ভিন্ন রকমের বৌভাত || @shy-fox 10% beneficiary
যাইহোক আমি ব্যক্তিজীবনে মোটামুটি তরল ব্যক্তিত্বের মানুষ। যখন যে রকম আচরণ করা দরকার, মূলত আমি সেইরকম আচরণের সঙ্গে কিছুটা মিশে যাওয়ার চেষ্টাকরি । কারণ আমি বিশ্বাস করি , তরল ব্যক্তিত্বের মানুষজন বিভিন্ন ভাবে নিজেকে সব জায়গায় মানিয়ে নিতে পারে ।
ঘটনাটি কিছুদিন আগের, লিখব লিখব করে সময় পাচ্ছিলাম না । তবে আজ যেহেতু একটু সময় পাইছি, তাই ভাবলাম লিখে ফেলি । এটা আমার জীবনে প্রথম ভিন্নরকমের একটি বিয়ের পরের বৌভাতের দাওয়াত খাওয়ার অভিজ্ঞতা। যেখানে দাওয়াত খেয়েই মূলত আমাকে চলে আসতে হয়েছে । বরকে দেখেছি খুব ছিমছাম ভাবে, মানে বাড়িতে যে রকম সাধারণভাবে থাকে ঠিক সেইভাবেই আর বউকে তো চোখের সামনেই দেখতে পাড়িনি । মানে খুঁজেই পাইনি ।
যাইহোক আমি মানুষকে সম্মান করতে পছন্দ করি এবং ভালবাসি এবং একেক জনের রীতিনীতি একেক রকম থাকতে পারে । আমি আমার নিজস্ব জায়গা থেকে প্রত্যেকের রীতিনীতি ও নিয়মকানুনগুলোকে পারতপক্ষে শ্রদ্ধা করার চেষ্টা করি । কারণ স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করলেই ব্যপারটা স্বাভাবিক, জটিল করলেই জটিল ।
আমার গ্রামের চেম্বারটা যে জায়গায় অবস্থিত মূলত সেই জায়গা থেকে কিছুটা দূরেই তানভীরদের বাড়ি । তানভীর আমার চেম্বারে কিছুদিন আগে দাঁত দেখাইতে এসেছিলো । যাইহোক বিয়ের আগে আরকি তার দাঁতের যত্ন নিয়েছিল । মানে তার দাঁতগুলো ভালোভাবে ঝকঝকা করে পরিস্কার করে নিয়েছিল আমার কাছ থেকে । সেই সুবাদেই পরিচয়, তবে সে যে আমাকে তার বৌভাতের অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেবে এটা আমি খুব একটা কল্পনা করিনি। তবে যেহেতু দাওয়াত দিয়েছে, তাই মূলত চেষ্টা করেছিলাম সেই দাওয়াতে উপস্থিত থাকার জন্য ।
ইমুকে আগের দিন বলে রাখলাম, পরের দিন কিন্তু আমাদের দাওয়াত আছে । যেতে হবে আমার চেম্বার থেকে খানিকটা দূরে । যাইহোক একা যেতে মন চাচ্ছে না । তাই তোকে সঙ্গে করে নিয়ে যাব। ইমু যেহেতু মোটামুটি এখন ফ্রি আছে, তাই সে আমার সঙ্গে যেতে রাজি হয়েছে । দাওয়াতের দিন মোটামুটি দুপুরবেলার দিকে আমরা সেখানে গিয়ে পৌছেঁছি । আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল দাওয়াত খেয়ে , তারপরে চেম্বার করে একদম রাতে বাড়ি ফিরব ।
দুপুরের দিকে বিয়েবাড়ী এলাকাতে পৌঁছালাম । আমার কোনোভাবেই জায়গাটাকে দেখে বিয়ে বাড়ি মনে হয়নি। একদম নিরিবিলি শান্ত পরিবেশ। তবে একটা জায়গায় গিয়ে দেখলাম বিয়ের গেট সাজানো । তারপর ব্যাপারটা দেখে তখন মনে হল যে, না ঠিকঠাক সময়মতো আমরা এসেছি এবং এখানেই বিয়ে হচ্ছে । কোথায় একটু হয়তো গান বাজনা শুনবো কিন্তু এখানে ব্যাপারটা সেই রকম ছিল না । যাইহোক মোটামুটি আমি ও আমার ছোট ভাই , সেই সাজানো গেট দেখে সেই পথেই যাত্রা শুরু করলাম ।
