একটি ৩০ মিনিটের গল্প(১০% বেনিফিশিয়ারি লাজুক খ্যাকের জন্য)
আসসালামু আলাইকুম,আশা করি সবাই কুশল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ,আমিও ভালো আছি।

প্রসঙ্গে যাবার আগে বলে রাখা শ্রেয় যে,আজকে যে বিষয়টা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো তা মূলত আমার আর বাবার কিছু কোয়ালিটি সময় কাটানো নিয়ে।বাবা আমায় দেখার জন্য বগুড়া এসেছিল কয়েকদিন আগে।মজার দিক হচ্ছে এই বিষয়টা আপনাদের সাথে শেয়ার করার কোনো প্ল্যান ছিলনা।সাথে বাবা ছিল আর বাবা ছবি টবি খুব একটা তুলতে চায়না।আর খাওয়ার সময় তো আরো নয়ই।মূলত এই কারণেই বাবার সাথে কাটানো সময়টুকু আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাইনি আর সেজন্য রেস্টুরেন্টের খুব একটা ছবিও নেইনি।

বাস থেকে নেমে বাবা আমায় ফোন করে বাহিরে ডেকেছিল আর তারপর বাবার সাথে দুপুরের খাবার খেতে গিয়েছিলাম আকবরিয়া হোটেলের একটা শাখা "কাচ্চি-খাচ্চি" তে।আমি নিজের জন্য মোরগ-পোলাও আর বাবার কথানুযায়ী তার জন্য গরুর-তেহারী অর্ডার করেছিলাম।
!
খাওয়া তখন মাঝপথে।ধূসর কালারের একটা ট্রাউজার আর টি-শার্ট এবং মাথায় একটা কালো ক্যাপ পরে কেউ একজন বেসিনের দিকে যাচ্ছিলো হাত ধোয়ার জন্য।দেখে মনে হলো কোথাও যেন দেখেছি।আরেকবার তাকানোর পর মনে হলো,ইনিতো আমাদের জাতীয় দলের ক্রিকেটার শফিউল ইসলাম।বাট সিওর হতে পারছিলাম না এইভেবে যে,আজাইরা এখানে কেন আসতে যাবেন এখানে।তাও আবার এভাবে!
খাওয়া শেষ করা অব্ধি দুই তিনবার তাকিয়েছিলাম।কিছুক্ষন পর খাওয়া শেষ করে একটু সন্দিহান হয়েই তার কাছে গিয়ে একটা সালাম দিয়ে বললাম,আপনি শফিউল ভাই না?
একটু ভারী কন্ঠে জবাব দিলেন,হ্যাঁ ভাইয়া।তারপর আর কি!গোটা দুয়েক ছবি তোলার পর কেমনে কেমনে জানি ৩/৪ মিনিট কথাও বললাম।
বেশ আন্তরিক বলেই মনে হলো।কন্ঠটা বেশ ভারী ছিল।চমকের বিষয়টা হচ্ছে,তিনি বললেন যে তিনি আপাতত বগুড়াতেই আছেন।কোনো আসর শুরু হলে আবার ঢাকায় ব্যাক করবেন।
বাবা ওদিকে নিজের মতোই বসেছিল।বাবাকে ওভাবে বসিয়ে রেখে কথা বলাটা খারাপ দেখায় জন্য তার সাথে আর খুব বেশি কথা বলিনি।সালাম দিয়ে কুশল বিনিময় করে চলে এসেছিলাম।
একেতো সাথে বাবা ছিল,অনেকদিন পর বাবা আর আমি একসাথে খেয়েছি আর তার উপর শফিউল ভাইয়ের সাথে দেখা।সময়টুকু এতো ভালো কাটবে তা সত্যিই অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল।
cc.@farhantanvir
Shot on. Oppo f19 pro
Location
Date.17/09/22
Hi @farhantanvir , Thank you for sharing your story with someone you have known before. It looks like you are enjoying the delicious dishes at the restaurant... success for you!
কাচ্চি-খাচ্ছির খাবার গুলো অনেক সুস্বাদু হয়।আপনার লাক অনেক ভাল ভাই।প্রথমত বাবার সাথে অনেক ভাল সময় কাটালেন তার উপরে বোনাস হিসেবে শফিউল ভাইয়ের সাথেও দেখা হয়ে গেল।ধন্যবাদ ভাই এরকম অসাধারণ মূহুর্ত শেয়ার করার জন্য।
এরকম কিছু কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যাপার গুলো ভালই লাগে। পোস্টটি পড়েই বুঝতে পারলাম আপনার ওই সময়টা আসলেই খুব ভালো কেটেছে। একদিকে আপনার বাবার সাথে সময় কাটালেন তার পাশাপাশি আবার জাতীয় দলের ক্রিকেটার শফিউল ভাইয়ার সাথেও দেখা হয়ে গেল। মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আচমকা স্পেশাল কারো সাথে এভাবে দেখা হলে ভালই লাগে। শফিউল ইসলাম জাতীয় দলের অনেক বড় মাপের একজন ফাস্ট বোলার। উনার সাথে দেখা হওয়া মানে ভাগ্যের বেপার। উনি আপনার সাথে ছবি তুলেছে, কথা বলেছে তার মানে উনার মধ্যে অহমিকা নেই। এই বেপারটা ভাল লেগেছে। আপনার বাবার সাথে দেখা হয়ে ভাল কিছু সময় আপনি কাটিয়েছেন। বাবার সাথে রেস্তোরাঁয় খাওয়ার মধ্যে আনন্দ আছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার ৩০ মিনিটের গল্প পড়ে। বাবার সাথে দেখা করতে গিয়ে বোনাস হিসেবে আপনি শফিউল ভাইয়া দেখা পেলেন। সত্যি অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আপনি আপনার বাবার সাথে খুব সুন্দর একটা সময় কাটিয়েছেন। জাতীয় দলের এই ক্রিকেটারের সাথে আমি খুব একটা পরিচিত না। খুব সাদামাটা মনে হচ্ছে ক্রিকেটারকে। যাইহোক আপনার মোরগ পোলাও এবং গরুর তেহেরির খাবারের ছবিগুলো দেখে আমার কিন্তু খুব খেতে ইচ্ছে করছে ভাইয়া।
আপনার সেই ৩০ মিনিটের গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সেই 30 মিনিটেই আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটানোর পাশাপাশি অনেক সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে উপস্থাপন করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল