বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করার মুহুর্ত।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আমার বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথে অনেকদিন পর দেখা করার মুহূর্ত। আসলে স্কুল লাইফে অনেক বন্ধু-বান্ধব ছিল। তার মাঝে খুব ভালো দুজন বান্ধবী ছিল। যদিও বেস্ট ফ্রেন্ডের তালিকায় তাদের রাখা হয়নি। যাইহোক বেস্ট ফ্রেন্ড এর বিশেষত্ব একদম আলাদা হয়ে থাকে। আমার বেস্ট ফ্রেন্ড হলো কলেজের বেস্ট ফ্রেন্ড। সেটা আপনাদের সাথে আগে একবার শেয়ার করেছিলাম। তবে সে ঢাকা জব করার কারণে বাড়িতে তেমন একটা আসতে পারে না। আর আসলে অনেক সময় দেখা করার সুযোগ হয়ে ওঠে না।
আর এবার ভাবলাম ঈদ উপলক্ষে যেহেতু সে বাড়িতে আসবে তাই যেভাবেই হোক তার সাথে দেখা করব। যদিও সে বারবার রিকোয়েস্ট করেছিল তাদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য। কিন্তু অন্যান্য বিভিন্ন জায়গায় আমাদের দাওয়াত থাকার কারণে আমরা তাদের বাড়িতে যেতে পারি নাই। ঈদের পরদিন আমাদের বাড়িতে যাওয়ার সময় সকালবেলা তার সাথে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিলাম। তাই প্রথমেই আমরা রেডি হয়ে চলে গেলাম অফিসে। তার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। সে যখন আসলো তখন আমরা সবাই মিলে চলে গেলাম একটা রেস্টুরেন্টে। আসলে অফিসে বসে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটালাম। ভাবলাম কিছু খাওয়া-দাওয়া করে নেয়া যাক। যেহেতু এতদিন পর দেখা হল।
মজার ব্যাপার হলো কলেজে যখন আমরা একসাথে বসতাম তখন অনেকেই আমাদের যমজ মনে করত। যদিও আমার কাছে তেমন মিল মনে হয় না। তবুও আমাদের শিক্ষক থেকে শুরু করে অনেক ফ্রেন্ড মনে করত আমরা যমজই ছিলাম। যাই হোক এদিকে নিভৃত বেশ খুশি তার আন্টি এসেছে। যদিও ওর সাথে প্রায় সময় কথা বলে। যেহেতু ও ভিডিও কল দিয়ে খোঁজখবর নেয় সেই হিসেবে নিবৃত তাকে ভালোভাবেই চেনে। ওকে খুব সুন্দর করে হাত ধরে রেস্টুরেন্ট পর্যন্ত নিয়ে যায়, বসতে বলে। আসলে ছেলের এই কাহিনী গুলো দেখে আমি নিজেই অবাক হচ্ছিলাম।
কিছু কিছু বড় মানুষরাও অনেক সময় ফরমালিটি বুঝে না যেটা নিভৃত মাঝে মাঝেই প্রকাশ করে। যদিও সেটা আন্তরিকতার প্রকাশ। তবুও দেখলাম যাদের প্রতি সে একটু বেশি আস্থাশীল বা যাদেরকে সে একটু বেশি ভালবাসে, পছন্দ করে তাদেরকেই বিভিন্নভাবে সে আপ্পায়ন করে থাকে,প্রাধান্য দেয়। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ বসলাম। যদিও দুজনে বাড়ি থেকেই নাস্তা করে বের হয়েছি। তবুও হালকা পাতলা কিছু খাবো। আমরা তিনজন ছিলাম সেজন্য একটা চিকেন নুডুলস অর্ডার দিলাম সাথে লাচ্ছি অর্ডার দিয়েছিলাম। এদিকে নিভৃত দই খেয়েছিল। আসলে গ্র্যান্ড সুইটস রেস্টুরেন্টে গেলে সে সব সময়ই দই খাবে। এটাই যেন তার জন্য একটা নিয়ম হয়ে গিয়েছে।
বেশ অনেকক্ষণ আমরা গল্প গুজব করলাম, খাওয়া-দাওয়া করলাম। যদিও খুব বেশি একটা খেতে পারিনি। কারণ সবাই নাস্তা করে আসার কারণে পেটে তেমন একটা ক্ষুধা ছিল না। অনেকক্ষণ সময় সেখানে কাটালাম। আর এই মুহূর্তটা কবে ফেরত আসবে সেটা জানা নেই। কারণ সে অনেকটাই ব্যস্ত থাকে। আর বাড়িতে এলেও দুদিনের জন্য আসে। আর সেজন্যই মূলত বের হতে পারে না। আসলে ওর সাথে আমার সম্পর্কটা একদম আত্মিক। আমাদের অনেক ক্ষেত্রে মিল রয়েছে। আর এজন্যই মূলত আমার বেস্ট ফ্রেন্ডের তালিকায় শুধুমাত্র একজনই রয়েছে।
যদিও এই মুহূর্তটা ঈদের পরের দিনের ছিল। প্রায় এক মাস এর বেশি হয়ে গিয়েছে। আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হয়নি ভাবলাম আজকে সেই পর্বটা শেয়ার করে ফেলি। এই সুন্দর স্মৃতিময় মুহূর্তটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে খুবই ভালো লাগলো।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু মনের মতো বন্ধু না হলে বেস্ট ফ্রেন্ড হওয়া যায় না। আর প্রিয় মানুষের সাথে দেখা হলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আসলে বর্তমান বাচ্চারা একটু বেশি এক্টিভ। বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন নিশ্চয়। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার বন্ধুর সঙ্গে দেখা হওয়ার এই ঘটনা খুব সুন্দর ও মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো। কলেজের প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে অনেকদিন পর দেখা হওয়া, একসাথে সময় কাটানো, গল্প করা—সব মিলিয়ে এটা ছিল এক দারুণ অভিজ্ঞতা। বন্ধুর আন্তরিক ব্যবহার, যত্ন, আর আপন করে নেওয়ার অভ্যাস দেখে বোঝা যায়, সে আপনাকে খুব ভালোবাসে ও সম্মান করে।