
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। জানিনা বিবাহিত ব্লগাররা যারা আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আছেন কে কেমন জামাই আদর পাচ্ছেন বা পেয়েছেন। তবে আমি আমার জামাই আদর পাওয়ার বাস্তবতা কিছুটা আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে এসেছি আজকের এই ছোট্ট পোস্টে মাঝে। আশা করি আপনাদের বেশ ভালো লাগবে আমার এই হাস্যরসাত্মক পোস্ট। তবে কোনখানে ভুল ত্রুটি থাকলে, আগেই বলে রাখছি ক্ষমাশূন্য দৃষ্টিতে দেখবেন।
মামা এসে গেছি শ্বশুরবাড়িতে! শ্বশুরবাড়িতে আসা মাত্র শ্বশুর আব্বা এবং শাশুড়ি আম্মা আমাকে পেয়ে অনেক খুশি। পাশাপাশি খুশি হয়েছে আমার ছোট শালিকা এবং শালা। আমার আশার আনন্দে আনন্দিত আমার পাঁচটা নয় দশটা নয় একমাত্র বউ! আনন্দে আনন্দিত হয়ে আমার জন্য বিশেষ বিশেষ খাবারের আইটেম তৈরি করেছিল। এবার খাবারের আইটেম তৈরি করবে নারিকেলের বিভিন্ন ধরনের পিঠা। নারিকেল তো ঘরে আছে, তবে দেখার মত না। এই জন্য ভালো নারিকেল দিয়ে ভালো পিঠা হতে পারে জামাই আদরের উত্তম পর্যায়। তাই নিজেই ডিসিশন নিলাম নারিকেল কিছু পেড়ে দেবো খুব সহজে। তবে নারিকেল পাড়ার জন্য মানুষ শুরু করে নারিকেল গাছে ওঠা আমি কিন্তু ব্যতিক্রম ভাবে প্রথমে উঠে পড়লাম শশুর বাড়ির পাঁচিল এর উপর।

Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন
শশুরবাড়িতে থাকা ছোট্ট একটা বাঁশ হাতে নিয়ে পাঁচিল থেকে চেষ্টা করে দেখলাম নারিকেল ছোঁয়া পাওয়া যাচ্ছে কিনা। দেখলাম পাঁচিলের উপর থেকে ছোঁয়া পেতে একটু সমস্যা হচ্ছে, তাই সাথে থাকা কুলগাছে পা বাদিয়ে পড়া খুবই সহজ হবে মনে হল। তখন চেষ্টা করলাম এখান থেকেই নারিকেল গুলো পেড়ে দেওয়া সম্ভব আমার পক্ষে খুব সহজেই। এদিকে আমার ফটোগ্রাফি প্রেমিক বউ, খুব মনের আনন্দে ফটোগ্রাফি করা শুরু করে দিল। তার হাসিমাখা মুখ আমার নারিকেল পাড়ার প্রতি আরো উৎসাহ প্রদান করল।

Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন
নারিকেল গাছের নারিকেল গুলো খুব সুন্দর ভাবেই ছিল। হয়তো পাড়ার পর আর এই দৃশ্য গাছে থাকবে না। তাই যতটা পারলাম মোবাইলটা হাতে নিয়ে চেষ্টা করলাম একটা ফটোগ্রাফি করে রাখতে। গাছটা বেশি বড় নয়, তারপরেও গাছে ওঠার সম্ভাব নয়। কারণ এটা শ্বশুরবাড়ি বলে কথা।

Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন
যাইহোক মোবাইলটা এবার আবারো দ্বিতীয়বারের মতো বউয়ের হাতে দিয়ে আমি আমার কার্যক্রম শুরু করার চেষ্টা করলাম। ঠিক এই মুহূর্তে বউয়ের হাসিমুখ আমাকে উৎসাহ দিলো। সে মোবাইলটা নিয়ে হাসতে থাকলো। তার হাসি আমাকে প্রাণবন্ত করে তুলল, আরো উৎসাহ জাগালো খুব সহজেই নারিকেল পাড়ার প্রতি।

Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন
এবার আমি পাঁচিল এর উপর এক পা আর কুলগাছে এক পা রেখে চিকন বাশঁটি নিয়ে নারিকেল গাছে খোঁচা দেওয়ার চেষ্টা করলাম। কিন্তু প্রথমত নারিকেল পড়িতে চাইলো না খুবই শক্তভাবে লেগেছিল গাছের সাথে। এমন দৃশ্য দেখে আমার বউটা যেন হাসিতে আটখানা হতে লাগলো। নারিকেল গাছে বাঁশ দিয়ে খোঁচা মারার মাঝখানের মাঝেমধ্যে খুব নয়ন ভরে বউয়ের মুখের হাসি দেখতে থাকলাম। হাসিটা যেন নয়ন জুড়িয়ে দিতে লাগলো। এতে আমি আরো উৎসাহ পেলাম। সে মাঝেমধ্যে বলতে থাকলো দেখো ওখান থেকে যেন পড়ে যেও না। আমি তাকে বলিলাম বউ যদি চোখের সামনে থাকে হাসিমুখে আর কি ভয়? তবে এভাবেই বউয়ের হাসি মাখা মুখ দেখতে দেখতে খুব সহজে নারিকেল গুলো পড়া হয়ে গেল।

Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন
আমি যে ছয়টা নারিকেল পাড়তে পেরেছি তার বাস্তব প্রমাণ দেখুন মামা! আমার হাতে দুইটা নারিকেল। আজকে পিঠা তৈরি হবে।

Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন
দেখুন একে একে বাঁশ দিয়ে ঠেলা মারতে মারতে নারিকেল গাছে থাকা ছয়টি নারিকেল তার কাইনসহ পড়ে ফেলেছি। তাহলে বলুন গাছে ওঠার চেয়েও লাভবান হয়েছি। কারণ এই খড়িটাই পিঠা তৈরি করার সময় আগুন জ্বালাতে সহায়তা প্রদান করবে।

Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন
এরপর আমি নারিকেল গুলো এক এক করে খোসা ছুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলাম। তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য একটি নারিকেল ছিল নষ্ট।

Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন
অবশেষে আমার কাজ সম্পন্ন হল। আমি আমার মত নারিকেল পেড়ে ছুলে তাদের হাতে তুলে দিলাম, তারা এবার মনের আনন্দে পিঠা তৈরি করে জামাই আদর করবে।

Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন
নিজে হাতে পাড়া নারিকেল, একটি সেলফি আপনাদের সামনে না তুলে ধরলেই নয়।

Selfie device: Infinix hot 11s
লোকেশন
আমিও জামাই আদর পাওয়ার অপেক্ষায় রইলাম কিছুক্ষণ। তবে দীর্ঘক্ষণ আর চেয়ে থাকা লাগল না, আপনাদের সাথে পোস্ট কমেন্ট চ্যাটিং করার পূর্বেই তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু বিস্কুট পিঠা ওহ নারিকেলের নাড়ু। কি আনন্দ! নারিকেলের নাড়ু আমার খুবই প্রিয়।

Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |

ভাগ্য ভালো, বউয়ের হাসি দেখতে যেয়ে পাঁচিল থেকে পড়ে যান নাই হা হা হা। মজা করলাম ভাইয়া।
অবশেষে আপনি ছয়টা নারকেল পাড়তে সফল হয়েছেন এবং তার ভেতর থেকে একটি নারকেল পচাও হয়েছে। শশুর বাড়ি যেয়ে মজা করে পিঠা খাওয়ার জন্য আপনি নিজেও অনেক সাহায্য করেছেন ওনাদের। এটা দেখে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ চমৎকার এই অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
না সেটা হবে কেন, সেদিকে তো অবশ্যই আমার খেয়াল ছিল।
ডিসকর্ডে আপনার সাথে কথা হলো আপনি বললেন যে, শ্বশুর বাড়িতে আছি। যাক বেশি ভালোই আদর-যত্ন পাচ্ছেন শ্বশুরবাড়িতে। আমিও কিছুদিন আগে পিঠা খাওয়ার জন্য শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলাম। খুবই ভালো লাগতেছে যে, শ্বশুর আব্বা ও শাশুড়ি আপনাকে পেয়ে অনেক খুশি। এটাই ক-জন পায় । আপনার জন্য বিশেষ কিছু খাবারের পরিবেশনা করেছিল জেনে, ভীষণ ভালো লাগলে এবং নারিকেলের বিভিন্ন পিঠা আমারও ভীষণ ভালো লাগে। আপনার বউ যে ফটোগ্রাফি প্রেমিক, তা আমরা অনেকেই জানি। আপনার ছবিগুলো দুর্দান্ত ছিল এবং নারিকেল পাড়ার দৃশ্যটি সে অনেক সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছে। দুটি নারকেল হাতে নিয়ে আপনি আমাদের মাঝে হাজির হয়েছেন। বাহ! আপনাকে দেখতে তো অনেক সুন্দর লাগছে। সব মিলিয়ে ভীষণ ভালো ছিল
হ্যাঁ ভাই তারপর পরেই এই কাজ করেছিলাম
সবাই আপনাকে পেয়ে খুশি, এবং তাদের খুশিতে আপনিও যে খুশি তা কিন্তু আপনার লেখাতেই প্রকাশ পেয়েছেন। আপনার আনন্দের বহিঃপ্রকাশ প্রতিটা লাইন নিয়েছিল। জামাই আদর বলে কথা।
হ্যাঁ ভাই একদম ঠিক ধরেছেন
সত্যিই জামাই আদর পেতে গেলে মাঝে মাঝে নিজেকে একটু কষ্ট করতে হয় সেটা আপনাকে দেখেই শিখলাম। আমি জানি আপনি নারকেল গাছে উঠতে পরবেন না তাই দেওয়ালে উঠেই নারকেল করার চেষ্টা করেছিলেন তাই না। দেওয়ালের ওপর দাঁড়িয়ে বউয়ের হাসির দেখে পড়ে যান নি তাও ভালো। যাইহোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
একদম ভুল কথা আমি কিন্তু গাছে উঠতে পারি
শ্বশুরবাড়ি মধুর হাঁড়ি। বউ এর মুখে হাসি দেখতে দেখতে ৬ টি নারিকেল পেরে ফেললেন।।যদিও একটা ছিল পঁচা নারিকেল।এবার তো জামাই আদর বেশ ভালো ভাবেই হবে।বাহ্,অল্প সময়ে পিঠা আর নাড়ু রেডি।আশাকরি খুব মজা করেই খেয়েছেন। অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এমন একটা নষ্ট হতেই পারে স্বাভাবিক
শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে নারিকেল পাড়ার খুব সুন্দর আনন্দময় মুহুর্তের ফটোগ্রাফি ও বর্ননা শেয়ার করেছেন যা খুব ভালো লাগছে।ভাবির নয়ন জুড়ানো হাসি দেখতে গিয়ে পা পিছলে আলুর দম হয়ে যাননি ভাগ্যিস🤪।পিঠা খাওয়ার জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়েছে আপনাকে। কষ্ট করে ছয়টি নারিকেল পেড়েছেন খোসা ছড়িয়েছে। একটি নারিকেল নষ্ট বের হয়েছে। তবে
নারকেলের বিস্কুট পিঠাও নাড়ু পেয়ে সব কষ্টই ভুলে গেছেন নিশ্চই।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্ট টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
যদি আলুর দম হয়ে যেতাম তখনও কোন কিছু মনে হতো না🤣