|| টিপটিপ বৃষ্টির দিনে মেসের বাজার করার অনুভূতি || ১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য বরাদ্দ।
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@rafi4444 বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ১০ মাঘ | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | সোমবার | শীতকাল |
আমি রফিকুল ইসলাম,আমার ইউজার নাম @rafi4444।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
চলুন শুরু করা যাক
- যাত্রা পথে
রিক্সাকরে যাত্রা পথে
Device : Redmi 10 prime.
What's 3 Word Location :https://w3w.co/nonworking.opting.awaiting
সাধারণত আমরা যারা মেসে থাকি বা আগে বাইরে থেকেছি তারা সবাই কমবেশি জানে মেসে থাকলে প্রত্যেকেরই প্রতি মাসের নিদিষ্ট একটি দিনে বাজার করতে যেতে হয়। তো এই মাসে আমি তেমন একটা মেসে থাকতে পারিনি তাই আমার বাজারটাও আগে করতে পারিনি। যখন বাসা থেকে মেসে আসলাম তখন ম্যানেজার সাহেব বলে গেলো আপনাকে বাজারে যেতে হবে। তো আমি সেই প্রস্তুত নিয়েই আগে ভাগে ঘুমিয়ে পরলাম কেননা সকাল সকাল বাজারে যেতে না পারলে টাটকা সকল সবজি মিস করবো। ওমা সকালে ঘুম থেকে উঠতে উঠতে ৯.০০ টা বেজে গিয়েছে। তড়িঘড়ি করে রেডি হয়ে নিচে গেলাম এখন দেখি কুয়াশা তো আছেই সঙ্গে টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়ছে। যেমন শীত তেমন বৃষ্টি প্লাস কুয়াশা। কি করবো বাজারে তো যেতেই হবে। তো একটা রিক্সায় করে আমি আর আমার রুমমেট বাজারের উদ্দেশ্য রওনা দিলাম।
- সবজির বাজার
আমাদের টার্গেট ছিলো সর্ব প্রথমে আমরা কাঁচাবাজার করবো তারপরে বাদ বাকি গুলো। বাজারের গেইটে ঢুকেই আমার পরিচিত এক মামার মুদি দোকানে যা যা লাগবে লিষ্টটা ধরিয়ে দিলাম। কেননা সকল কিছু কেনাকাটা করতে করতে মুদি দোকান মামা এই গুলো রেডি করতে থাকুক। এমন বৃষ্টি হচ্ছে গায়ে তেমন একটা পানি পরছে না কিন্তু পথঘাট খুব খারাপ অবস্থা হয়ে গিয়েছে। প্রচুর লোকের সমাগম হয় এই বাজারে এই জন্য একটু বাজারের বেহাল দশা হয়েছে। সর্বপ্রথমে আমরা গেলাম নতুন আলু কেনার জন্য। মামার সাথে কথোপকথন শেষে আলু কিনলাম। এবার আমাদের শীতকালীন ভালো ভালো সবজি ক্রয় করার পালা। সে জন্য একটু বাজারের এ পাশ থেকে ওপাশে ঘুড়তে হলো দরদাম দেখার জন্য। প্রথমে বেগুন কিনলাম সঙ্গে ফুল কপি, পালংশাক, লাল শাক, বাঁধাকপি এই গুলোই সবজির মধ্যে কিনে নিলাম পরিচিত দোকানদের কাছ থেকে।
- পেঁয়াজ, মরিচ, রসুন, আঁদার দোকান
সবজির বাজার শেষ করার পর আবার ঘুড়ে দেখলাম পেঁয়াজ, মরিচ, আঁদার দরদাম মূল্য। সকল দোকানদের কাছ থেকে ঘুড়ে এসে আমার খুব পছন্দের একটি মামা এবং সকল কিছু স্বল্প মূল্যে আমাকে দিয়ে থাকেন তার দেখা পাওয়া গেলো। আমি নিজেও মনে মনে তাকে খুজছিলাম। মামা আমার যাওয়া দেখেই খুশি হয়ে কোন কিছু না জিঙ্গাসা করেই বললো কি কি লাগবে মামা বলেন আর আপনাকে এখন তেমন দেখা যায় না কেন যাইহোক মামার সাথে অনেক কথাই বলা হলো। অবশেষে মামার কাছ থেকে পেঁয়াজ, মরিচ, আঁদা এবং রসুন কিনে নিলাম। এতোক্ষনে আমাদের কাঁচা বাজারের পর্ব শেষ হলো।
- মুরগির বাজার
এখন আমাদের যেতে হবে মুরগির বাজারে। সব খানেই মোটামুটি পরিচিত অনেক মামারা আছেন গেলে টানাটানি করে মামা আমার দোকানে আসেন। তো আমরা গেলাম মুরগি কিনতে যেয়ে পছন্দ করা শুরু করলাম আমি আর আমার রুমমেট। রুমমেটের পছন্দ ব্রয়লার আর পছন্দ ছিল সোনালী মুরগি। তখন কি করবো দুইটা দুই ধরনের মুরগি কেনা হলো একটা ব্রয়লার এবং আরেকটি সোনালী মুরগি। মুরগির বাজার এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেল আমাদের।
- মাছের বাজার
বাজারের একদম শেষ পর্যায়ে আমরা চলে এসেছি। শেষে আমরা রওনা দিলাম মাছের বাজারের উদ্দেশ্য। সব সেক্টরি পাশাপাশি ছিল শুধু বৃষ্টির জন্য একটু ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছিলো। তো মাছের বাজারে গিয়ে আমি আমার রুমমেট কে বললাম তোমার পছন্দ মতো মাছ কেনা হবে তুমি পছন্দ করো। রুমমেট একে একে সকল দোকান ঘুড়ে বললো রুই মাছ কিনতে তার নাকি খুব পছন্দ আবার রুইমাছ। রুইমাছ ক্রয় করা হলো এবং দোকানদার মামা নিজের মাছগুলো কেটে দিলো শুধু ক পিচ হবে সেটা বলে দিলাম।
