লয়্যালিটি!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
যদি লয়্যালিটির কথা বলেন আপনি বলেন তাহলে আমি বলব এটার বিষয়ে মেয়েদের থেকে ছেলেরা অনেক অনেক এগিয়ে। মেয়েদের থেকে ছেলেরা সবকিছুতেই লয়্যাল বেশি হয়ে থাকে। হোক সেটা ভালোবাসার সম্পর্ক বা অন্য কিছু। ১৮ তম আইপিএল এর নিলাম সম্ভবত কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হবে। আইপিএল নিলামের আগে ভারতীয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলির একটা সাক্ষাৎকার আমার নজরে আসলো। সেখানে সে বলেছে আমি যতদিন খেলব ব্যাঙ্গালুরুর হয়েই খেলব। এবং আমি চেষ্টা করব ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে আইপিএল শিরোপা জয়ের জন্য। আমি আইপিএল দেখি ২০১৪ সাল থেকে। প্রায় প্রতিটা সিজেনে খুব ভালো খেলেও শেষ পযর্ন্ত শিরোপার কাছ থেকে ফিরে আসতে হয় এই দলকে।
কিন্তু বিরাট কোহলি হতাশ হয়নি। ব্যাঙ্গালুরু দলটা তাকে এতটা ভালোবাসা দিয়েছে সে অন্য কোন দলে যেতে রাজি না। সে আইপিএল শিরোপা জিতলে এদের হয়েই জিতবে। এটাই হলো দলের প্রতি ভালোবাসা বা লয়্যালিটি। যেটা একজন ছেলে খুব ভালোভাবে বোঝে। এটা তো গেল ক্রিকেটের কথা। আবার একটু ফুটবলে আসি। বরুশিয়া ডটমুন্ড এর জার্মান খেলোয়ার মার্কো রেসুস। তার জীবনে অনেক ক্লাবের থেকে সে অফার পেয়েছে। কিন্তু কখনোই ডটমুন্ড ছেড়ে যায়নি। নিজের পুরো ক্যারিয়ার কাটিয়ে দিয়েছে এই দলটাই খেলে। কী অসাধারণ তার ডেডিকেশন লেভেল। যেটা আমাকে রীতিমতো অবাক করে দেয়। স্প্যানিস খেলোয়ার নাচো ফার্নান্দেজ এর নাম শুনে থাকবেন হয়তো। অন্তত যারা ফুটবল খেলা দেখেন তারা হয়তো চিনবেন।
নাচোর বয়স এখন ৩৪। এরমধ্যে সে নিজের জীবনের ২৪ টা বছর কাটিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে। নাচোর বয়স যখন ৯ তখন সে রিয়াল মাদ্রিদ একাডেমি তে আসে। একাডেমি থেকে যুবদল এবং যুবদল হতে রিয়াল মাদ্রিদের মূল দল। সবমিলিয়ে রিয়াল মাদ্রিদে কাটিয়েছেন তিনি ২৪ টা বছর। ভাবতে পারেন। এবং এই বছর যখন তিনি মাদ্রিদ ছেড়ে বিদায় নিলেন অশ্রুসিক্ত চোখে বিদায় নিয়েছিলেন। ছেলেরা সাধারণত খুব একটা কাঁদে না। কিন্তু নিজের ফুটবল ক্লাবের ক্ষেত্রে তারা খুবই দূর্বল। এমন অসংখ্য নমুনা আছে। বিশেষ করে খেলোয়ারদের। যারা সবসময় একটা দলের প্রতি লয়্যাল থেকেছে।
শুধুমাত্র ফুটবল বা ক্রিকেট মাঠে না। ছেলেরা নিজের বাস্তব জীবনেও অনেক লয়্যাল। তবে কিছু ব্যতিক্রম আছে ঐটা সবজায়গাই থাকে। এরা সাধারণত একটা নির্দিষ্ট জায়গা স্থান এবং মানুষ কে নিয়ে থাকতে পছন্দ করে নিজের ভালোবাসা ডেডিকেশন সবকিছু একেবারে উজাড় করে দিয়ে থাকে। যেহেতু আমি ফুটবল টা বেশি দেখে থাকি। এইজন্যই ফুটবল নিয়ে উদাহরণ টা বেশি দিলাম। লয়্যালিটির কাছে টাকা পয়সা সবকিছুই মূল্যহীন। এটা নিয়ে কথা বলার কারণ বতর্মান সময়। বতর্মান সময়ে ধোঁকা দেওয়া যেন একটা সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবাই এটাকে একটা সাধারণ ঘটনা মনে করে। জীবনে যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে আপনি যখন নিজের জায়গা থেকে লয়্যাল থাকবেন সৎ থাকবেন তখন একটা শান্তি কাজ করবে আপনার মধ্যে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
খেলোয়াড় জীবনে পেশাদারিত্ব থেকেও অনেকে এই লয়ালটিকে উপরে স্থান দেন ভাই। কলকাতা ময়দানেও এমন উদাহরণ দেখা গেছে। সুব্রত ভট্টাচার্য আজীবন মোহনবাগানে খেলে গেছেন। আবার সুরজিৎ সেনগুপ্ত আজীবন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে খেলেছেন। তাই এই ধরনের লয়ালটি ফুটবল মাঠে খুব পরিচিত একটি বিষয়। এটি আসলে কোথাও গিয়ে পেশাদারিত্বের উপরেও নিজের ইচ্ছাকে স্থান দেওয়ার উদাহরণ।
আসলে এই কথাটার অর্থ সবাই বুঝতে পারে না। হ্যাঁ ব্যাঙ্গালুর টিমে আমি শুরু থেকেই বিরাট কোহলি কে খেলতে দেখছি তুলনামূলক বড় অর্জন না থাকলেও এই দলটা সে এখনো ছেড়ে যায়নি।