ছবিতে আমার সঙ্গে যে ছেলেকে দেখতে পাচ্ছেন, সেই ছেলেই হচ্ছে বর। আমি রীতিমতো তাকে গেট দিয়ে ঢোকার পরে দেখেই কিছুটা অবাক হয়ে গিয়েছি । আমি তাকে বললাম কী খবর তানভীর, তোমার তো আজকে বৌভাত তুমি এমন অবস্থায় কেন । সে আমাকে বলল , আরে ডাক্তার সাহেব আর বলেন না । আমাদের এখানকার নিয়ম কানুন এইরকমই। আমি তো ব্যস্ত আছি সবাইকে খাওয়ানো নিয়ে, আপনি বসে যান ফাঁকা টেবিল দেখে ।
যাইহোক ভাই, একেক জায়গায় একেক রকম নিয়ম থাকতেই পারে। আমি ব্যাপারটা নিয়ে খুব একটা মাথা খাঁটালাম না। যেহেতু আমার ক্ষুধা লেগেছে আর দুপুরবেলা বাসায় ভাত খেয়ে আসিনি । তাই মোটামুটি ইমুকে বললাম, চল একটা ফাঁকা টেবিল দেখে বসে যাই এবং খেয়ে নেই । টেবিলে বসার সঙ্গেই মোটামুটি একদম বেশ এলাহিকান্ড অবস্থা। কারণ সেখানকার লোকজন খুব অতিথি আপ্যায়ন প্রিয় । তারা একদম আমাদেরকে মাথায় তুলে রাখার মত অবস্থা । যাইহোক আমাদেরকে মোটামুটি ভালই আপ্যায়ন করল । তাদের খাবারের যে মেনুগুলো ছিল, সব গুলো একেক করে দেওয়ার চেষ্টা করলো ।
আমি ভাই ভোজন রসিক মানুষ। এমনিতেই ক্ষুধা লাগছে, যাইহোক তবে ব্যাপারটাকে বেশ ভালোভাবেই উপভোগ করলাম । মোটামুটি তাদের খাবারের আইটেম গুলো ভালো ছিল এবং সব গুলো আইটেম ভালোভাবেই টেস্ট করলাম । তবে যেহেতু আমার রোস্টের প্রতি ভীষণ আগ্রহ কাজ করে। তাই আমার প্রথম নজর, যেকোনো দাওয়াতে গেলেই মুরগির রোস্টের দিকে থাকে ।
অতঃপর দুই ভাই মিলে পেট পুরে খেয়ে , তারপরে এদিক-সেদিক একটু ঘোরার চেষ্টা করলাম। তবে কোথায় কি , কাউকেই তেমন দেখতে পারলাম না। সব দিকেই শুধু বয়স্ক মানুষজন । মানে এটা যে একটা বিয়ে বাড়ি, আমি সেইরকম কোনোভাবেই ব্যাপারটাকে সহজে গ্রহণ করতে পারলাম না । তবে যাইহোক এরকম অভিজ্ঞতা আমার প্রথম হলো ।
তবে আমাদের সঙ্গে যে,ক্যামেরাম্যান গুলো ছবি তুলছিল তারাও হয়তো কিছুটা বিব্রতবোধ করছিলো । কারণ তারা কোথায় বর বউয়ের ছবি তুলবে, সেটা না করে আমাদের ছবি তোলা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিল । আসলে ক্যামেরাম্যান গুলোর তো আর করার কিছু নেই, তাদেরকে ভাড়ায় ডেকে নিয়ে আসা হয়েছে। তাই তারা যা পাচ্ছে , তারই ছবি তুলছে । যেহেতু বর-বউ কেউ স্টেজে বসেনি । তাই ক্যামেরাম্যান গুলো মোটামুটি কিছুটা বিচলিত ছিল ।
এতক্ষণ পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল । তবে মেইন বিপত্তি আমার কিছুটা হয়েছিল, যখন আমি দাওয়াত খেয়ে আসার সময় স্টেজের সামনে এসে উপহার দেবো ঠিক সেই সময়টাতে । কারণ স্টেজে দেখি একটা বয়স্ক লোক বসে আছে, সে মূলত উপহার গুলো কালেক্ট করছে আর মানুষের নাম খাতায় লিখে রাখছে আর পান খাওয়াচ্ছে ।যাইহোক ভাই , হয়তো এই জায়গার নিয়মকানুন এইরকম। তাই ব্যাপারটা নিয়ে আমি আর বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করার চেষ্টা করলাম না । ইমুকে বললাম, আমিতো পান খাইনা । তুই এই টাকাটা উপহার দিয়ে, আমার নামটা লিখে দিয়ে একটা পান নিয়ে চলে আয় ।
