ফেলে আসা স্মৃতি (১০% বেনিফিশিয়ারি লাজুক খ্যাকের জন্য)
আসসালামুয়ালাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি।
গত ৩ তারিখ শুক্রবারে জীবনের প্রথম মেস লাইফ শুরু করার উদ্দেশ্যে বগুড়া গিয়েছিলাম।প্রথম মেস লাইফের শুরুটাই হয়েছিল বড় ভাইদের সাথে।সমবয়সী কেউ ছিল না।তবে তাই বলে যে সবসময় কোনঠাসা হয়েছিলাম তা না,প্রত্যেকটা ভাইই অনেক অনেক মিশুক ছিল।যাইহোক,ব্যক্তিগত কিছু কারণে তিনদিন থাকার পরই মেস ছেড়ে আবার বাসায় চলে এসেছি😑।
ছিলাম মাত্র তিনদিন।এই তিনদিনেই যে এতোটা ভালো সম্পর্ক হবে সবার সাথে এবং এতো এতো স্মৃতি জমা হবে তা আসলেই অভাবনীয়।আমার রুমে ছিল তিন জন ভাই।দুজন শেরপুরের আর এক ভাই পাবনার।শেরপুরের দুই ভাই,একজন ছিল সাওন আরেকজন আশিক।আর পাবনার ওই ভাইয়ের নাম ছিল রবিউল।তিন ভাইই যে এতোটা ভালো তা বুঝানোর মতো না।তবে রবিউল ভাই একটু বেশিই নরম ছিল।তিনদিনে তাদের সাথে বেশি ঘনিষ্ঠ সময় কাটিয়েছি দুইবার।একবার বারবিকিউ পার্টিতে আরেকবার সিনেপ্লেক্সে মুভি দেখতে গিয়ে।আর দুইটা মুহুর্তই আমি শেয়ার করেছি আমার গত দুইটি পোস্টে।
এছাড়াও মিলের সময় দুষ্টামি ফাইজলামি,ঘুম আসার সময় এ ওর গায়ের উপর চড়া ও ওর গায়ের উপর চড়া🤣,মুহুর্তগুলো আসলেই ভোলার মতো না।মাঝে মাঝে দুষ্টামি করে কিছু ছবি তুলেছিলাম সেগুলোই দেখাই।
প্রচুর ঘুমাইতে হবে🤣🤣।একেকজন যে ঘুম দেয়,যেন সব সুখ ঘিরে রাকে ওদেরকে।
রবিউল ভাই ফ্রম পাবনা,ইটিং রাইস🤣🤣।প্রচুর খাইতে পারে।অবশ্য একদিন তার সাথে পাল্লাও দিয়েছিলাম😁।হেরে গেছি😑।
বিছানার লোকটির নাম শুভ্র।সাওন দাদার বোন জামাইয়ের ছোট ভাই।সেসময় স্ত্রীর সাথে ভিডিও কলে কথা বলছিলেন😂।
এইটা সাওন দাদা।খুবই মজার মানুষ।বুয়ার অনুপস্থিতিতে উনি ভারপ্রাপ্ত বুয়া😆।
এই সেই মহা খাবার🙂,বুয়া ছিলনা দুইদিন।খাদ্য হিসেবে ছিল এই আলুছানা আর ডিমভাজি।
সময় কাটিয়েছি মাত্র তিনদিন,তাতেই যে ঘটনাগুলোর স্বাক্ষী হয়েছি তা আসলেই ভোলার মতো না।প্রচুর মিস করি তাদের সবাইকে😔।
cc.@farhantanvir
Shot on. Oppo f19 pro
Location
Date.10/12/21
ম্যাচ মানেই দুঃখ, কষ্ট আর সবার সাথে অনেক অনেক মজা করে থাকা। তবে যে দিন খালা আসে না, সেদিন যেন খাবারের কষ্টটা সবাই একটু বেশিই বুঝতে পারে। আমি নিজেও ম্যাচে থাকি,তাই ম্যাচ জীবন সম্পর্কে খুব ভালো অভিঙ্গতা আছে আমার। আপনে অনেক ভালো লিখেছেন। শুভ কামনা রইল। |
---|