খেলতাম তখন। এখন আর তেমন খেলা হয়নি। তবে শৈশবকে ভীষণভাবে মিস করি প্রতিনিয়ত ।
সুপারি গাছের খোল দিয়ে ঐ খেলাটা আমিও খেলেছি, ভালো লাগলো আপনার ব্যাপারটা জেনে ।
হ্যা ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে 😍
মাটিতে দাগ কেটে খেলাটা আমাদের এখানেও খেলতে দেখলাম বাচ্চাদের,মানে গ্রামে।আমার দেখতে বেশ ভালোই লাগে।তবে এসব কখনোই খেলা হয়নি।গ্রামীণ দৃশ্য গুলো দারুণ।
হ্যাঁ , আমার মনে হয় শুধুমাত্র নব্বইয়ের দশকের এই খেলাটাই এখনো গ্রাম অঞ্চলে বেঁচে আছে । গ্রামাঞ্চলে গেলেই দেখা যায় এই খেলাটা এখনো ।
ভাইয়া আপনার পোস্ট পরে সে ছোট্ট বেলার হাজার সৃতি মাথার মধ্যে উকি দিয়ে গেল৷ বাচ্চাদের দাগ কাটা খেলাটি অনেক খেলেছি আমি সেটাকে ৩ঘুটি বলে। আপনার লেখা সাথে ফটোগ্রাফি গুলো মন ভরে গেলো। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অঞ্চলভেদে হয়তো খেলাটার নাম আলাদা হতে পারে । তবে আপনার অঞ্চলের এই খেলাটির নাম জেনে ভালো লাগলো ।