অনেকদিন পর নিজের বিদ্যালয়ে কিছু সুন্দর মূহুর্ত
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। কিছুদিন হলো গ্রামের বাড়িতে এসেছি। গ্রামে আসলে মাঝেমধ্যেই আমাদের ছোট্ট বাজারে যাওয়া হয়। বাজারের পাশে আমার স্কুল।তবে কখনো সময় করে যাওয়া হয়নি। গতবছর বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় অনুষ্ঠান হয়েছিল তখন একবার গিয়েছিলাম স্কুল মাঠে অনুষ্ঠান দেখতে। প্রায় দেড় বছর পর আমি আমার স্কুল মাঠে গিয়েছিলাম। সেদিন বাবু আমার ফোন ভেঙে ফেলেছে এটা হয়তো অনেকে আপনারা আপনাদের ভাইয়ার ব্লগে জানতে পেরেছেন। তাদের বাজারে তেমন বড় কোন সার্ভিসিং দোকান নেই ছোটখাটো একটা দোকান আছে সেখানে গিয়েছিলাম আপাতত কোন মতো ঠিক করে চলার জন্য। কেননা শহরে ফিরতে আরও বেশ কিছুদিন সময় লাগবে আমাদের।
যাইহোক সেদিন বিকেলে বাবুকে নিয়ে সাথে আমার এক ভাস্তিকে নিয়ে আপনাদের ভাইয়ের সঙ্গে বাজারে চলে গিয়েছিলাম মোবাইলটা ঠিক করার জন্য। মোবাইল ঠিকঠাক করার পর খুব ইচ্ছে করলো আমার স্কুল মাঠে যেতে। বাবুকে নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মাঠের মধ্যে ঢুকে পড়লাম। আমি যখন স্কুলে পড়তাম তখন কোন বিল্ডিং ছিল না। এখন বেশ বড় একটি বিল্ডিং হয়ে গেছে। তবে আমরা যখন ছিলাম তখন স্কুলের প্রাণ ছিল। চারপাশটা অনেক সুন্দর ছিল। যেহেতু এখন এসএসসি পরীক্ষা চলছে তাই স্কুল বন্ধ। মনে হচ্ছিল স্কুলটা আরো খাঁ খাঁ করছে।
এক পাশে যে ছোট ছোট রুম গুলো দেখতে পারছেন আমরা সেই রুমগুলোতে ক্লাশ করতাম। আমি যখন ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম তখন আমার সেই স্কুল জীবনে কাটানো মুহূর্তগুলো বারবার মনে পড়ছিল কত শত দুষ্টু মিষ্টি ঘটনা এখানে রয়েছে আমার। আমাদের ব্যাচের প্রত্যেকটা ছাত্রছাত্রী আমরা ভীষণ দুষ্টু ছিলাম এবং পড়াশোনাতেও বেশ ভালো ছিলাম। তাই আমাদের দুষ্টুমি গুলো কখনো শিক্ষকদের চোখে পড়তেই না।যাইহোক নিজেদের মত বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। নতুন একটা শহীদ মিনার হয়েছে দেখলাম। আমাদের সময়ে এটি ছিল না।
আমার বাবু শহীদ মিনারে উঠে বেশ কিছুক্ষণ দৌড়াদৌড়ি করল। ও তো কিছুতেই শহীদ মিনার থেকে নামতে চাচ্ছিলোনা।পরে বাধ্য হয়ে জোর করে সেখান থেকে নামিয়ে আনতে হয়েছে। যাইহোক সব মিলিয়ে সেদিনের বিকেলটা বেশ ভালো কেটেছে অনেক পুরনো স্মৃতি মনে পড়ছিল সাথে স্কুল জীবনের বন্ধু বান্ধবীদের কথা মনে পড়ছিল অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ আছে আবার অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে তবে যে যেখানেই থাকো ভালো থাকো সুস্থ থাকো দিনশেষে এটাই আমার চাওয়া।
এরপর সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। আমরা বাসায় চলে এসেছিলাম। তো বন্ধুরা আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
অনেকদিন পর স্কুল কিংবা কলেজে গেলে পুরনো স্মৃতিগুলো মনে পড়ে ।তখন সত্যিই ভীষণ আবেগপ্রবণ লাগে। দীর্ঘদিন পর আপু আপনার স্কুলে গেলেন নিশ্চয়ই পুরনো স্মৃতিগুলো মনে পড়েছিল। আসলে ওই দিনগুলো ভোলার নয়। স্কুল জীবনে সবাই মনে হয় একটু দুষ্টু থাকে। স্কুল জীবনই আমার মনে হয় সবার শ্রেষ্ঠ দিন ।যাই হোক বেশ ভালো লাগলো আপনার লেখাটি পড়ে ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু স্কুল জীবনে আমাদের ব্যাচ টা আমরা খুবই দুষ্টুমি করেছিলাম। সেই স্মৃতিগুলো আমার বারবার মনে পড়ছিল সেদিন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
অনেকদিন পর আপনার প্রিয় বিদ্যালয়ে বেশ সুন্দর একটি মুহূর্ত উদযাপন করেছেন ও শায়ান বাবু দেখছি, বেশ সুন্দরভাবে খেলে বেড়াচ্ছে এবং সে ঢুকতে চাচ্ছে গেটের মধ্যে 🫣 কিন্তু তালা মারা। ঠিক কথা বলেছেন স্কুলগুলো দেখলেই মনে পড়ে কাটানো মুহূর্ত গুলির কথা। অজান্তেই চোখ দিয়ে পানি পড়ে যায়, হাজারো স্মৃতি থাকে আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের স্কুল জীবনে।
