জেনারেল রাইটিংঃব্জ্রপাত।

in আমার বাংলা ব্লগ23 days ago

শুভেচ্ছা সবাইকে।

কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি ভালো আছেন। প্রত্যাশা করি সবসময় যেনো ভালো থাকেন। আজ ৯ই বৈশাখ ,গ্রীষ্মকাল ১৪৩২ বঙ্গাব্দ।২২শে মার্চ ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ।প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি একটি জেনারেল রাইটিং শেয়ার করতে। আজ একটি জেনারেল রাইটিং শেয়ার করবো। আশাকরি বরাবরের মত সাথেই থাকবেন।

w1.jpg

source

হঠাৎ করে নিত্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ভোজ্য তেল,চাল ও শাকসবজির বেশ দাম বেড়েছে। রমজান মাসে প্রতিটি জিনিসের দাম ছিল সহনীয়। ঈদের পরেই শুরু হয়েছে দাম বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা। সবচেয়ে পেঁয়াজের ঝাঁঝ বেড়েছে বেশি। একলাফে ডাবল হয়ে গেছে। যে পেঁয়াজ ঈদের পরেও ১০০ টাকায় তিন কেজি পাওয়া যেত তা এখন ৬০ টাকায় ১ কেজি পাওয়া যাচ্ছে। আশাকরি ইন্টেরিম সরকার নিত্য পণ্যের বাজার ব্যবস্থা নিয়ে সচেতন হবেন এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা বাজারের উর্ধবগতি নিয়ে আমার আজকের ব্লগ নয়! আমার আজকের ব্লগ বজ্রপাত নিয়ে।

গত কয়েকদিন আগে নাসার বরাত দিয়ে একটি রিপোর্টে দেখলাম বজ্রপাতের হটস্পট বাংলাদেশ। প্রতি বছর ৩০০ জনের উপর মানুষ মারা যায় বজ্রপাতে। যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র ২০ জন মানুষ মারা যায় বছরে। পরিসংখ্যানেই বলছে বাংলাদেশ চরম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ।এপ্রিল -মে মাসেই সবচেয়ে বেশি বজ্রপাত হয় আমাদের দেশে। প্রতিদিনেই বজ্রপাতের সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। মানুষের মৃত্যুর সংবাদও পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি বছর এত মানুষ মারা যায় কিন্তু সে অনুযায়ী সচেতনতা মূলক কার্যকর নেই বললেই চলে। অথচ অকালেই চলে যায় ৩০০ জনের উপর মানুষ আমাদের দেশ থেকে। একমাত্র মানুষের সচেতনাই এই মৃত্যুর সং্খ্যা হ্রাস করতে পারে।

বজ্রপাত মূলত: আকাশে আলোর ঝলকানি। প্রতি সেকেন্ডেই পৃথিবীর কোথাও না কোথাও শতশত বজ্রপাত হয়! বজ্রপাত কি কারণে হয় এর বৈজ্ঞানিক কারণ না গিয়ে ছোট থেকে শুনে এসেছি দুই মেঘের ঘর্ষণে বজ্রপাত হয়। কেন মেঘে মেঘে ঘর্ষণ হয় তার বৈজ্ঞানিক ব্যখা আছে। তবে সব বজ্রপাতেই মাটি পর্যন্ত স্পর্শ করেনা। যেটি মাটি স্পর্শ করে সেটা মানুষের উপর পড়লে মৃত্যু অবধারিত। এই মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচার উপায় আমাদের রপ্ত করতে হবে। এবং বজ্রপাতের হাত থেকে বাঁচতে অপরকে সচেতন করতে হবে। আমাদের দেশে বজ্রপাতে মৃত্যু বরণ করেন মাঠে ঘাটে কাজ করা মানুষ সবচেয়ে বেশি।তাঁরা কৃষক-শ্রমিক। তাই বজ্রপাতের সময় খোলা আকাশের নিচে না থেকে নিরাপদ আশ্রয় বেঁচে নেওয়া জরুরি। গাছকে নিরাপদ আশ্রয় ভেবে তার নিচে আশ্রয় নিলেও একই বিপদ। খোলা আকাশের নিচে আশেপাশে নিরাপদ আশ্রয় না পেলে, দু'হাত দিয়ে কান চেপে বসে পড়তে হবে। কোন ভাবেই শুয়ে পড়া চলবে না।সবচেয়ে নিরাপদ বিল্ডিংয়ে আশ্রয় নেওয়া। বাইকে থাকলে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে নিতে হবে। তবে গাড়ীতে থাকলে দরজা জানালা বন্ধ করে দিলে নিরাপদ। মোবাইল ফোন ব্যবহার ততটা ঝুঁকিপূর্ণ নয় কিন্তু বজ্রপাতের সময় ল্যান্ডফোন ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ।এছাড়া বজ্রপাতে ঘরের ইলেক্ট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক্সের জিনিসের সুইচ খুলে রাখা নিরাপদ। প্রকৃতির বিপর্যয়ে মানুষের হাত নেই কথাটা সত্য নয়। প্রকৃতির বেশিমাত্রায় বিপর্যয় মনুষ্য সৃষ্টি। আগের তুলনায় বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর জন্য আমরা মানুষরা দায় এড়াতে পারিনা। আনাদের উচিত প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশ রক্ষায় আরো সোচ্চার হওয়া। এখন বজ্রপাতের সিজন চলছে আসুন নিজে সাবধান হই এবং অপরকে সাবধান করি।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেনীজেনারেল রাইটিং
পোস্ট তৈরি@selina 75
তারিখ২২শেএপ্রিল, ২০২৫ ইং
লোকেশনঢাকা,বাংলাদেশ

আমার পরিচয়

আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম শহরে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।

সাথে থাকার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

image.png

image.png

image.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 23 days ago 

cmc.png

 23 days ago (edited)

xp1.png

xp2.png

 23 days ago 

আপনার লেখাটি অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং সচেতনতামূলক। বর্তমানে বজ্রপাতের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানি একটি বড় উদ্বেগের বিষয়। বিশেষ করে কৃষক ও খোলা মাঠে কাজ করা মানুষদের জন্য ঝুঁকি অনেক বেশি। আপনার লেখায় যেভাবে সহজ ভাষায় সচেতন থাকার উপায়গুলো তুলে ধরেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।

 21 days ago 

প্রতি বছর সচেতনতার অভাবে বহু মানুষের প্রাণ যায় এই বজ্রপাতে।সব চেয়ে বেশি মৃত্যু হয় খোলা মাঠে কাজ করা শ্রমিকেদের।