যশোর থেকে ফরমালিন মুক্ত আম কিনলাম।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। সুদূর যশোর থেকে ক্যামিকেল মুক্ত আম কিনে আনার অনুভূতি শেয়ার করবো।
আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের কোন বিশ্বাস নেই। ব্যবসায়ীরা লোভে পরে খাবারের মধ্যে এমন ভেজাল দেয়, যা খেলে মানুষ খুবই তারাতারি অসুস্থ হয়ে যায়। চেহেরার মধ্যে বার্ধক্যের ছাপ চলে আসে। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন নিউজে দেখতে পায় বড় বড় রেস্টুরেন্টেও ভোক্তা অধিদপ্তরের অফিসার খাবারে ভেজাল মেশানোর দায়ে, বিভিন্ন ধরনের শাস্তি দিয়ে থাকে। কিন্তু তাতেও খাবারে ভেজাল মেশানো বন্ধ করা যাচ্ছে না।
এখন জৈষ্ঠ মাস আমের সিজন। বাজারে বন্দরে, হাটে ঘাটে শুধু আর আম। আম আমার খুবই প্রিয় একটি ফল। কিন্তু সমস্যা হলো এই আমের মধ্যে লোভী ব্যবসায়ীরা বিষাক্ত ক্যামিকেল ব্যবহার করে আমকে বিষাক্ত ফলে পরিনত করেছে। আম তারাতারি পাকার জন্য, অনেক দিন স্থায়ী করার জন্য, দেখতে সুন্দর রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত ক্যামিকেল ব্যবহার করে। যার ফলে আমের অরিজিনাল স্বাদ হারিয়ে গেছে। বিশেষ করে অসাধু ব্যবসায়ীদের এই আম বাচ্চাদের কখনো খাওয়ানো যাবে না।
বিষাক্ত ক্যামিকেল মুক্ত আম খাওয়ার জন্য আমি প্রতিবছর সুদূর যশোর থেকে অর্ডার করে আম নিয়ে আসি। এই বছরও ব্যাতিক্রম হয়নি। সরকারি হিসাব অনুযায়ী এই মাসের ২২ তারিখ গাছ থেকে আম পারার ঘোষনা দেওয়া হয়। সরকারি ঘোষনার পরেই আমার সাবেক কলিগের সাথে যোগাযোগ করি। যার বাড়ি যশোরে। সেই প্রতিবছর আমার জন্য আম পাঠায়।
গত বৃহস্পতিবারে আমের কথা বলি। অফিসের আরো কয়েকজন কলিগ আমের কথা বলে। সব মিলিয়ে আমি সাত কাটন তথা ২৮০ কেজি আমের অর্ডার করি। সে সরাসরি বাগান থেকে ক্যামিকেল মুক্ত হিমসাগর আম পাঠায়। তাদের নিজেরও কিছু আম গাছ আছে। তবে সে গুলোতে এত আম হয়নি। সে জন্য সে অন্য আরেক জনের বাগান থেকে আম সংগ্রহ করেছে।
বাগানের মধ্যে থেকে আম ৩৫/৩৬ টাকা কেজিতে কেনা যায়। তবে আনুষঙ্গিক বিভিন্ন খরচ দিয়ে বাসা পর্যন্ত আনতে খরচ বেড়ে যায়। তারপরেও সেই আম গুলো খেতে খুবই স্বাদ লাগে। আমের কাছে গেলেই সুন্দর সুঘ্রাণ আসে। আর বাজারের বিষাক্ত ক্যামিকেল দেওয়া আম কেটে খাওয়ার সময়ও ঘ্রান আসে না।
আমার অর্ডার অনুযায়ী কলিগ ২৮০ কেজি আম বাগান থেকে সংগ্রহ করে সমস্ত প্রসেস শেষ করে কোহিনূর পরিবহন দিয়ে শনিবারে রাতে পাঠিয়েছে। রাতের বেলা সাড়ে তিনটার সময় গাড়ি ঢাকায় এসেছে। আমি আজকে সকাল বেলা গিয়ে সেই আম বাসায় নিয়ে এসেছি। আমি ২০ কেজি আম রেখেছি। আর বাকি গুলো যারা যারা অর্ডার করেছিল তাদেরকে বুঝিয়ে দিয়েছি। সব কিছু আমি নিজ দাঁয়িত্বে করেছি।
আজকে সকালবেলা একটি পাঁকা আম কেটে খেয়েছি। এত সুস্বাদু লেগেছে। বাজার থেকে আম নিয়ে কখনো এত মজা পায়নি। এই আম গুলো যে বিষাক্ত ফরমালিন মুক্ত সেটা দেখলে বা খেলেই বুঝা যায়।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি সি-৫৩ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
তারিখ | ২৫.০৫-২০২৫ |
স্থান | নারায়ণগঞ্জ , ঢাকা |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
https://x.com/RamimHa74448648/status/1926670826415231335?t=LRjzuXkEKWcpouRbWxodIw&s=19
https://x.com/RamimHa74448648/status/1926670232455643476?t=2kcSVtSkDYOQbc86nZZXMA&s=19
আপনি অনেক ভালো করেছেন।আসলে ফরমালিন যুক্ত আম বাজারে পাওয়া যায় না। তবে এভাবে কিনতে পারলে অনেক ভালো হয়।এদিকে দাম কমেও পাওয়া যায় অন্য দিকে ভালো জিনিস খাওয়া যায়।ধন্যবাদ আপনাকে।
ফরমালিন মুক্ত আমের জন্যই এত কষ্ট করে যশোর থেকে আম নিয়ে আসলাম।
এটা ঠিক এখন ব্যবসায়ীদের আসলে বিশ্বাস করা যায় না। যেভাবে ফরমাল দিয়ে আমগুলো পাকায় তা খেলে শিশু এবং বয়স্ক সবার জন্য ক্ষতিকর। আপনি যশোর থেকে ফরমালেন মুক্ত আমি এসেছেন দেখে ভালো লাগলো। এখান থেকে যেমন কম দামে আম কিনতে পারেন।এবং খেয়েও মজা পাওয়া যায়। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন সেই আম গুলো যেমন মজা ঠিক তেমনি দাম কম।
বর্তমানে দেখা যায় আমের মধ্যে বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করে আম বিক্রি করা হয়। তবে আপনি ভালো করেছেন আমবাগান থেকে অর্ডার করে আম কিনে। আর ২৮০ কেজি আম একসাথে অর্ডার করেছেন। তবে ভালো আম হলে কেমিক্যাল না থাকলে খেলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হয়। যাই হোক ২০ কেজি আম আপনি রেখে বাকিগুলো যারা কিনেছে তাদেরকে বুঝিয়ে দিলেন। আর আমের সিজনে আম না খেলে জমে না।