স্টিমিটের সেকাল-২০১৭ - কিভাবে জয়েন হয়েছিলাম #২
ছবি: সে সময়ের
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন বন্ধুরা? গত পর্বে আমি শেয়ার করেছিলাম স্টিমেট প্ল্যাটফর্মে জয়েন হওয়ার প্রথম দিকের গল্প। গল্পটি যেখানে শেষ করেছিলাম সেখান থেকেই ধারাবাহিকভাবে আজকের অংশ শুরু করছি। আসলে ওই সময়টায় আমি অনলাইনের সাথে তেমন বেশি একটা পরিচিত নই। ইন্টারনেট এনভায়রনমেন্টের সাথে সবেমাত্র পরিচিত হতে শুরু করেছে। আমি ইন্টারনেট ব্যবহার করা শুরু করেছি ২০১৩ সাল থেকে। ২০১৭-১৮ সালের দিক থেকে আমি ইন্টারনেট সম্পর্কে ভালোভাবে সবকিছু বুঝতে শুরু করেছি। কারণ ২০১৫ সাল থেকে আমি শহরে থাকতাম আর ওখানে ইন্টারনেটের ভালো সুবিধা ছিলো।
যাইহোক গত পর্বে শেষ করেছিলাম ডাউনভোটের ব্যাপারে একটা ছোট টুইস্ট রেখে। সেই সময়ে আমাদের কোন গাইডলাইন ছিল না যে আমরা কিভাবে কাজ করব। আমরা যেটা করতাম গুগল থেকে কোন ফটো ডাউনলোড দিয়ে শুধুমাত্র এক দুই লাইন লিখে পোস্ট করে দিতাম। আবার কখনো কখনো লেখাটাও পুরোপুরি কপি করে নিয়ে এসে পোস্ট করে দিতাম। আমাদের সাথে আর এক ভাই কাজ করতো তিনি একদিন স্টিমেটের লোগো ওয়ালা একটা ক্যাপের ফটো ডাউনলোড দিয়ে পোস্ট করেছিলেন আর সেই পোস্টে ডাউনভোট পেয়েছিলেন। তখন অবশ্য ডাউনভোট সম্পর্কে তেমন কোন আইডিয়া ছিল না। ওই পোস্টে কেন ডাউনভোট দেয়া হলো সে বিষয়েও আমরা বুঝতে পারতেছিলাম না।
এদিকে আমাদের কারোরই তেমন কোনো আর্ন হচ্ছে না। সবার পোস্টে রেগুলার ১ সেন্ট ২ সেন্টের ভোট থাকতো।তবে কারোর পোস্টে তেমন ইমপ্রুভ আসতেছিল না কোন গাইডলাইন না থাকায়। আমিও বিষয়গুলো বুঝে উঠতে পারছিলাম না কারণ অনলাইনের ব্যাপারগুলো সম্পর্কে আমার তেমন কোন নলেজ ছিল না। সেখানে ফেসবুক ইউটিউব বা অন্যান্য সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মতন ক্যারেক্টার হলে হতো কিন্তু এখানকার ক্যারেক্টার ছিলো একটু ভিন্ন। খুবই সীমিত নলেজে কোন কিছু মিলাতে পারতাম না। তবুও আমি প্রচুর রিসার্চ করার ট্রাই করতাম।
ছবি: সে সময়ের
কিছুদিন যাওয়ার পর অনেকেই কাজ ত্যাগ করে। রেপুটেশন কারোর ২৮ ২৯ অব্দি হয়ে গিয়েছে আবার কারোর মাইনাস রেপুটেশনে চলে এসেছে ডাউনভোট খেয়ে। আর একটা বিষয়ে এখানে শেয়ার করি, ওই টাইমে ইন্সট্যান্ট একাউন্ট ক্রিয়েট করা যেত না। সাত দিন অপেক্ষা করতে হতো এরপর মেইলে একটা লিংক আসতো সেখানে গিয়ে একাউন্ট ক্লেম করে নিতে হতো। একাউন্ট ক্রিয়েশনের এই প্রবলেমের কারণে ওই সময়ে অ্যাকাউন্ট বিক্রিও হতে দেখেছি অনেক। যাই হোক যেখানে ছিলাম, অনেকেই ততদিনে কাজ ত্যাগ করেছে।
