বন্ধু ফেরদৌসের সাথে সামরিক বাহিনী জাদুঘর দর্শন ( পঞ্চম পর্ব)।
প্রথমেই যে ছবিটি দেখছেন সে ছবিতে যে রাইফেল গুলো দেখতে পাচ্ছেন সেগুলো সম্ভবত প্রথম বিশ্বযুদ্ধ বা তারও আগের তৈরি। যদিও ছবিগুলির সাথে অস্ত্রগুলো কখন তৈরি করা হয়েছে সেগুলি লেখা থাকলে আমাদের জন্য বুঝতে সুবিধা হোতো তবে অস্ত্রগুলোর ধরন দেখে কেছুটা আন্দাজ করতে পেরেছি। হলিউডের বিভিন্ন মুভি যেগুলো প্রথম বিশ্বযুদ্ধ বা তার আগের পটভূমিতে তৈরি করা হয়েছিল সেই মুভি গুলিতে এই ধরনের অস্ত্র ব্যবহার হতে দেখেছি।
এই ছবিটাতে যে পিস্তল গুলো দেখতে পাচ্ছেন এগুলো আসলে সিগনাল দেয়ার কাজে ব্যবহার করা হোতো। আপনারা হয়তো ফিল্মে এগুলোর ব্যবহার দেখে থাকবেন। প্রথমে আমি এই পিস্তল গুলো দেখে চিন্তা করছিলাম আসলে এই ধরনের পিস্তল কি কাজে ব্যবহার করা হোতো? পরবর্তীতে দেখলাম পাশেই লেখা রয়েছে সিগন্যাল পিস্তল।
এখনকার ছবিতে যেই অস্ত্রগুলো দেখতে পাচ্ছেন এগুলো এক ধরনের অটোমেটিক অস্ত্র। যেগুলোকে কার্বাইন ও বলা হোতো। এগুলি দিয়ে ব্রাশয়ের করা যেতো মানে একবার ট্রিগার চাপলে অনেকগুলো গুলি বের হোতো এই অস্ত্রগুলি থেকে। তখনকার সময়ে এগুলি ছিল অত্যন্ত আধুনিক এবং কার্যকর অস্ত্র। এই অস্ত্রগুলো প্রথম বিশ্বযুদ্ধ বা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তৈরি করা হয়েছিলো।
উপরের ছবিতে যে রাইফেল দুটো দেখতে পাচ্ছেন তার ভেতরে প্রথমটা শিকারের কাজে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছিলো। এটা দিয়ে বড় বড় স্বীকার করা যেতো। এই রাইফেলটাতে বেশ শক্তিশালী বুলেট ব্যবহার করা হোতো। তবে দ্বিতীয় রাইফেলটা সম্বন্ধে আমার খুব একটা বেশি জানা নেই।
এখন আপনারা ছবিতে যে অস্ত্রটি দেখতে পাচ্ছেন সেটা একটি এলএমজি। এটাকে হালকা মেশিন গান বলা হয়। সম্ভবত এই মেশিন গানটা বৃটেনের তৈরি। এই মেশিন গানটা এখনো বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড কে ব্যবহার করতে দেখা যায়। এটা যুদ্ধক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী একটা অস্ত্র।
উপরের এই চারটা ছবিতে আপনারা বিভিন্ন রকমের পিস্তল দেখতে পাচ্ছেন। এর ভেতর কোনোটাকে পিস্তল বলা হয় কোনোটাকে রিভলবার বলা হয়। বিভিন্ন আকৃতির এবং বিভিন্ন কোম্পানির কয়েকটি পিস্তল এখানে রয়েছে। সর্বপ্রথম যে ছোট পিস্তলটি দেখছেন সেটা দেখে আমি বেশ অবাক হয়েছিলাম। এই পিস্তলটি অনেক আগের তৈরি। সম্ভবত এটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার পিস্তল। তখনও যে এত ছোট আকারের পিস্তল ছিলো এটা আমার জানা ছিলো না।
উপরের ছবিতে যে অস্ত্রগুলি দেখতে পাচ্ছেন তার সবগুলোই অটোমেটিক রাইফেল। এগুলি যুদ্ধক্ষেত্রে পদাতিক বাহিনীর লোকজন ব্যবহার করতো। এ অস্ত্রগুলোর সবগুলোই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তৈরি করা। তখনকার দিনে এগুলো ছিল সবচাইতে আধুনিক অস্ত্র। মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ছোট আকারের আগ্নেয়াস্ত্রগুলোর সবচাইতে বেশি উন্নতি সাধিত হয়েছিলো। এখন আমরা বিভিন্ন আকারের বা বিভিন্ন রকম যে রাইফেল গুলো দেখতে পারি সেগুলোকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তৈরি হওয়া বিভিন্ন রাইফেলের উন্নত সংস্করণ বলা যেতে পারে।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ঢাকা, আগারগাঁও |

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |


Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness

OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সামরিক জাদুঘর নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট দিয়েছেন ভাইয়া। আপনার বন্ধু ফেরদৌসকে নিয়ে সামরিক জাদুঘর দর্শণের ৫ম পর্ব আজ উপস্থাপন করেছেন। বিভিন্ন রাইফেল,পিস্তলের ছবি ও বর্নানা দিয় সাজিয়েছেন আজকের পর্বটি। বেশ ভালো লেগেছে আমার। জাদুঘরটিতে আমি গিয়েছি। অনেক সুন্দর ও সমৃদ্ধ একটি জাদুঘর। পোস্টটি শেয়ার দেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি আর ফেরদৌস ভাই, দুজনে আলাদা হয়ে নিজের ইচ্ছেমতো উপভোগ করেছেন সবকিছু,এটা খুব ভালো হয়েছে। যাইহোক আপনার পোস্টের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের রাইফেল এবং পিস্তল দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। এই ধরনের রাইফেল গুলো মুভিতে দেখেছি অনেক। ছোট পিস্তলটি দেখে আসলেই বেশ অবাক হলাম। এই সিরিজের ফটোগ্রাফি গুলো আসলেই বেশ উপভোগ করছি ভাই। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করে, আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সামরিক বাহিনীর যাদুঘর দর্শনের বেশ কিছু প্রাচীন চমৎকার অস্ত্রের ফটোগ্রাফি এবং তার সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন, পোস্টটি দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম ভাইয়া। একে একে রাইফেল ,পিস্তল, কারবাইন, অটো রাইফেল সহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রের ফটোগ্রাফি এবং নিচে তার বর্ণনা দেওয়ার বিষয়টা আমার কাছে খুবই চমৎকার লেগেছে। বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে আমরা এখন জাদুঘর দর্শন করতেই পারি না কিন্তু আপনি আমাদের জাদুঘরের বিভিন্ন প্রাচীন অস্ত্র এবং যোদ্ধ সামগ্রী দেখার সুযোগ করে দিলেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।