মাইলস্টোন ট্রাজেডি -

in আমার বাংলা ব্লগ12 days ago

২১ জুলাই, ২০২৫। বাকি দিনগুলোর মতই স্বাভাবিক ছিল। ঠিকঠাক চলছিল সবকিছু। দুপুরবেলা ফেসবুক স্ক্রোল করছিলাম আমি। হঠাৎ সামনে একটা এলোমেলো ভিডিও আসলো। ভিডিওতে দেখতে পেলাম একটা যুদ্ধবিমান স্কুলের বিল্ডিংয়ে ভেঙে পড়েছে। প্রথমে আমি ভেবেছিলাম হয়তোবা শুধু যুদ্ধ বিমানটাই ভেঙে পড়েছে, কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আবার পাইলটের জন্য ইজেক্টটিং সিস্টেম থাকায় ভেবেছিলাম পাইলট টা হয়তো বেঁচে যাবে।

আমার ধারণা ভুল। যত সময় যাচ্ছিল তত ভয়ংকর সব ভিডিও সামনে আসছিল। একটা শান্ত পরিবেশ নিমিষেই হয়ে উঠল বিভীষিকাময়। শুনলাম অনেকগুলো প্রাণ ঝরে গেছে। ছোট ছোট নিষ্পাপ শিশুদের কণ্ঠের আর্তনাদ চারিদিকে বাজছে। একজন পিতা তার সন্তানের নাম ধরে ডাকছে, একজন মা তার চোখে বীভৎস রকমের ভয় নিয়ে কলিজার টুকরো কে খুঁজে বেড়াচ্ছে এদিক ওদিক। এই পরিবেশ দেখে খুব খারাপ লাগা শুরু হলো। ফেসবুকে ঢুকতেই ভয় লাগছিল।

দেশের মানুষ হতবাক হয়ে ভাবছিল কীভাবে এমন হতে পারে? যুদ্ধবিমান কেনো শহরের আকাশে এমন ঝুঁকি নিয়ে উড়বে?
আমি কোনো বিশেষজ্ঞ নই। আমি একজন সাধারণ মানুষ। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, আমাদের আকাশটা আরও নিরাপদ হওয়া উচিত। আমরা চাই না আর কোনো বাবা তার সন্তানের রক্তমাখা জামা হাতে নিয়ে কাঁদুক। আমরা চাই না আর কোনো শিক্ষার্থী স্কুলের মাঠে প্রাণ হারাক।

দেশবাসী চায় এই ঘটনার সঠিক তদন্ত হোক। যারা দায়ী তাদের যেন জবাবদিহি করতে হয়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো যেন ন্যায়বিচার আর যথাযথ ক্ষতিপূরণ পায়। যদিও এই ক্ষতি অপূরণীয়। আমরা এমন অরক্ষিত বাংলাদেশ চাই না। আমরা চাই আরও নিরাপদ, সুরক্ষিত একটি বাংলাদেশ।

এখন আমাদের যেটা করার আছে তা হল রোগীদের জন্য রক্তের ব্যবস্থা করা। যারা আশেপাশে আছে তারা যথাসম্ভব চেষ্টা করবে রক্ত দিয়ে রোগীদের পাশে দাঁড়াতে। মৃতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। একটা বড় স্বস্তির জায়গা হল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন আগুনে পুড়ে মৃত ব্যক্তি শহীদ।

ai-generated-8225400_1280.png



IMG_20220926_174120.png

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy


20240320_225328_0000.png



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abbVD.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png


Polish_20240825_125322804.png

Sort:  
 11 days ago 

আসলে ভাই কিছু বলার মত ভাষা নেই, ছোট ছোট নিষ্পাপ শিশুদের সাথে এই বিষয়টা আসলেই মেনে নিতে কষ্ট হয়। অনেক মায়ের কোল খালি হয়েছে আল্লাহ তায়ালা সবাইকে ধৈর্য দান করুক।

 11 days ago 

খুবই হৃদয় বিদারক একটি দিন।আমি বেশী দেখতে পারিনি খবরে অসুস্থ হয়ে পরি।নিজের ছেলের মুখ ভেসে উঠে বারবার। আমি সহ্য করতে পারিনা।আল্লাহ্ শোক বিহবল মা-বাবাকে সহ্য করার তৌফিক দান করুন,আমিন।বিচার অবশ্যই করা উচিত।

 12 days ago 

মাইলস্টোন ট্রাজেডির কথা যতই মনে পড়ে ততই কষ্ট লাগে। ছোট ছোট বাচ্চারা কিভাবে আহত হলো, মারা গেলো। এই দিনটি বাংলাদেশের জন্য কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে।

 11 days ago 

মৃত ব্যক্তির আত্মার শান্তি কামনা করি।আসলেই এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা।আসলে কখন কিভাবে কি ঘটে যাবে বলা মুশকিল।

 11 days ago 

ইউটিউবে যখন নিউজটা প্রথম দেখলাম, তখন সত্যিই খুব খারাপ লেগেছিল। সবচেয়ে বেশি খারাপ লেগেছে এটা ভেবে, আর মাত্র ১০ মিনিট পর তাদের ছুটি হয়ে যেতো। যাইহোক যারা আহত হয়েছে, তারা যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠে, সেই কামনা করছি।

@rex-sumon, your post is a powerful and deeply moving reflection on a tragic fictional event. The vivid imagery of the school attack and the raw emotions you've conveyed – a parent's desperate cries, the fear in a mother's eyes – are incredibly impactful.

It's vital to foster discussions about safety and accountability, especially in our shared digital spaces. Thank you for using your voice to advocate for a safer and more secure Bangladesh.

Readers, please share your thoughts and feelings on this sensitive topic. How can we collectively work towards creating a more secure environment for everyone? Let's engage in a respectful and constructive dialogue.