আমি কিছু ইউজারের পোস্ট দেখতাম যে তারা রেগুলার ভোট পাচ্ছে বিশেষ করে যখন ট্রেন্ডিংয়ে ঢুকতাম তখন অনেক বড় বড় ভোট দেখে অবাক হয়ে যেতাম আমি। এদের পোস্টে এত ভোট কিভাবে আসে। তখন আমি আস্তে আস্তে একটা বিষয় বুঝতে পারলাম যাদের একাউন্টে বেশি স্টিম পাওয়ার থাকবে তারা ভোট দিলে বেশি পরিমাণে ডলার আসে। আমি ট্রেন্ডিংয়ে ঢুকে যাদের পোস্টে অল্প করে ভোট থাকতো তাদেরকে ফলো করার চেষ্টা করতাম যে এতোটুকু ভোট যদি রেগুলার আসে তাহলেও তো অনেক হতো।
এদিকে আমার প্রথম ক্লেম যেদিন আমি করি সেদিন ছিল আমার জন্য খুব স্পেশাল। আমার প্রথম ক্লেইম রেওয়ার্ড ছিলো 0.015 SBD and 0.006 STEEM POWER - এটা। তখন লিকুইড স্টিম দিত না, এসবিডি আসতো আর স্টিম পাওয়ারে চলে যেত। তখনো কিন্তু আমি জানি না এটা কিভাবে উঠাতে হয় বা এটার ভ্যালু কেমন। আমি শুধু ভাবতাম যে এটা ডলারের হিসাব, ডলারের মতই হয়তো দাম। অর্থাৎ এক স্টিম সমান এক ডলার, ১ এসবিডি সমান এক ডলার। এরকমটা হবে হয়তো এটা আমার ভাবনা ছিল।
এরপর হলো চিতার (- cheetah) আক্রমণ।....
চলবে....
পর্ব ১..
VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনার প্রথম দিকের জার্নি নিয়ে আমিও বেশ ইন্টারেস্টেড। পড়ে বেশ ভালো লাগল। সত্যি কোনো গাইডলাইন না থাকলে কোনো জায়গাই এগিয়ে যাওয়া যায় না। যেটা তখন আপনাদের সঙ্গে ঘটেছিল। আর তখন কাজ করাটাও বেশ কঠিন ছিল দেখছি। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম ভাই।।
তবে দিনগুলো ছিলো খুব মজার।
সেকালে কপি করে ধরা খেয়ে ডাউনলোড পেয়েছিলেন আর বর্তমানে কেউ কপি করলে আপনি তাকে মিউট করে দেন হা হা হা হা। বিষয়টা বেশ ইন্টারেস্টিং হা হা হা। তবে আজকের গল্পে ও আগ্রহ রেখে দিলেন চিতার আক্রমণ টা কি সেটাই তো আবার জানার আগ্রহ মনে জাগল।
হাহা৷ নেক্সট পর্বে জানতে পারবে।
ভাইয়া চিতার আক্রমন না কি? বিষয়টা জানার আগ্রহটা কিন্তু বেড়েই গেল। তবে একটি কথা পড়ে বেশ হাসিই আসলো ভাইয়া আপনিও তাহলে আমাদের মত কপি করে ধরা খেয়েছিলেন। কিন্তু আপনি তো পেয়েছিলেন ডাউনভোট। আর আমরা হই মিউট। আগামির অপেক্ষায় থেকে শেষ করছি।
আসলে তখন জানতাম না কিভাবে কাজ করতে হয়।
আসলে সেই সময়টাতে আমরা গাইডলাইন সম্পর্কে কোন ধারণা রাখতাম না তাইতো এমনটা ঘটতো আমাদের সাথে। আমি তো ইউসি ব্রাউজার থেকে ছবি নিয়েই লিখতে শুরু করে দিতাম। আমিও চিতার আক্রমণে অনেকবার পড়েছিলাম।
বাহ মজার তো!! একদিন লিখে ফেলেন সেই দিন গুলোর স্মৃতি।
গত পর্বের মতো এই পর্ব পড়েও খুব ভালো লাগলো ভাই। আসলে গাইডলাইন না থাকলে টিকে থাকা মুশকিল হয়ে যায়। তাইতো অনেকে কাজ ত্যাগ করে। তবে আপনি রিসার্চ করে দারুণ আইডিয়া বের করেন। কিন্তু চিতা আক্রমণ করলো কেনো, সেটা জানার আগ্রহ অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
খুব শিগগিরই ৩ নাম্বার পর্ব শেয়ার করবো ইনশাহ আল্লাহ।