সত্যি বলতে কি এই ৩০ বছরের জীবনে, বহু রকমের বিয়ে খেয়েছি । তবে এমন অদ্ভুত ধরনের বৌভাতের অনুষ্ঠান আমার জীবনে এই প্রথম খাওয়া । যেখানে শুধুমাত্র বরকে দেখলাম, মোটামুটি সে একদম ছিমছাম পরিবেশে মানুষকে খাওয়ানো নিয়ে ব্যাস্ত আর বউয়ের তো দেখাই পেলাম না । যাইহোক এই ভিন্ন রকম অভিজ্ঞতার কথাটা মনে থাকবে বহুদিন পর্যন্ত ।।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

আমার কাছেও অদ্ভুত লাগলো বিষয়টি।
অদ্ভুত নিয়ম ই বটে।
বরের চেয়ে তো অন্যদের ই বেশি সাজানো গোছানো মনে হচ্ছিলো।
তবে যেখানকার যা নিয়ম হলেও ব্যবস্থা সুন্দর এবং পরিপাটি ছিলো।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য ।
ভাই আপনি না বললে কিন্তু ওই ভাই যে বর ছিল সেটা বোঝাই যাচ্ছিল না। আসলে আমরা বিয়ে বাড়ি গুলোতে এমন ভাবে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে একটু গান বাদ্য বাজনা না থাকলে কেমন জানি একটা পানসে পানসে ভাব লাগে। তবে যে প্যানডেমিক সিচুয়েশন চলছে সে অনুযায়ী অনুষ্ঠান তুলনামূলক ভালোই বড় করেছে ওনারা। আরেকটি বিষয় আমার নিজের খুব ভালো লাগে যেমন জায়গায় তেমনভাবেই নিজেকে মানিয়ে নেয়া। আর এটা আপনার মধ্যে খুব ভালো গুণ রয়েছে আমি মনে করি।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য ।
আসলে এক এক জায়গার নিয়ম এক এক রকম। আমাদের এই দিকে বৌভাতের সময় বর-বউ দুজনই সেজে থাকে। অবশ্য টাকা তুলার ধরনটা আমাদের এই দিকেও এমনই। যাক, আপনার নতুন এক বৌ ভাতের অভিজ্ঞতা হলো। আপনার পোস্টের মাধ্যমে অনেক নতুন অভিজ্ঞতার কথা জানা যায়। আপনার পোস্টগুলো একদম বাস্তবধর্মী অনেক ভালো এই জন্য। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভিন্ন রকমের বৌভাতের ঘটনা শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য ।
আমিও জেনে অবাক হয়ে গেলাম, একটা বিয়ে বাড়ীতে লোকজন নেই, যারা আছে তার অধিকাংশই বয়স্ক। বিষয়টা কেমন যেনো হয়ে গেলো। যাই হোক এটাই হয়তো তাদের নিয়মনীতি। অনেক সুন্দর অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন সেখানে।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য ।
ভাইয়া আপনার লেখা এই কথাটি আমার অনেক ভালো লেগেছে। তরল ব্যক্তিত্বের মানে হয়তো আমি বুঝিনা তবে এতটুকু বলতে পারি আমার দেখা আমার চোখে আপনি একজন সেরা ব্যক্তিত্বের মানুষ। আপনি সব সময় সব পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন। আপনার এই গুণটি আমার অনেক ভালো লাগে। সত্যি কথা বলতে ব্যক্তিত্বের বিশেষ গুণ সব মানুষের মধ্যেই থাকে না। এই বিশেষ গুণটি আমি আপনার মাঝে পেয়েছি। তবে ভাইয়া আপনি আজ যে বিয়ে বাড়ির ঘটনা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন সেটি সত্যিই অবাক করার মত। গান বাজনা, হৈ হুল্লোড় এসব ছাড়া যে বিয়ে বাড়ি হতে পারে তা আমি কখনো ভাবতেই পারিনি। আর বৌভাতের অনুষ্ঠানে বউ নেই সেটা আবার কেমন কথা। সত্যিই অবাক হওয়ার মতো একটি ঘটনা ঘটেছে আপনার সাথে। তবে যাই হোক আপনি আপনার সেই মুহূর্তটি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এটা জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য ।
