মাছের খাবার আনতে গিয়ে কাউ জ্যামের সম্মুখীন
আজ - শুক্রবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকের এই পোস্টে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলেছি গরুর ফটোগ্রাফি। কখন কিভাবে কেন ফটো ধারন করেছিলাম সম্পূর্ণ থাকবে এই পোস্টে। চলুন তাহলে বিস্তারিত শুরু করি।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
পাঙ্গাস মাছের খাবার আনার জন্য প্রায় বাইরে, বিভিন্ন বাজারে দোকানে যাওয়া লাগে। ঠিক তেমনি একদিন মাছের খাবার আনার জন্য নিকটস্থ মরকা বাজারে উপস্থিত হলাম। সেখানে উপস্থিত হয়ে দেখলাম দোকানটা বন্ধ রয়েছে। বেশ কিছুটা সময়ের জন্য অপেক্ষা করা লাগলো দোকানদার ভাই মাছের খাবার দিতে গেছেন। ঠিক এই মুহূর্তে কি করব সেটা ভেবে বুঝতে পারলাম না। ভাবলাম একটু এদিকে ওদিকে ফটো ধারণ করি অথবা দোকানের দিকে একটু বসে চা পান করি। কিন্তু যে দোকানে লক্ষ্য করে দেখলাম চা তৈরি করে সেখানে বেশ কিছু জন মানুষ মনের সুখে সিগারেট টানছে। আমিতো সিগারেটের গন্ধ মোটেও সহ্য করতে পারি না। তাই আর দোকানের দিকে বসা হলো না সোজা মোটরসাইকেলটা নিয়ে চলে গেলাম একটু গ্রামের ফাঁকা ফসলের মাঠের দিকে। তার কিছুটা ক্ষণ পর ভাইয়ের কাছে ফোন দিলাম উনি কি দোকানে আসছেন। উনি বললেন গাড়িতে উঠে পড়েছে চলে আসছে। আমিও উনার দোকানে উপস্থিত হয়ে বললাম। এরপর খাবারের ঘর খুলল খাবারের ঘর থেকে এক প্যাকেট ছোট মাছের খাবার নিলাম। আজ এক প্যাকেট বললে এক্কেবারে যে এক দুই কেজি কিন্তু না। ২৫ কেজির বাচ্চা ২০০০ টাকা দাম। পাঙ্গাসের পোনার খাবার। খাবার এর বস্তা মোটরসাইকেল এর পিছনে ভালোভাবে বসিয়ে নিলাম। এই মুহূর্তে যখন মোটরসাইকেল স্টার্ট করব লক্ষ্য করে দেখলাম সামনে একপাল গরু রাস্তা দিয়ে পার হচ্ছে।
Photography device: Huawei P30 Pro-40mp
Location
গরু যখন পার হচ্ছিল আমি চেষ্টা করলে গরুর আগেই বের হয়ে চলে আসতে পারতাম তবে রিক্স হয়ে যেত। কিন্তু হঠাৎ মাথায় আসলো যদি কয়েকটা ফটো ধারণ করি তাহলে ভালো লাগবে। আর সেই সমস্ত ফটোগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারব। তাই মোটরসাইকেলে বসে কিছুটা সময়ের জন্য অপেক্ষা করলাম। লক্ষ্য করে দেখলাম দুইজন ব্যক্তি গরুগুলো রাস্তার উপর দিয়ে মনের সুখে পার করে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে বিষয়টা একটু খারাপই মনে হচ্ছিল। যেহেতু রাস্তার উপরে এভাবে গরু নিয়ে যাওয়াটা বেশ হুমকিস স্বরূপ। কারণ এটা হাইরো। তারপরে বাজারের উপর দিয়ে তারা তাদের মত নীরবে নিয়ে যাচ্ছে। যেকোনো মুহূর্তে চলন্ত গাড়ির সাথে ধাক্কাও লাগতে পারে অথবা গরু এদিকে সেদিকে মাথা ঘুরালে মোটরসাইকেল আলাদের গায়ে শিঙের গুঁতা লাগতে পারে। গুরু এভাবে রাস্তার উপর দিয়ে সরাসরি নিয়ে যাওয়াটা ঠিক নয়। হয়তো রাস্তা ক্রস করতে পারে সেটা স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু লক্ষ্য করে দেখলাম প্রায় দেড় দুই কিলো রাস্তা তারা এভাবেই নিয়ে গেলেন। গোপালনগর এর হাইরোড থেকে রায়পুর বাজারের হাইরোড পর্যন্ত। অবশ্য এগুলো আমার সচেতন মূলক কার্যক্রম। বাজারের উপর দিয়ে এভাবে গরুগুলো নিয়ে যাচ্ছে সত্যি যে কোন মুহূর্তেই এক্সিডেন্ট হতে পারে।
Photography device: Huawei P30 Pro-40mp
Location
