বেশ কিছুদিন ধরে ছোটাছুটি ও দৌড়ের উপর চলতে হচ্ছে আমাকে। আর সেই ক্ষেত্রে বেশ সার্ভিস দিচ্ছিল আমাদের মোটরসাইকেলটা। তবে দৌড়াদৌড়ি যেন কমছে না, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ওষুধ কিনতে যেতে হচ্ছে কয়েকদিন পর পর বাড়ি থেকে দশ কিলো উত্তরে অথবা ১০ কিলো দক্ষিন পূর্বে। আর ইদানিং রাস্তায় এত উপকার উৎপাত হয়েছে চশমা বিহীন চলা কঠিন। চশমা কিনবো কিনবো কেনা হয়ে উঠছিল না। তবে গতকাল বামুন্দি বাজারে আমার ঔষধ কিনতে যেতে এতটাই পোকার আক্রমণের মধ্যে পড়েছিলাম। তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়।


Photography device: Infinix hot 11s
Location
এদিকে চোখের পোকা দূর করতে সময় লাগছিল, মোটরসাইকেল অন। মোটরসাইকেলের তেল ছিল কম, খেয়াল করা হয়নি। হাইরোডে উঠেই মোটরসাইকেল গেল বন্ধ হয়ে। বেশ ঝামেলায় পড়লাম এরপর কোনমতে মোটরসাইকেল থামিয়ে রেখে উঁচা নিচ করে তেল পাম্পে পৌঁছে গেলাম। তেল নেওয়ার পর সোজাসুজি চশমার দোকানে। দেখলাম হরেক রকমের চশমা রয়েছে সেখানে। প্রথমে উপস্থিত হয়ে বললাম ভাইজান সবচেয়ে কম দামের চশমা আমাকে দেখান যেটা আমার চোখে মানাবে। উনি বলল দেখতে থাকেন।


Photography device: Infinix hot 11s
Location
আমি চশমা গুলো দেখতে থাকলাম। এরপর বললাম ভাই দেখতে থাকলে তো হবে না এখানে তো বিভিন্ন দামের চশমা রয়েছে, সবচেয়ে কম দামের চশমা যেগুলো সেগুলো দেখান তারপর তো দেখবো নাকি। তার তিন পাশে চশমা রয়েছে তিন রকমের দাম বলে দিল। আমি দেখতে থাকলাম। দেড়শ টাকা থেকে শুরু করে ৩৫০ টাকার চশমা গুলো আগে দেখালো যেহেতু কম দামের কথা বলেছি।


Photography device: Infinix hot 11s
Location
এরপর মাত্র ১২০ টাকা গড়ে সুন্দর দুইটি চশমা কিনে নিলাম। একটা আমার আর একটি আমার বন্ধু মারুফের জন্য। আর চলে আসার পূর্বে ভাইটার সাথে বেশ সুন্দর গল্প করলাম সেলফি তুললাম আমার কোন কথাই ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করে যেন সেটাও বললাম। তবে খুব খারাপ লাগলো ভাই এর কষ্টের কথা শুনে। আমি কেন বামন দিয়ে এসেছি সেটা বললাম। আমি মায়ের ওষুধ কিনতে এসেছি। উনি বললেন মায়ের যত্ন নিন ভাই যার মা আছে সে মূল্য বোঝে না যার নেই সে বোঝে। কথায় কথায় বলল তার মায়ের ক্যান্সার হয়েছিল ২২ লক্ষ টাকা ফুরিয়েছে। কিন্তু তোমাকে বাঁচাতে পারিনি। কথাটা শুনে খুবই কষ্ট লাগলো তাই মায়ের প্রতি যেন আমার আরো শ্রদ্ধা ও মায়া বেড়ে গেল। এরপর তাকে সান্ত্বনা দিয়ে আমি বিদায় হলাম। আর এভাবেই বামন্দি বাজার থেকে চশমা কেনা হয়ে গেল। এরপর থেকে বেশ সুন্দর সার্ভিস পাচ্ছি। আজকে বিকেলেও ঔষধ কিনতে গিয়েছিলাম রায়পুর বাজারে চশমা চোখে দিয়ে, কোন সমস্যা সম্মুখীন হয়নি। বেশ উপকৃত হয়েছি চশমাটাকে নিয়ে।


Photography device: Infinix hot 11s
location

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
গাড়ি চালানোর সময় সকলের চশমা পড়া উচিৎ তাহলে ধুলাবালি পোকামাকড় থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। খুবই খারাপ লাগলো ভাইয়াটার মায়ের কথা শুনে।সত্যি মা হলো পৃথিবীতে সব থেকে আপনজন।যার মা নেই সে বুঝে।আপনার মায়ের সুস্থতা কামনা করছি।সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
একদম ঠিক কথা বলেছেন আপনি।
বর্তমান সময়ের মধ্যে রাস্তা ঘাটে চশমা ছাড়া বাইক চালানো খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। কেননা বর্তমান রাস্তা ঘাটে প্রচুর পরিমাণ পোকার উদ্ভব হয়েছে। আপনি পোকা দমনের জন্য একটি চমশা কিনে নিয়েছেন, দেখে আমার অনেক বেশি ভালো লাগলো। আপনার পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম, আপনি খুবই ব্যস্ত সময় পার করছেন। আশা করছি খুবই তাড়াতাড়ি আপনি ফ্রি হয়ে যাবেন।
হ্যাঁ বিশেষ করে বিকাল টাইমটা।
যেহেতু বাইক চালানোর সময় পোকামাকড় থেকে বাঁচার জন্য চশমা কেনা, সেহেতু ধরে নিচ্ছি চশমায় কোন পাওয়ার নেই। তবুও চশমা ব্যবহার করার সময় গ্লাসটা ভালোভাবে পরিষ্কার করে তারপরেই ব্যবহার করবেন। নইলে চোখে পাওয়ারের সমস্যা হতে পারে। আর ভাই নতুন চশমা কিনলেন, চশমা পরেই সেলফিটা তুলতেন আমরাও দেখতাম সুমন ভাইকে নতুন চশমায় কেমন লাগছে। 😎
জি আপু পাওয়ার নেই। এখন চশমা চোখে দিলে আর ভালো লাগবে না আপু সিঙ্গেল লাইফে ভালো লাগতো