বৃষ্টির দিনে কলেজ ক্যাম্পাসে।

in আমার বাংলা ব্লগ3 days ago

হ্যালো..!!

আমার প্রিয় বন্ধুরা,

আমি @purnima14 বাংলাদেশী,

আজ-২০ শে জুন, শুক্রবার, ২০২৫ খ্রিঃ

কভার ফটো


FunPic_20250620_164900657.jpg

কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আমি আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে থাকি। আজকে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। প্রতিদিন নিত্যনতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক ভালো লাগে। নিজের ক্রিয়েটিভিটির সাথে সাথে নিজের ভালোলাগা খারাপ লাগা এবং সুন্দর মুহূর্তগুলো শেয়ার করতেও খুবই পছন্দ করি। এমনিতে তো ক্যাম্পাসে যাওয়া নিত্যদিনের কাজ। তবে এখন আর আগের মত নিয়মিত ক্যাম্পাসে দেওয়া হয় না। আজ ভাবলাম আপনাদের সাথে ক্যাম্পাসের একটি দিন শেয়ার করি। তাই চলে আসলাম। চলুন তাহলে পোস্ট শুরু করা যাক।



এমনিতে বৃষ্টি আমি অনেক পছন্দ করি। বৃষ্টি হলে মনের মধ্যে আলাদা রকম ভালো লাগা কাজ করে। এখন তো আষাঢ় মাস চলছে। আষাঢ় মাসে এই বৃষ্টি তো এই রোদ। এমনটা হবে এটাই স্বাভাবিক। টানা চার দিন ধরে এক ভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। রোদের ছিটেফোঁটাও দেখা নেই। বৃষ্টি পছন্দ করলেও এরকম একটানা বৃষ্টি মোটেও পছন্দ হয় না। তবে বৃষ্টির দিন অনেক ঠান্ডা থাকে। সে কারণেই ঘুমটা ভালো হয়। এদিক থেকে সুবিধায় বটে। তবে যারা কাজকর্ম করে তাদের জন্য বৃষ্টি মানে প্রচুর ভোগান্তি। আমাদেরও ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়। যখন রুম থেকে বের হতে হয়। বাড়ি থেকে এসেছি এক সপ্তাহ হয়ে গেল। এক সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টির কারণে একদিনও ক্যাম্পাসে যেতে পারলাম না। গিয়েছিলাম দুদিন তবে ক্লাস করতে পারিনি।
FunPic_20250620_164927128.jpg
এইতো কালকে ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম। পরশুদিনও গিয়েছিলাম । বৃষ্টির কারণে কেউই ক্যাম্পাসে সেরকম আসেনি। আমাদের ক্লাস চলবে বলা হয়েছিল। সেজন্য আমরা ছয় জন মত গিয়েছিলাম। যাওয়ার সময় তো প্রচুর বৃষ্টি। কলেজ ড্রেস পড়ে বৃষ্টির মধ্যে যেতে খুবই ভোগান্তির শিকার হতে হয়। তারপরেও আমি পড়তে গিয়েছিলাম সেখান থেকে কলেজে গিয়েছিলাম। ছোটবেলায় তো ঝড় বৃষ্টি যাই হোক স্কুলে যাওয়া বাদ দিতাম না। কত দারুন লাগছে সেই সময়টা। তবে এখন একটু বৃষ্টি কিংবা রোদ যাই হোক কলেজে যেতে ইচ্ছে করে না। তবে আমাদের ক্যাম্পাসটা অনেক সুন্দর। বৃষ্টি হওয়ার পরে সৌন্দর্য আরো বেড়ে যায়।
FunPic_20250620_164944673.jpg

দুপুর একটা ত্রিশের সময় কলেজে গেলাম। অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট এবং অন্যান্য সেমিস্টারের স্টুডেন্টরাও কলেজে গিয়েছিল। তবে অন্যদিনের মতো কলেজ এতটাও ব্যস্ত দেখাচ্ছিল না। সারাদিন বৃষ্টি হচ্ছে অনেকে দূর থেকে আসতে পারিনি। আমরা তো ক্লাসের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। ক্লাসরুমে খোলা হলো না। তারপর আমরা ম্যাম কে কল করলাম। ম্যাম জানালো তার জ্বর এসেছে সে আসবে না। আমরাও আর ৬ জন স্টুডেন্ট ছিলাম সেজন্য ম্যামকে জোর করলাম না। তারপর যে যার মত চলে আসা সিদ্ধান্ত নিলাম। পাঁচটার দিকে ছিল আমাদের লাস্ট ক্লাস। সেই ক্লাসটা সাড়ে চারটা থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। দু একজন ক্লাস করতে চাইলো আর বাকিরা কেউ ক্লাস করতে চাইলো না। আমিও আর বৃষ্টির মধ্যে ক্লাস করতে চাইলাম না। তারপর ছেলেরা সবাই চলে গেল তাস খেলার জন্য কলেজ হোস্টেলে। আমরা আর কি করবো। আমি আর আমার এক বান্ধবী মিলে ভিজলাম বৃষ্টিতে।
FunPic_20250620_165007417.jpg

