স্মৃতিচারণ: শৈশবের ছেলে বেলায় পাশের সাথে ফুটবল খেলার স্মৃতিচারণ

in আমার বাংলা ব্লগ3 days ago

আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
শনিবার, ১২ ই এপ্রিল ২০২৫ ইং

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে একটি স্মৃতিচারণ শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।


photo-1486286701208-1d58e9338013.jpeg

Source

আমার শৈশবের সবচেয়ে রঙিন অধ্যায়গুলোর একটি জায়গা জুড়ে ছিল ফুটবল। তবে সেটা কোনো আধুনিক স্টেডিয়ামের ঘাসে নয়, ছিল গ্রামের ধুলোমাখা মাঠে। আর সবচেয়ে উত্তেজনাময় ছিল পাশের গ্রামের ছেলেদের সাথে বাজি রেখে খেলা। বাজি মানে আবার টাকা-পয়সা নয়, কখনো গাছের পাকা আম, কখনো হাটের নতুন ফুটবল, কখনো আবার হারলে পুরো দলকে পরের ম্যাচে জলপানা খাওয়াতে হবে – এই ছিল আমাদের শর্ত।প্রতি শুক্র বা শনিবারে ঠিক হতো ম্যাচের দিন। আমাদের দল নামেই ‘টাইগার একাদশ’, আর ওদেরটা রকেট ক্লাব।

নাম শুনেই বোঝা যায়, কারা একটু বেশি আত্মবিশ্বাসী ছিল! আমাদের মাঠটা একটু ছোট, কিন্তু সেটা আমাদের বাড়তি সুবিধা – নিজেদের মাঠে নিজেদের রাজত্ব। তবে ওদের মাঠে খেলতে গেলে যেন একটা যুদ্ধই শুরু হতো। ফুটবল মাঠ আর যুদ্ধক্ষেত্রের পার্থক্য কোথায়, সেটা তখনো আমাদের জানা ছিল না।আমরা বল নিয়ে মাঠে নামতাম বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে। গোল করবো, বাজি জিতবো, সবাই মিলে হই-হুল্লোড় করবো। কেউ যদি গোল মিস করতো, পরেরদিন পর্যন্ত তাকে খোঁচা খেতে হতো

তোর ওই শটটাই আমাদের সব শেষ করলো!" আর যদি কোনোদিন আমরা জিততাম, সেদিনের আনন্দে কেউ মাঠ থেকে সরতে চাইতো না। কেউ লাফাতো, কেউ মাঠে শুয়ে পড়তো খুশিতে।পাশের গ্রামের ছেলেদের আমরা আগে থেকেই চিনতাম। হাটে বাজারে মুখ দেখা হয়েছে বহুবার, কখনও মিষ্টি বিনিময়, কখনও হালকা খোঁচা। কিন্তু আজকের খেলায় মুখে হাসি থাকলেও, চোখে চোখ রাখলেই বোঝা যায়, কেউই হারতে চায় না।বাজিটা কী ছিল, তা আসলে তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়।

হয়তো হেরে গেলে পুরো দলকে লালু ভাইয়ের চায়ের দোকানে চা খাওয়াতে হবে, বা জয়ী দলকে কাঁধে তুলে মাঠের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু আসল বাজি ছিল সম্মানের, আমাদের গ্রামের সম্মান, আমাদের বন্ধুদের হাসিমুখ, আর নিজের গর্ব। আমরা আমাদের গ্ৰামের ছেলেরা সকলেই খেলাধুলা করতাম খুবই বেশি। বিশেষ করে ফুটবল একটু বেশি খেলতাম। পাশের গ্ৰামের ছেলেরা ও বেশ দারুন ফুটবল খেলতেন। কিন্তু আমরা তাদের সামান্য কিছু ভুলের কারণে সেদিন তাদের কে এক গোলে হারিয়েছে। ম্যাচ টি জেতার পর আমাদের মনের মধ্যে অন্যরকম আনন্দ কাজ করছিল।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZ6f4GKSwLn3BBFmPFifbbr21AhPTJ7XiTPJGbzxXNzpL3AeDnWebvp5DxFE241B8HGEVAqqCDY5m5Sn.png

Vote@bangla.witness as witness

54TLbcUcnRm3sWQK3HKkuAMedF1JSX7yKgEqYjnyTKPwrcNLMcZnLnFrW5PDaQKxbWWqwrRezSAe39S7RTiEk7NCzgzD1reVavwZGUMbjasjujy1CQqSedvtuVGKXod3vcdSqiXp2.png

Or

Set@rme as your proxy

2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WEX4nZPQpSChVhr5YUqUeT6qhYr1L6PMHKqtRnepY2a8e1tqsDtWfr4V8KDGvJtydqvz4V68PMUyu9EWpez2.png


আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

1728830339945~3.jpg

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।