হাহা,ভাইয়া আজকের পোস্ট পড়ে বেশ মজাই পেলাম।এভাবে কারো বিয়েতে গিয়ে বউকে না দেখেই ফিরে এলেন।যাইহোক ভাইয়া,সবটা পড়ে খুব ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য ।
অঞ্চল ভেদে বৌভাতের অনুষ্ঠানে অনেক পার্থক্য রয়েছে। হয়তো তারা বাড়ির বউকে সবার সামনে উপস্থিত করতে চাচ্ছিলনা। তবে যাই হোক ভিন্ন রকম একটি বিয়ের অভিজ্ঞতা আপনার হয়েছে এটাই বড় কিছু। সবকিছুই যদি একই রকম হয় তাহলে মনে থাকে না। এই বিয়ের অনুষ্ঠানটি আপনার কাছে ভিন্নরকম মনে হয়েছে বলেই হয়তো আপনি এই বিষয়টি আমাদের সাথে উপস্থাপন করেছেন। নতুন একটি অভিজ্ঞতা হয়েছে ভাইয়া। আপনার এই নতুন অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য ।
বিভিন্ন জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন রীতিনীতি।হ্যাঁ, ঠিক আমাদের এই দিকের বৌভাতের অনুষ্ঠান ও এরকমই হয়।সাদাসিধা করেই আমরা এটা পালন করে থাকি।আপনার প্রতিটা গল্পেই আমি নতুন কিছু জানতে পারছি,এটাও তার ব্যতিক্রম ছিলনা।ধন্যবাদ রইলো,শ্রদ্ধেয়।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য ।
ভালবাসা অবিরাম শ্রদ্ধেয়।
আসলে ভাইয়া আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে আমি অবাক হয়ে গেছি। বিয়ে বাড়ি এরকম বৌভাত হয় আমি কখনোই ভাবিনি' বা আমি কখনো দেখিনি। আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে আমি অবাক হয়ে গেলাম। বিয়ে বাড়িতে কোন আয়োজন নেই। শুধু একটা গেট গান-বাজনা নেই। তারপরেও বর তানভীর ভাইয়া সবাইকে খাওয়াচ্ছে। বর বিয়ের দিন সে নিজে খাওয়াচ্ছে। এটা একটা অদভুত। তারপরে আর একটা বিষয় আমার অদ্ভুত লাগল যে। উপহার দেওয়ার সময় বর নেই শুধু বয়স্ক একটা লোক সে পান খাচ্ছি আর উপহার লিখছে। কে কি দিলো সেটা লিখে রাখছে। সত্যিই অদ্ভুত লাগলো। যাই হোক ভাবিকে নিয়ে খুবই সুন্দর একটি বিয়ের দাওয়া খেয়েছেন। আনন্দ হয়নি তারপরেও খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারটা খুবই ভালো ছিল দেখে বোঝা যাচ্ছে। আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য ।
ভাই বরের ছবি দেখে আমিও মোটামুটি তাজ্জব হয়ে গেছি। বিয়ের দিনে এই সাজ শয্যায় কেউ ঘুরে জানা ছিল না। যাইহোক আপনার মাধ্যমে বিয়েতে না গিয়েও নতুন কিছু বিষয় জানতে পারলাম। ভালোই লিখেছেন আপনাদের দুই ভাইয়ের বিয়ে খাওয়ার সুন্দর অভিজ্ঞতা। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য ।