কলেজ ক্যাম্পাস এতটাই সুন্দর লাগছিল যে বলে বোঝাতে পারবো না। দুজন মিলে বেশ ভালোই ভিজছিলাম গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে। বৃষ্টির ছোঁয়ায় কলেজের নরম ঘাস গুলো যেন আরো সতেজতা এবং স্নিগ্ধতা লাভ করেছে। বৃষ্টির ফোঁটা গুলো যখন ঘাসে ডগায় পড়ছিল দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছিল। সারা মাঠ ভর্তি দূর্বা ঘাস। অপূর্ব এক সজীব ছোঁয়া। মাঠে আবার অনেকে ফুটবল খেলছিল। আমি যতখনে ফটোগ্রাফি করেছিলাম তখন আর কেউ মাঠে ছিল না। তবে যখন বৃষ্টিতে ভিজছিলাম তখন মাঠটি দেখতে আরো বেশি অপূর্ব লাগছিল। সবুজে সবুজে কলেজ যেন পূর্ণ হয়ে যাচ্ছিল।
FunPic_20250620_165024795.jpg
কলেজ গেটে ঢুকে যে সুন্দর বাগান বিলাস গাছ। সেটাও যেন বৃষ্টি স্নানের পরে স্নিগ্ধতা লাভ করেছিল। ফুল গুলো দেখতে আরো বেশি অপূর্ব লাগছিল। বৃষ্টির পর আমার কলেজ ক্যাম্পাসে বেশ ভালই লাগে। শুধু রুম থেকে বের হয়ে যেতে ইচ্ছে করে না। সবাই বাগান বিলাসের ফটোগ্রাফি করছিলাম। আমার ওই ফোনটা যেহেতু নষ্ট হয়ে গেছে আমি আর ভালো ফটোগ্রাফি করতে পারিনি। এই ফোন দিয়েই কয়েকটা ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছিলাম তবে সেগুলো খুব একটা ভালো আছেনি।
FunPic_20250620_165043960.jpg
প্রতিটি গাছে ডগায় ডগায় বৃষ্টির ফোটা জমা। দেখতে কত যে অপূর্ব লাগছে বলে বোঝানো যাবে না। আমাদের কলেজে অনেক ধরনের ফুলের গাছ রয়েছে। সেগুলো বৃষ্টির পড়ে একটু বেশিই অপূর্ব দেখাচ্ছিল। বৃষ্টির পরে কেন বলছি তখনো গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়ে যাচ্ছিল। আমাদের মত আরও অনেকেই দেখলাম বৃষ্টিতে ভিজছে। কিছুক্ষণ পরে আবার দেখলাম বৃষ্টি একটু হালকা কমে গেল। আমাদের ক্লাসের কেউ আর ততক্ষণে ছিল না। তখনই আমি ফোনটা বের করে ফটোগ্রাফি গুলো করছিলাম। কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনের দৃশ্যগুলো দেখতে বেশি সুন্দর। কিন্তু সেদিকে আর যাওয়ার সুযোগ হয়নি। সেজন্য ফটোগ্রাফিও করতে পারিনি।
FunPic_20250620_165109654.jpg
এই বৃষ্টিতে নাকি বেশি ভিজলে ঠান্ডা লেগে যায়। সে যেন আর বেশি না ভিজে আমি রুমে চলে আসার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমার বান্ধবী ও তার হোস্টেলে চলে যেতে চাইলো। তারপর আর কি দুজন মিলে দুজনের গন্তব্যে চলে আসলাম। এই বৃষ্টি কারো জন্য সুখকর আবার কারোর জন্য দুর্ভোগ। তবে একটানা এতদিন ধরে বৃষ্টি হলে সবারই দুর্ভোগে পড়তে হয়। এই বৃষ্টির জন্য কত জায়গায় যাওয়া হচ্ছে না আবার কত কিছু করা হচ্ছে না। তবে সবশেষে আমাদের মত চিন্তা বিহীন মানুষের জন্য বৃষ্টির দিনে রাতের ঘুমটা বেশ হয়। অনেকদিন পর বৃষ্টি স্নাত ক্যাম্পাসে বৃষ্টিতে ভিজলাম খুবই ভালো লাগলো।



ছবির বিবরণ

ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৯ শে জুন ২০২৫খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া



প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।



আমি কে !

Screenshot_20231102_205038_Facebook-01.jpeg

আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@purnima14



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Sort:  
 yesterday 

কতদিন হলো ক‍্যাম্পাসে যায় না। বৃষ্টির সময় যেন ক‍্যাম্পাসের সৌন্দর্য কয়েক গুণ বেড়ে যেত। আহ কী চমৎকার কী সুন্দর। দারুণ ছিল আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আপু। এবং বেশ সুন্দর গুছিয়ে লিখেছেন।।