জ্বি ভাইয়া খুব বেশি ভালো সময় কাটিয়েছি আরো ভালো সময় কেটেছে আমার ছেলের।সেটা দেখতেই পাচ্ছেন ফটোগ্রাফি গুলোতে আপনি।সে খুব খুশি তার মায়ের স্কুলে যেতে পেরে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
অনেকদিন পরে বিদ্যালয়ে গিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন দেখছি। আসলে আমরা যখন আমাদের পুরাতন স্কুলে ঘুরতে যাই তখন সেই লেখাপড়ার সময়ের স্মৃতি মনে পড়ে।আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
পোস্টে দেওয়া বাবুর ছবিটি অনেক মিষ্টি লাগছে। আপনাদের বাবু সহ তিন জনের জন্যই শুভ কামনা। একটি স্মৃতিকে নাড়া দেওয়ার মত পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু। আপনার পোস্ট পড়ছি আর আমার স্কুল বন্ধদের ছবি গুলো চোখের সামনে ভেসে উঠছে। ঠিকেই বলেছেন আপু, স্কুল জীবন মানেই দুষ্টু-মিষ্টি কত ঘটনা!! পোস্টটি ভালো লেগেছে আমার। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার সুন্দর মন্তব্যটি পেয়ে আমারও অনেক ভালো লাগলো আপু। সত্যিই এই স্মৃতিগুলো মনকে নাড়া দেওয়ার মতোই। ভালো লাগলো ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আগে স্কুলে কত মজার সময় পার করছি। আর এখন সেই স্কুল এর সামনে দিয়ে কলেজ যাই, বাজার যাই কিন্তু প্রবেশ করা হয় না। তবে এবার স্বরসতী পূজা আমি আমার স্কুলে কাটিয়েছি। আর তখন পুরনো কত কথা মনে পরল।ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া স্কুলের সামনে দিয়ে এখন অনেক যাওয়া আসা হয় তবে ভেতরে ঢোকার সময় হয়ে ওঠে না। আমিও কিছুদিন আগে আমার স্কুলে একটা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম।সুন্দর মন্তব্য পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মোবাইল সার্ভিসিং করাতে গিয়েছিলেন বাজারে আর সেখান থেকেই আপনার স্কুলে গিয়েছিলেন কিছুটা অতীতের স্মৃতি মনে করার জন্য বোঝাই যাচ্ছে। আসলে স্কুল জীবনকে কেন্দ্র করে আমাদের অনেক স্মৃতি থাকে মাঝে মাঝে মন চায় যে সেই স্কুলে ফিরে যেতে। যাইহোক প্রথম অবস্থায় কোন বিল্ডিং না থাকলেও এখন মস্ত বড় একটা বিল্ডিং হয়েছে এবং বোঝাই যাচ্ছে সকলে মিলে দারুন একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। ধন্যবাদ আপনার কাটানো মুহূর্তটা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
এখন স্কুলে বড় বিল্ডিং হলেও আগের মতো প্রান নেই স্কুলে।এইটা দেখে বেশ কষ্ট পেয়েছি। তারপরও বেশ ভালো সময় কেটেছে সেদিন। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলে নিজের বিদ্যালয়ের আশেপাশে গেলেই স্কুল জীবনের সেই সুন্দর মুহূর্ত গুলোর কথা মনে পড়ে যায় অনেক বেশি। বন্ধু-বান্ধবদের সাথে কাটানো সেই দুষ্টামি গুলো আনন্দগুলোর কথা মনে পড়ে যায়। আপনাদের স্কুলে দেখছি নতুন একটা ভবন তৈরি করা হয়েছে। তাও আবার অনেক বড় করে এবং অনেক সুন্দর দেখতে। আপনাদের কাটানো মুহূর্তটা সুন্দর করে সবার মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে। শায়ান বাবু ও খুব ভালো সময় অতিবাহিত করেছিল বিশেষ করে শহীদ মিনারে।
জ্বি ভাইয়া স্কুলের আশেপাশে গেলেই সেই পুরনো স্মৃতিগুলো বার বার মনে পড়ে যায়।হ্যাঁ শায়ান বাবুও খুব ভালো সময় কাটিয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু দেখতেছি আপনাদের পুরো স্কুলে গিয়ে বেশ ভালই সময় কাটিয়েছেন। তবে এখন আপু সব জায়গা স্কুলগুলো অনেক উন্নত হয়ে গেছে। যে সময় আপনি স্কুলে পড়ালেখা করেছেন। সেই তুলনায় এখন স্কুলগুলো অনেক ডেভেলপ। তবে স্কুলে গেলে পুরনো স্মৃতিগুলো সব সময় নাড়া দেয় সবাই। যখন আমি বিদেশ থেকে দেশে আসলাম তখন আমাদের স্কুলটা চিনতে পারতেছি না। আর এখন হয়তো বা এসএসসি পরীক্ষা থাকার কারণে স্কুলটা আপনার কাছে খা খা লাগতেছে। আর নিজের গ্রামের স্কুলে পড়ালেখা করলে অন্যরকম অনুভূতি থাকে।ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া অনেকদিন পর স্কুলে গিয়ে বেশ ভালো সময় কেটেছে আমার।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।