দীর্ঘদিন পর হাতে পাতা মেহেদি লাগানোর অনূভুতি ❤️

in আমার বাংলা ব্লগlast year

"হ্যালো",

আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।

সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। মেহেদি পাতা দেখেছো নিশ্চয়, উপরে সবুজ ভিতরে রক্তাক্ত লাল।আজকাল নিজেকে বড় বেশি মেহেদি পাতার মতো মনে হয়। এই কবিতাটি আমাদের সবারই জানা।একটা সবার খুব পছন্দের টিউন ছিলো। যাইহোক অনেক দিন পর মেহেদি পাতা বেটে হাতে দিলাম সেই অনূভুতিই শেয়ার করবো।যদিও মেহেদী পাতা বাটা টা আমার কাছে বেশ কষ্টকর মনে হয়। সন্ধ্যাবেলায় চাচাত ভাবিকে দেখলাম মেহেদি পাতা বাটছে। আমাকে জিজ্ঞেস করলো আমি হাতে লাগাবো কিনা।

1000005946.jpg

1000005947.jpg

যাইহোক রাতের খাওয়া দাওয়া সেরে ঘুমানোর আগে হাতে মেহেদি লাগালাম।আমার ভাবি অনেক গুলো মেহেদি পাতা বেটেছে।সবাই মিলে দিয়েছি। আমার ছোট বোন, মা,ভাবি, ভাবির ছেলে এবং আমি।যখন মেহেদি লাগাচ্ছিলাম মনে হচ্ছিল ঈদের দিন। ছোটবেলায় ঈদের আগে মেহেদি পাতা বেটে হাতে না যেই ঈদই হতো না।আমার খুব ভালো ভাবে মনে আছে ছোটবেলায় আমাদের গ্রামে কোনো মেহেদি গাছ ছিলো না।আমাদের গ্রামের পাশে একটি সাঁওতাল গ্রাম। সেই গ্রামে বাড়ি বাড়ি মেহেদি গাছ।সেখানে কিনতে যেতাম মেহেদি পাতা।১০ টাকা দিয়ে অনেকগুলো পাতা দিতো।সেগুলো বাসায় এনে বেটে হাতে লাগাতাম।

1000005944.jpg

1000005942.jpg

সেই ছোটবেলা গুলো কত রঙিন ছিলো।কত হইহই রইরই।আর এখন তো হারবাল মেহেদি সহ কত প্যাকেটজাত মেহেদি পাওয়া।যেগুলো খুব সহজেই হাতে লাগানো যায়।তবে আগের মতো খুশি টা নেই।এত কষ্ট করে মেহেদি পাতা বেটে হাতে লাগানোর মতো সময় আমাদের হাতে নেই তাই সেই আনন্দও নেই।তো যাইহোক খুবই ভালো লাগছিলো হাতে মেহেদি দিয়ে।

1000005945.jpg

1000005946.jpg

হাতে মেহেদি লাগিয়ে সারারাত রেখেছিলাম।সকালে ঘুম থেকে উঠে হাত পরিষ্কার করি।আপনারা দেখছেন আমার হাতে কতটা রং হয়েছে।কত সুন্দর লাগছে তাইনা।যাইহোক আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তী সময়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

1000000117.png

1000000118.png

1000000119.gif

❤️আমার পরিচয়❤️

আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

আপু আপনার মেহেদী পড়া দেখে আমারও কেন জানি মেহেদী পড়তে মন চাইছে। অনেক দিন হলো মেহেদী হাতে পড়া হয় না।মেহেদী পড়ার সাথে সাথে কিছু সুন্দর অনুভূতিও আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে।ধন্যবাদ আপু।

 last year 

আমিও অনেকদিন পর হাতে মেহেদি পাতা বেটে দিয়েছিলাম আপু। ধন্যবাদ আমার সুন্দর অনুভূতি বুঝতে পারার জন্য।

 last year 

আপু আপনার মেহেদী দেখে তো আমার ছেলেবেলার কথা মনে হয়ে গেল। আগে এমন করে হাতে মেহেদী পড়তাম। জীবনটা এখন নিরামিষ হওয়ায় আর আগের মত পড়া হয়ে উঠে না। তবে বেশ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। সেই সাথে আপনার অনুভূতিগুলো কিন্তু দারুন ছিল। এক কথায় অসাধারণ। ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 last year 

