ফসলের মাঠে কিছুক্ষণ

in আমার বাংলা ব্লগlast month


আসসালামু আলাইকুম




হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি, ফসলের মাঠের ঘোরাঘুরি করার মুহূর্তের অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য। আশা করবো আমার এই পোস্ট আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।

IMG_20241124_171619_614.jpg


ফটোগ্রাফি সমূহ:


মাঝেমধ্যে ফসলের মাঠে ঘুরাঘুরি করতে যেতে ভালো লাগে। একটা সময় আমাদের অনেকগুলো ধানের জমি ছিল। গোলা ভরা ধান থাকতো সবসময়। এখন সে সমস্ত জমিগুলো পুকুরে পরিণত করার পর তেমনা ধানের জমি নেই বলে চলে। আর ধানের গোলা তো গত বছর ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবুও আগের মতো ভালো লাগে অন্যান্য মানুষের ফসলের জমিগুলোতে ঘোরাঘুরি করতে যেতে। পুকুরের পাশে রয়েছে কিছু ফসলের জমি। চাচাদের এই সমস্ত জমিগুলোতে যখন দেখি সোনালী ফসল ফুলে উঠেছে তখন তো অন্যরকম ভালোলাগা আমি খুজে পাই। এছাড়াও গেস্টের বাসায় গেলেও সেখানে খেয়াল করে দেখি এই সমস্ত ফসলগুলো। যাই হোক একদিন ভালো লাগানোর জন্য কিছুটা সময় আমি ফসলের জমিতে অবস্থান করলাম। এরপর সেখান থেকে ফটো ধারণ করতে থাকলাম। ভাবতে থাকলাম অতীতের অনেক স্মৃতির কথা। অতীতের দিনগুলো নিজেদের যখন এমন ধানের জমি ছিল তখন কত ব্যস্ত হয়ে পড়তাম ধান কাটার সময়।

IMG_20241124_171601_651.jpg

IMG_20241124_171533_095.jpg

IMG_20241124_171605_267.jpg


যারা গ্রামে জন্ম হয়েছে গ্রামে বেড়ে উঠেছে তারাই জানে সবুজ প্রকৃতি ফসলের মাঠ কতটা হৃদয় জুড়ে থাকে। যে সমস্ত মানুষেরা শহরে বসবাস করে শহরে মানুষ হয়েছে তারা কিছুটা সময়ের জন্য খোলা আকাশের নিচে আসতে চাই। সেটা যদি হয় মনের মত প্রাকৃতিক পরিবেশ তাহলে ভালোলাগা আরো বেশি খুঁজে পায় সেখানে। ঠিক তেমনি অনুভূতি ছিল আমার মনের মধ্যে। যুগ যুগ ধরে কত কবি তাদের কবিতা কাব্য বিভিন্ন গল্প লিখে গেছেন এই ফসলের মাঠ কে কেন্দ্র করে। এভাবে হাজারো মানুষের খাবারের সন্ধান সৃষ্টি হয় বা উৎস এখান থেকে। আমরা যদি একটু ভেবে দেখি তাহলে গভীর চিন্তায় পড়ে যেতে পারি। যে সমস্ত কৃষকেরা কষ্ট করে এই সুন্দর ফসল ফলায় আমরা কিন্তু তাদের মূল্যায়ন করতে জানিনা। আমরা বাজার থেকে যখন চাল কিনে রান্না করে ভাত বানিয়ে খায় তখনও ভাবতে চাই না কিভাবে এই পর্যন্ত খাবারটা আমাদের মুখে এসে পৌঁছাচ্ছে। আসলে মাঝেমধ্যে আমি গভীর কোন অভাবের মধ্যে চলে যাই। ওই মুহূর্তে কিছু চিন্তাধারা এখনো যেন মনের মধ্যে লেগে রয়েছে তাই ব্যক্ত করলাম।

IMG_20241124_171610_486.jpg

IMG_20241124_171553315_BURST0002.jpg

IMG_20241124_171531_884.jpg


একটা সময় আমরা লক্ষ্য করে দেখতাম বিভিন্ন ধরনের ধান উৎপাদন হতে। এখন কিন্তু সে জাতীয় ধানগুলো বেশি একটা দেখতে পাওয়া যায় না। আমাদের স্থানীয় ভাষায় সে সমস্ত ধানগুলোর নাম ছিল সালকাইলি, গোচুরি রুপা ইত্যাদি। এই সমস্ত ধানগুলো কালো অথবা লাল হতো। এখন যে সমস্ত ধানগুলো দেখা যায় সে সমস্ত ধানগুলো হাইব্রিড উন্নত জাতের অধিক ফলনশীল। কিন্তু আমি আজকের এই পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম এই জন্য যে। একদিন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে গিয়ে জানতে পারলাম। সাদা সালের ভাতে অধিক পরিমাণ সুগার থাকে। আব্বুর ডায়াবেটিসের প্রবলেমের জন্য যত তথ্য পেয়েছিলাম আর কি। তবে লাল গম এর আটা অথবা লাল চালের ভাত এগুলোতে সুগার টা একটু কম থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই জাতীয় চাল বা আটান ময়দা প্রয়োজন। তাই এ ফটোগ্রাফি তে আপনারা যেই ধান দেখতে পাচ্ছেন এগুলো কিন্তু সেই ব্যতিক্রম বা আগের সেই ধান। তাই আমার থেকে মেসেজ থাকবে প্রতিনিয়ত আমরা দুই-তিনবেলা ভাত রাই খায় না কেন একটু চেষ্টা করব লাল চাল অথবা কালো চালের ভাত খেতে। অর্থাৎ এই জাতীয় ধানের ভাত। যাই হোক প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে ধারণ করা ফটোগ্রাফি ও সুন্দর এই মুহূর্তটা আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম। সুন্দর এই মেসেজটা শেয়ার করার জন্য।

IMG_20241124_171449_173.jpg

IMG_20241124_171456_019.jpg

IMG_20241124_171502_994.jpg



পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

received_434859771523295.gif

পোস্ট বিবরণ


বিষয়ফসলের মাঠ
লোকেশনLocation
ফটোগ্রাফি ডিভাইসInfinix hot 11s
ফটোগ্রাফার@sumon09
দেশবাংলাদেশ


পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সকলে। আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkLbdtHEKTgRBCYd7pi9pJd6nDf4ZPaJpEx3WAqvFVny2ozAtrhFXaDMnAMUAqtLhNESRQveVFZ7XHcED6WEQD48QkCkVTAvNg6.png



PUSS_VILLA.png


Sort:  
 last month 

18-04-25

Screenshot_20250418-154451.jpg

Screenshot_20250418-154328.jpg

Screenshot_20250418-153907.jpg

 last month 
 last month 

ফসলের মাঠ দেখে খুব ভালো লাগল।মাঠটি খুব সুন্দর দেখাচ্ছে।কৃষকের পরিশ্রমই দেশের খাদ্য নিরাপত্তার ভিত্তি।আপনার ডেডিকেশন দেখে অনুপ্রাণিত হলাম! শুকরিয়া এমন সৌন্দর্য্য আমাদের চোখে আনার জন্য।