মাছের দোকান থেকে বেড়িয়ে এসে মুদি দোকানদারের কাছে যে লিষ্টটা দিয়ে গিয়েছিলাম সেই অনুযায়ী মালামাল সব রেডি করেই রেখেছিল। আমি টাকাটা দিয়ে মালামাল গুলো নিয়ে চলে আসি। তারপর একটা রিক্সায় করে মেসের দিকে আমি আর আমার রুমমেট রওনা দিলাম টিপটিপ বৃষ্টির ভিতরে।
- তো এই ছিলো আমার টিপটিপ বৃষ্টির দিনে মেসের বাজার করার অনুভূতি।
টুইটার শেয়ার।
https://twitter.com/Rafiqul61123325/status/1485616484751933446?t=BpBfIemBsMSXd-J7P-CWUg&s=19
আপনার মেসের বাজার করার অনুভুতি গুলো অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। যা পড়ে খুবই ভালো লাগলো আমার। আর যাই হোক সব মিলিয়ে আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে। আর তাই আপনাকে আমার পক্ষ থেকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
আপনার বাজার করার অনুভূতি গুলো খুব সুন্দর করে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। সব গুলো ছবি অনেক সুন্দর করে তুলেছেন আপনি। সবজিগুলো দেখে মনে হচ্ছে একদম টাটকা। এত সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি এবং আপনার বাজার করার অনুভূতি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা রইল ভাই।
অবশ্যই সবজিগুলো টাটকা ছিল কেননা অনেক সকাল সকাল বাজারে পৌছেছিলাম। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
বাজারের প্রত্যেকটা সবজির ফটোগ্রাফি তো অসাধারণ তুলেছেন। এটা ঠিক, মেসে থাকলে নির্দিষ্ট একটা দিনে বাজার করতে হয়। আপনার বাজার করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আর বাজারের প্রত্যেকটা ছবি অনেক ভালো লাগলো। আমাদের মাঝে এরকম একটা মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সুন্দর কমেন্টের মাধ্যমে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ
আপনার পোস্ট দেখে মনে হলো বাজার করার মজাই আলাদা। যদিও আমি বাজার করিনা। আমার কাছে কেমন বিরক্ত লাগে কারো সাথে বাজারে গেলে। আদতে বাজার করতে না মানে বাজার করতে গিয়ে ঘুরতে বিরক্ত লাগে। বিশেষ করে জিনিশপত্র হাতে নিয়ে ঘুরতে। তাই যাওয়া হয়না বাজারে।
অবশ্যই বাজার করার মজাই আলাদা। একটু কষ্ট হলেও কষ্টের মধ্যে কিন্তু একটা শান্তি বিরাজমান থাকে।
আমার মেসে থাকার অভিজ্ঞতা একেবারেই নেই কিন্তু আর কিছুদিনের মধ্যেই হয়ে যাবে । কেননা আমি আর কয়েক মাসের মধ্যেই শহরে চলে যাব এবং সেখানেই থাকবো। বাজারে নতুন আলু গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে আমার অভিজ্ঞতা না থাকলেও আপনার পোষ্টের মাধ্যমে অনেক কিছু উপলব্ধি করতে পারলাম ধন্যবাদ আপনাকে একটি সামাজিক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে বাইরে থাকারো যেমন মজা তেমনি বাইরে থেকে বাজার করতেও অনেক আনন্দ লাগে।
ভাই আপনি অনেক সুন্দর করে মেসের বাজার করার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার পোস্ট টি পড়ে খুব ভালো লাগলো। কিন্তু টিপ টিপ বৃষ্টির দিনে বাজার করাটা একটু কষ্ট কর হয়ে যায়। বাজারে হাঁটতে মন চায় না বৃষ্টির জন্য। ভাই আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। বাজারে পরিবেশটা অনেক সুন্দর। শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভাইয়া।
জ্বী ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন। বৃষ্টির দিনে বাজারে হাটতে ইচ্ছে করে না। এমনিতেই প্রচন্ড শীত তারপরে আবার টিপটিপ বৃষ্টি।
আপনার মেসের বাজার করার অনুভুতি গুলো অনেক সুন্দর ভাবে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্ট পড়ে যা বুঝলাম আপনি বাজার করতে অনেক পছন্দ করেন। বাজারের ছবিগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
গঠনমূলক মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে উৎসাহ প্রদান করার জন্য ধন্যবাদ।