সত্যি আপু ছোটবেলার দিনগুলো কত মধুর ছিল। সেগুলো দিন এখন শুধু স্মৃতি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

আপনি ঠিকই বলেছেন আপু আগের মত কষ্ট করে কেউ আর পাটায় বেটে মেহেদী হাতে দেয় না তাই হয়তো বা আগেকার সে আনন্দ আর নেই। এখন তো সবাই টিউব মেহেদী যখন ইচ্ছা তখন হাতে দেয়। আপনার হাতে দেখছি দারুন কালার হয়েছে পাতা মেহেদির। আমি মায়ের বাসায় গেলে প্রায় ই এ মেহেদী বেটে হাতে দেওয়ার চেষ্টা করি। ভীষণ ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি জানতে পেরে ধন্যবাদ আপু।

 last year 

অনেকদিন পর হাতে মেহেদি পাতা বেটে দিয়েছিলাম। বেশ গাঢ় রং হয়েছিল। আমি তো প্রথমে বুঝতেই পারিনি এত সুন্দর রং হবে হাতে। আমার তো বেশ ভালই লেগেছিল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।

 last year 

আমাদের বাড়ির টিউবওয়েল পাড়ের পাশে রয়েছে একটা মেহেদী গাছ। কিন্তু সময় সাপেক্ষে তোলা হয় না হাতে দেওয়া হয় না। বেশ ভালো লাগলো আপনার চমৎকার এই মেহেদী হাতে দেওয়ার অনুভূতি দেখে। ছোটবেলায় শুধু আমরা এই মেহেদী পাতায় ব্যবহার করতাম কিন্তু এখন কসমেটিক সামগ্রী হিসেবে প্যাকেটে পাওয়া যায় তাই গাছের পাতার মূল্যায়ন কমে গেছে। তবে আমি মনে করি এই গাছের পাতার মধ্যে ঐতিহ্য খুঁজে পাওয়া যায় প্যাকেটের তার মধ্যে নেই। অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার এই হাতে মেহেদি দেওয়া দেখে।

 last year 

একদম ঠিক বলেছেন আপু এই পাতার মধ্যে আসলে ঐতিহ্য লুকিয়ে আছে। এখন কজনেই এই মেহেদি পাতা বেটে হাতে দেয়। এখন তো সব প্যাকেট জাত। তাইতো হাতে লাগালেও খুব একটা আনন্দ হয় না।

 last year 

আসলে ছোটবেলায় দেখতাম যে বাড়ির দিদিরা এবং ছোট বোনেরা মেহেন্দি পাতা বাড়িতে নেই সেই পাতা বেটে হাতে লাগাতো। মাঝে মাঝে আমারও লাগাতে ইচ্ছা করত। কিন্তু যেহেতু ছেলে মানুষ তাই তারা তেমন একটা পাত্তা দিত না। ঠিক তেমনি একটা পোস্ট আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যেটি দেখে আমার শৈশব কালের কথা মনে পড়ল। এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last year 

আপনার শৈশবের স্মৃতি মনে করাতে পেরেছি জেনে ভালো লাগলো দাদা। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

ছোটবেলায় ঈদের সময় মেহেদী গাছের পাতা গাছ থেকে ছিঁড়ে বাসার কাউকে বলতাম,ভালোভাবে বেঁটে হাতের মধ্যে লাগিয়ে দিতে। সেই দিনগুলো সত্যিই খুব মিস করি। এখনকার টিউব মেহেদী দেওয়ার মধ্যে কোনো ফিলিংস কাজ করে না। যাইহোক হাতে পাতার মেহেদী দিয়েছেন, জেনে খুব ভালো লাগলো আপু। এতো সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া এখনকার টিউব মেহেদী গুলোর হাতে দিলে কোনো ফিলিংস কাজ করে না।আমার তো খুবই ভালো লাগছিল এতদিন পর হাতে মেহেদি দিয়ে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

 last year 

ঠিক বলেছেন আপু আগের মত এখন মেহেদী পড়ে আনন্দ নেই কারণ মেহেদির পা পিশে পড়ার মজা একরকম আর টিউপ মেহেদি দেওয়ার মধ্যে যে মজা তা একদমই রাতদিন পার্থক্য।সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।