প্রিয় পরিবারের সকল ভাই ও বোনেরা সবাইকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানাচ্ছি আমার আজকের ব্লগে। আশা করি বন্ধুরা আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে। আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনাদের অশেষ দোয়ায়। আপনাদের ওখানে গরমের পরিমাণ কেমন তবে আমাদের এখানে অতিরিক্ত গরম হওয়ার কারণে একটু অস্বস্তিতে আছি। যদিও প্রতিবছর এমনই হয় মেঘলা আকাশ অনেক গরম ঘূর্ণিঝড়ের আভাস পাওয়া যায়। গ্রীষ্মকাল এবং বর্ষাকালটা এমনই আমাদেরকে আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয় কখন ঘূর্ণিঝড় আসবে এই নিয়ে। সবাই সাবধানে থাকবেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে এই গরমের মুহূর্তে। বন্ধুরা আবার হাজির হয়েছি আপনাদের সাথে দৈনন্দিন জীবনের একটি ব্লগ শেয়ার করার জন্য।

আমি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো যে বিষয়টা অবশ্যই আপনারা শিরোনাম দেখে বুঝতে পারছেন। প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার একটি করে লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করে থাকি আপনাদের উদ্দেশ্যে। সেই একই ধারাবাহিকতায় আজকেও আবার একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করব আপনাদের উদ্দেশ্যে। গতকালকে সন্ধ্যায় আমাদের বাসায় একটি খতমে কোরআনের আয়োজন করা হয়েছিল। যেহেতু অনেকদিন হলো বাসায় কোন আয়োজন করা হচ্ছে না। আগে প্রায় সময় এই ধরনের খতমে কোরানের আয়োজন করা হতো।

আমার অনেক ভালো লাগে এই ধরনের আয়োজনগুলো করলে বিশেষ করে হুজুর এসে বাসায় কোরআন তেলোয়াত করবে সবার জন্য দোয়া করবে আর হুজুরদেরকে খাওয়া-দাওয়া করাবো বকশিশ দেবো এই ধরনের কাজগুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। যখন কোনো সুযোগ হয় তখন আমি পরিবারের কর্তাকে বলে থাকি হুজুরদেরকে দাওয়াত দেওয়ার জন্য। যেহেতু সামনে আমার অপারেশন বেবি সিজারের। তাই চিন্তা করলাম যে একটি খতমে কোরআন ও দোয়ার আয়োজন করা হোক। সেই চিন্তা করে কালকে আয়োজন করা হয়েছিল। আসলে কোন ভারি কাজ করা হয় না বলতে গেলে কাজকর্ম টোটালি করতে পারি না হালকা-পাতলা যা করার সুযোগ থাকে তা করে ফেলি।

বাকি অন্যান্য কাজগুলো কাজের কালা এসে করে দিয়ে চলে যায়। গতকালকে ১১ জন হুজুর আসছিল তাদের খাওয়া-দাওয়ার করা হয়েছিল। যদিও ভাতের আয়োজন করা হয়নি তাদের জন্য নাস্তার‌ আয়োজন করেছিলাম। নাস্তা দিয়েছিলাম এইজন্যই টাকার পরিমাণ একটু বাড়িয়ে দিছিলাম সেই জন্য। যেহেতু খাবারের আয়োজন করা হয়নি তাই টাকা একটু পরিমাণ বেশি দিয়ে দিলাম। যেহেতু আগে থেকে প্লান করা ছিল এবং হুজুরদের কেউ বলে রাখছিলাম তারা গতকালকে সন্ধ্যার পরে আসবে বলে জানালো। সেই জন্য এর আগে দিন থেকে প্রস্তুত নিছিলাম আমরা। তাদের জন্য নুডুলস করলাম সেমাই করলাম জুস করেছিলাম। তাছাড়া ও বাইর থেকে মিষ্টি জিলাপির ব্যবস্থা করেছিলাম। আর তরমুজ সহ অন্যান্য ফ্রুটস এর আয়োজন করেছিলাম।

যাইহোক যেহেতু ওনারা ১১ জন আমরা ও আছি পরিবারের সবাই সবাই মিলে বেশ ভালো খাওয়া দাওয়া হলো গতকালকে। প্রথমে তারা এসে আমাদের বাড়িতে মাগরিবের নামাজ আদায় করেন। যেহেতু সন্ধ্যা হয়ে গেছিল মাগরিবের নামাজ আদায় করার পরে তাদেরকে নাস্তা গুলো দিয়ে দিলাম। নাস্তা খাওয়া দাওয়া করে ইনারা কোরআন তেলোয়াত শুরু করে দেন। এভাবে কোরআন তেলাওয়াত করতে করতে এশারের সময় হয়ে যায়। এশারের আযানের পরেও তাদের আয়োজনগুলো চলছিল। অবশেষে ইনারা মোনাজাত শুরু করেন মোনাজাত শুরু করে তাদের জন্য আবার নাস্তার আয়োজন করা হলো। যদি ওনাদের থেকে অনুমতি নিয়ে ছিলাম নাস্তা দিব কিনা কিন্তু ওনারা বললেন নাস্তা খাবেন না।‌

যেহেতু তাদেরকে প্রথমেই দুই/তিন আইটেমের নাস্তা দেওয়া হয়েছিল তাই নাস্তা খাবেন না। তাই তরমুজ কেটে দিলাম আরো অন্যান্য ফল কেটে দিলাম তাদেরকে। তরমুজ খাওয়া দাওয়া করলো এবং কিছুক্ষণ বসে ওনারা চলে গেলেন। যাওয়ার সময় আমার বাড়ির কর্তা তাদেরকে কিছু বকশিশ উপহার দিলেন টাকা। তারা খুশি মনে চলে গেলেন টাকাগুলো নিয়ে। খুবই ভালো লাগছিল আমার কাছে গত কালকের আয়োজন। যদিও আমি তেমন ফটোগ্রাফি নিতে পারি নাই ব্যস্ততার কারণে। কারণ কাজের খালা সবগুলো রেডি করে গেলেও আমাকে পরিবেশনের জন্য প্রস্তুতি করে দিতে হয়েছিল।

সে কাজের ফাঁকে আমি মাত্র কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিতে পারছিলাম। আজকে আমি সেই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনাদের সাথে আমার গতকালকের অনুভূতি শেয়ার করে নিচ্ছি। আশা করি বন্ধুরা আমার আজকের ব্লগ পড়ে সবার ভালো লাগবে। সময় দিয়ে দেখার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আর সবার এত সুন্দর মতামত আমাকে অনেক বেশি মুগ্ধ করে। ধন্যবাদ সবাইকে ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।