||বিজয় দিবস উপলক্ষে ছোট পিকনিক||১০%@shy-fox এর জন্য
আমি @mdemaislam00 বাংলাদেশ থেকে।আজ রবিবার, ডিসেম্বর ২৪/২০২২
হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি । অন্যদিন আমি আপনাদের মাঝে রেসিপি, ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়। কিন্তু আজকের পোস্টটা একটু অন্যরকম আজকে আমি বিজয় দিবস উপলক্ষে বাচ্চাদের ছোট একটি পিকনিক আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ।আমরা হয়তো সবাই জানি মার্চ ফর থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করে। যখন বিজয় অর্জন করেছিল তখন তারা যে কি আনন্দ পেয়েছিল হয়তো তারাই জানে। যুদ্ধের সময় ভারত আমাদের অনেক সাহায্য করেছিল। তাদের এই বিজয় আমরা আনন্দের সাথে পালন করে আসছি। আজও মনে আছে যখন স্কুলে পড়তাম তখন অনেক ছোট ছিলাম, তখন বিজয় দিবসের দিন মাথায় ব্যানার দিয়ে স্কুলে যেতাম। সকল ছাত্র-ছাত্রী মিলে রাস্তায় স্লোগান খাইতাম। আসলেও 16 ডিসেম্বর আমাদের অনেক আনন্দের অনেক খুশির দিন। আর এই দিনটি আরো আনন্দিত করার জন্য বাচ্চরা ছোট একটি পিকনিক করেছে । বন্ধুরা দেরি না করে দেখে আসা যাক কিভাবে তারা পিকনিক আনন্দের সাথে উদযাপন করছে।
আমাদের বাসা থেকে একটু দূরে দেখতে পেলাম বাচ্চারা অনেক সুন্দর ভাবে তাবু বানিয়েছে ।আসলেই চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতে পারলাম না যে এত সুন্দর ভাবে তাবু টাঙিয়েছে ।বাচ্চাদের জিজ্ঞেস করে পরে জানতে পারলাম রাতে ওরা ওখানে থাকবে ।সেজন্য তাবু টাঙিয়েছে ।এখন শীতকাল চারদিকে বাতাস এবং রাত্রে অনেক কুয়াশা পড়ে নিজেদেরকে ঠান্ডা থেকে সুরক্ষা রাখার জন্য তাঁবু বানিয়েছে। খেয়াল করে দেখলাম ওরা লাইটও টাঙ্গিয়েছে রাতে অন্ধকারে দেখবার জন্য। আমি সন্ধ্যা বেলায় গিয়েছিলাম তাই দেখলাম ওরা লাইট জ্বালিয়ে রেখেছে ।অনেকে আবার কাথা বালিশ বাড়ি থেকে এনেছে এনে পেড়ে রেখেছে ।এদের বিজয় দিবস উপলক্ষে পিকনিক করতে দেখে আমারও ছোটবেলার পিকনিক করার কথা মনে পড়ে গেল। ছোটবেলায় আমরাও একদিন পুকুর পাড়ে পিকনিক করছিলাম। সেখানে কোন বাল্বের ব্যবস্থা ছিল না ।আমাদের মেনু ছিল ছাগলের মাংস, ডিম ভুনা, দই এবং সেভেন আপ । অনেকে আবার সেভেন আপের পরিবর্তে কোকাকোলা খেয়েছিল ।সব থেকে দুঃখের বিষয় ছিল যে ভাত রান্না করতে গিয়ে ভাত পুড়ে গিয়েছিল। তাও আমাদের অনেক মজা হয়েছিল। ছোট বাচ্চাদের পিকনিক মানে মনে হয় হয়তো ঈদ ঈদের মতই নতুন পোশাকে সেজেগুজে পিকনিক করে। পিকনিক মানেই রান্না, রান্না কোনোটা ভালো কোনটা আবার একটু খারাপ হবে এর মধ্যেই আমরা আনন্দ খুঁজে পাই।
আপনারা হয়তো এটা সবাই চিনতে পেরেছেন? এটা হলো বক্স রাতে বাজানোর জন্য বক্স ভাড়া করে এনেছে। সকাল সাতটার দিকে বক্সটা এনেছিল। সকাল থেকে সারাদিন গান বাজাচ্ছিল । শুধুমাত্র নামাজের টাইমে একটু বন্ধ করে রাখছিল। সন্ধ্যাবেলায় অনেক বাচ্চারা গানের তালে তালে নাচ্ছিল ।গানের আওয়াজে আমিও সেখানে চলে গিয়েছিলাম ।দেখলাম অনেক বাচ্চারা নাচ্ছে আবার অনেকে নাচ দেখতে এসেছে। আসলেই চোখে না দেখে হয়তো বিশ্বাস করতে পারতাম না আমাদের গ্রামের বাচ্চারা এত সুন্দর নাচতে পারে ।