গ্রামীন পরিবেশে বাবুর খেলাধুলার কিছু মুহূর্তের ভিডিওগ্রাফি
"হ্যালো",
আমি প্রতিদিন চেষ্টা করি আমার দৈনন্দিন কিছু কিছু বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করার। সেটা রেসিপি হোক ঘোরাঘুরি হোক কিংবা যে কোনো ভালো লাগার বিষয়।আজ আমরা একটি গ্রামে গিয়েছিলাম দাওয়াত খেতে কোথায় গিয়েছি কেন গিয়েছি এসব অন্য একদিন শেয়ার করব। আজকে শেয়ার করব সেখানে গিয়ে আমার ছেলের কিছু মিষ্টি মুহূর্ত। আসলে সে গ্রামে গেলে এত খুশি হয় যা বলার বাহিরে। এর আগেও আমি বেশ কয়েকবার শেয়ার করেছি আমার বাবার বাড়িতে গেলে সে কেমন দুষ্টুমি করে বা খেলাধুলা করে।
আমি ভাবতেই পারিনি যে সে অন্য একটি গ্রামে গিয়ে একই পরিবেশ তৈরি করবে। সে গ্রামে গেলে গরু ছাগল হাঁস মুরগির সঙ্গে খেলায় ব্যস্ত থাকে। আপনারা এই ভিডিওতে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন যে ও গরুর সঙ্গে খেলা করছিল। বারবার গরুটার কাছে দৌড়ে যাচ্ছিল আর গরুটাও ভয় পেয়ে লাফালাফি করছিল। আমি তো প্রথমে অনেকটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম যে গরু না আবার লাথি মেরে দেয় কিন্তু ওর সঙ্গে আমার ছোট বোন ছিল ও দেখাশোনা করছিল। বাবু যেখানে খেয়েছিল তার পাশে বাঁশ দিয়ে বসার জন্য একটি টঙ তৈরি করা হয়েছিল। এখানে বসে সবাই আমরা অনেক আনন্দ করছিলাম।
ভিডিও টি উপভোগ করতে নিচে ক্লিক করুন। 🙏
সেই টঙের সাথে অনেক বড় একটি বকুল ফুলের গাছ ছিল। আর ডালগুলো ছিল আমাদের মাথার উপরে। একটু পর পর ফুল পড়ছিল আর আমাদের এত ভালো লাগছিল যে বলে বোঝাতে পারবো না। সবাই সেই ফুলগুলো কুড়াচ্ছিল এবং যে যার মত করে ফটোগ্রাফি শুরু করেছিল। আমিও ফটোগ্রাফি করেছি যেগুলো আমি পরবর্তী কোন একটি ব্লগে শেয়ার করার চেষ্টা করব। তবে তার কিছু চিত্র আমি ভিডিওগ্রাফি তে তুলে ধরেছি।
আমি অনেককেই দেখেছি শহরের বাচ্চা গুলোকে গ্রামে গেলে কোন কিছু ধরতে দিতে চায় না কিন্তু আমি তা মোটেই করি না। আমি গ্রামে গেলে বাবুকে নিজের মনের মত করে খেলতে দেই। কারণ বাচ্চাদের গ্রামের আবহাওয়া এবং মাটির সংস্পর্শে আসা খুবই ভালো। আমি তো আমার বাবার বাড়িতে গেলে নিয়মিত ওকে মাটিতে খেলতে দেই। তো যাই হোক অনেকদিন পর বেশ ভালো একটি দিন কাটালাম। সত্যি বলতে বাবুর এই আনন্দগুলো বেশ উপভোগ করেছি।
বকুল ফুল আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। শহরের পরিবেশে ছোটরা তেমন খেলাধুলা করতে পারে না। তবে গ্রামীন পরিবেশ হচ্ছে খোলামেলা। ছোটরা তাদের মন ভরে খেলাধুলা করতে পারে। আপু আপনার ছেলের খেলাধুলা করার ভিডিও দেখে ভালো লাগলো। শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
হ্যাঁ ভাইয়া এজন্য শহরের ছোট বাচ্চারা অনেক বেশি খোলামেলা পরিবেশে দৌড়াদৌড়ি করে। যেমনটা আমার ছেলে করে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন গ্রামের পরিবেশে আপনার ছেলের খেলাধুলার কিছু মুহূর্তের ভিডিওগ্রাফি। আপনার শেয়ার করা পোস্টটি দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আমার কাছেও গ্রামের মুহূর্তগুলো বেশ ভালো লাগে। আসলে এখন গ্রাম থেকে অনেক দূরে থাকতে হয় তাই গ্রামের প্রতি অনেক মায়া হয়। দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনার ছেলে অনেক সুন্দর ভাবে গ্রামের পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিয়ে খেলাধুলা করছে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমি গ্রামে গেলে ওকে ঘরে আটকে রাখার চেষ্টা করি না যেমনটা শহরে করি। ওকে মুক্ত করে দেই। যাতে করে ও মনের মত করে সবকিছু উপভোগ করতে পারে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ছোট বাচ্চারা গ্রাম্য পরিবেশ সবথেকে বেশি পছন্দ করে। শুধু ছোট বাচ্চারাই না সবাই গ্রাম্য পরিবেশ খুব ভালোবাসে। শায়ান বাবু তো দেখছি গ্রাম্য পরিবেশ পেয়ে অনেক বেশি খুশি। খুব মজা করছিল গরুর সাথেও মজা করার জন্য গিয়েছিল। আপনার করা সম্পূর্ণ ভিডিওটা দেখে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। এত সুন্দর একটা ভিডিও করে সবার মাঝে ভাগ করে নিলেন দেখে ভালো লাগলো।
জ্বি আপু ও গ্রামে গেলে গরু ছাগল হাঁস মুরগি এগুলোর সঙ্গে বেশি খেলা করে। ভিডিওটা আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম আপু।
আসলে ছোট বাবুরা অনেক বেশি দুষ্টু হয়। শায়ান বাবু তো অনেক বেশি দুষ্টু। আর গ্রাম্য পরিবেশে অনেক খেলাধুলা করছিল দেখছি। গুরু দেখে গরুর সাথে ও খেলা করার জন্য চলে গিয়েছিল। তার হাসি মুখ দেখে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। শহরে বাচ্চারা এরকম পরিবেশ পায়না, আর খেলাধুলাও করতে পারেনা মন ভরে। এরকম গ্রামে আসলে তারা ছোটা ছুটি একটু বেশি করতে চায়। মাঝে মাঝে তাকে নিয়ে গ্রামে আসার চেষ্টা করবেন তাহলে তার কাছেও ভালো লাগবে।
আমার বাবার বাড়ি গ্রামে। ওখানে গেলে আমি ওকে একদম ঘরের মধ্যে বন্ধ করে রাখি না। সব সময় বাহিরে রাখার চেষ্টা করি যাতে করে ও সবার সঙ্গে খেলতে পারে এবং গ্রামীন পরিবেশটাও উপভোগ করতে পারে। তাই তো মাঝেমধ্যেই চলে যাই সেই গ্রামীন পরিবেশে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।