তবে যাই হোক একটা বিষয়ে আমি নিশ্চিত হলাম সেখানে, ওখানে কয়েকজন মানুষ বলাবলি করছিল এখানে যে দুইজন ব্যক্তি গরুগুলো নিয়ে যাচ্ছেন গরুগুলো তাদের দুজনার। অনেকে বলে হাসাহাসি করছিল এরা লাখপতি মানুষ। প্রত্যেকটা গরু লাখ টাকার পাশাপাশি। আসলে এখন গরুর দাম তো অনেক বেশি। একটু বড় হলেই লাখ টাকা। আর তারা এতগুলো কিভাবে চোরাই করে নিয়ন্ত্রণ করে রাখে কে জানে। তবে এই বিষয়টা বেশ ভালো লাগছিল অনেকগুলো গরু। আর তারা তাদের মত করে চড়াই করিয়ে নিয়ে বেড়ায়। আমি দীর্ঘদিন লক্ষ্য করে দেখেছি ওদের মধ্য থেকে একজন ব্যক্তি অনেক বছর ধরে গরু চরাই করেন। আমি যখন ১১ সালে ইন্টারে ভর্তি হয়েছিলাম সেই সময় থেকে ওই লোকটাকে লক্ষ্য করি গরু চরাতে। হয়তো গরু পালে দুধ বিক্রয় করে এভাবেই তার জীবন জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। এটা একটা মহৎ পেশা। নিজের পরিশ্রমের দ্বারা ইনকামের ব্যবস্থা এবং গরু পালন। তবে রাস্তার উপর এমন অসচেতনতাটা মোটেও ঠিক নয়। যেকোনো মুহূর্তে বড় এক্সিডেন্ট এর সম্মুখীন হয়ে হয়তো নিজেরও জরিমানা দেওয়া লাগতে পারে। দেশে এমন পশু পালন পাখি পালন বেড়ে উঠুক নিজ নিজ হালাল পন্থায় মানুষ উপার্জন করুক এটা আমি প্রত্যাশা করি তবে সচেতন দৃষ্টিভঙ্গি রেখে পথ চলুক এটাও আমি মন থেকে চাই।
Photography device: Huawei P30 Pro-40mp
Location
এরপর গরু গুলো যখন রাস্তা পার হয়ে একটু সাইডে চলে গেল। বাজার থেকে কিছুটা ফাঁকা পর্যায়ে। তখন আমি রাস্তার ক্রস করে বের হয়ে চলে আসলাম। তখন লক্ষ্য করে দেখলাম অনেকগুলো গরু। তবে বাজারের মানুষরা তাদের দোকানের সামনে যখন গরু যাচ্ছে তখন একটু রাস্তার দিকে হেই করে তাড়িয়ে দিচ্ছেন যেন লাইনের বাইরে না আসে। কিন্তু হাইরোড এর উপরে থাকাটাও তো। যাইহোক বিভিন্ন গাড়ি গরুর সামনে দিয়ে বেশ নীরবে পাশ কেটে বের হয়ে। তাদের মতো আমিও বের হয়ে গেলাম। আর এভাবেই মাছের খাবার আনতে গিয়ে কিছুটা সময়ের জন্য এই গরু গুলোর ফটো ধারণ করলাম গরু গুলো নিয়ে ভাবলাম এবং কিছুটা কথা শুনলাম গরু পরিচালনাকারী দুই ব্যক্তির নামে।
Photography device: Huawei P30 Pro-40mp
Location
এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পোস্ট বিবরণ
ব্লগার | sumon09 |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
What3words Location | Gangni-Meherpur |
ক্যামেরা | 50mp |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি দেখছি হেব্বি একটা জ্যামের সম্মুখীন হয়ে গিয়েছেন। রায়পুরের এই ব্যক্তির অনেক গরু রয়েছে সে যখন রাস্তায় গরু নিয়ে আসতে শুরু করে তখন একটা জ্যাম তৈরি হয়ে যায়। আমিও বেশ কয়েকদিন এই জ্যামের মাঝখানে পড়েছিলাম।
হ্যাঁ তারা এই রাস্তায় পারাপার করে তো, তাই অনেকের সমস্যা ফেস করতে হয়।
ভাই আপনি তো অনেক সুন্দর পোস্ট লিখেছেন। আসলে ভাইয়া বর্তমানে মানুষগুলো শুধু তাদের নিজের সুবিধাটাই দেখে। তবে রাস্তায় পথ চলার সময় খুবই সমস্যা হয় গবাদি পশু এদের জন্য। কেননা এই গবাদি পশুর মালিক তারা রাস্তা দিয়ে নির্দ্বিধায় তাদের মত করে এগুলো নিয়ে যায়। এতে করে সাধারণ যানজটের একটু সমস্যা হয়। এমনকি এতে করে অনেক মারাত্মক দুর্ঘটনাও ঘটে। তবে নিজের জায়গা থেকে আমরা তো চাই না কোন মারাত্মক দুর্ঘটনা। তবে এর মালিকরা কিন্তু কোন সচেতন নয়। তাছাড়া মাঝেমধ্যে আমিও এগুলোর জ্যামে আটকে যাই। তখন আর কিছু করার থাকে না। যাইহোক পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছ। তাই সচেতন হতে হবে।
প্রথমে আমি মনে করেছিলাম কাউ জ্যাম বলতে কি জেনো বুঝাচ্ছেন। এখন দেখছি সেদিন মাছের খাবার আনতে গিয়ে এই অবস্থায় পড়েছিলেন। খুবই ভালো লাগলো আপনার আজকের এই গরুর ফটোগ্রাফি আর মাছের খাবার আনতে যাওয়ার অনুভূতি পড়ে। তবে একটা উপদেশ থাকতে কখনো এগুলো জোর করে ক্রস করতে যাবেন না। একটু বুঝে শুনে গাড়ি চালাবেন।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।