অনেকে আবার গান গাইছিল বাচ্চাদের সুন্দর কন্ঠের সুরে গান শুনতে কার না ভালো লাগে বলেন। আমার তো অনেক ভালো লাগছিল। সময়টা অনেক আনন্দের ছিল এত জোরে বক্স বাজাচ্ছিল যে অনেকে বিরক্ত হয়ে মানা করছিল বক্স বাজানোর জন্য। ওখানে বাচ্চারা বলছিল যে মানা করবে বক্সবাজাতে তাদের বাসার দিকে বক্সটা সরিয়ে দিব দিয়ে আরো জোরে বাজাবো ।অনেকক্ষণ পরে রনকের ভাইয়া এসে বকলো ওরা বকুনি খেয়ে প্রায় দুই ঘন্টা পর্যন্ত বন্ধ করে রাখছিল। আবার বিকাল থেকে সারারাত বক্সবাজানো শুরু করলো। বক্সের আওয়াজ আমার সারা রাত একটু ঘুম হয়নি।
অবশেষে চলে এলো খাওয়া-দাওয়ার পর্ব বাচ্চারা ছোট একটি মুরগি এনেছিল রান্না করার জন্য। ওরা রান্না করতে তেমন পারে না সেজন্য বাড়ির পাশের ভাবিদের বলেছিল রান্না করে দিতে। ওরা মুরগি পরিষ্কার করে প্রয়োজনিয় উপকরণ দিয়ে অনেক সুন্দরভাবে রান্না করে দিয়েছিল। দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক মজাদার হবে রান্নাটা। অনেক সুন্দর কালার এসেছে ।মুরগির মাংসের সাথে খিচুড়ি রান্না করেছে ।মুরগির মাংসের সাথে খিচুড়ি রান্না অনেক ভালো লাগে বিকেল ভোর বক্স বাজানোর পর প্রায় দশটার সময় ওরা খাবার খেয়েছে। বাচ্চারা বাসা থেকে প্লেট এবং গ্লাস এনেছিল খাবার খাওয়ার জন্য ।দেখে বোঝা যাচ্ছে রাতে খাবার খাওয়ার পর ওরা অনেক মজা করেছে। খাবার শেষে ঠান্ডা ও ছিল। বিজয় দিবস উপলক্ষে পিকনিক করে বাচ্চারা অনেক আনন্দের সাথে সময় কাটিয়েছে ।আশা করি আপনাদের ও বাচ্চাদের সুন্দর মুহূর্তের পিকনিক ভালো লাগবে।
🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹
ফটোগ্রাফার | @mdemaislam00 |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | vivo12a |
বাহ দারুন পিকনিক করেছেন সাথে দেখছি গান-বাজনা ও হয়েছে। এ ধরনের পিকনিগুলো তো অন্যরকম মজা লাগে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন সবসময় এই কামনা করি ।
বিজয় দিবশ উপলক্ষে আমরাই ছোট খাটো পিকনিক করে থাকি।খুবই মজা হয়।আপ আর পিকনিক আয়োজন দেখে খুব ভাল লাগল।ধন্যবাদ আপনার সুন্দর সময় টা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এজাতীয় ছোট পিকনিক গুলো প্রায় লক্ষ্য করা যায় বিজয় দিবসের দিনে। ছেলেরা যেমন একত্রে বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন পিকনিক এর আয়োজন করে থাকে। পাশাপাশি মা-বোনদের দেখা যায় পাড়ার মধ্যে এভাবে পিকনিকের আয়োজন করে। ভালো লাগলো দিনটা উদযাপন করতে দেখে।
বিজয় দিবস উপলক্ষে আপনাদের বাসার পাশেই ছোট ছোট বাচ্চারা এরকম সুন্দর একটা পিকনিকের আয়োজন করেছে যেন ভালো লাগলো। ছোটবেলায় আমরাও এরকম পিকনিক করতাম তবে এখন আর সেই সময়টা হয়ে ওঠেনা। তবে এটা জেনে রীতিমতো অবাক হলাম যে তারা তাঁবু টানিয়েছে এবং রাত্রিবেলা সেখানেই থাকবে এই শীতের মধ্যে কিভাবে রাত্রি যাপন করবে সেটাই ভাবছি। খুবই চমৎকারভাবে আপনি আমাদের মাঝে বিজয় দিবস উপলক্ষে ছোট পিকনিকের মুহূর্তটা তুলে ধরেছেন,শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।