নিজের গাছের শেষ পাকা কাঁঠাল খাওয়ার অনুভূতি
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি নিজের গাছের পাকা কাঁঠাল খাওয়ার অনুভূতি নিয়ে। আশা করবো আমার এই অনুভূতি আপনাদের বেশ ভালো লাগবে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে বিস্তারিত আলোচনা শুরু করি।
গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের এদিকে বেশ ভালো বৃষ্টি হলো। কাল সকালে আমি যখন পুকুর পাড়ে অবস্থিত হয়েছিলাম বিভিন্ন কাজের জন্য তখন বৃষ্টিতে ভিজে গেছিলাম কয়েকবার। কারণ বারবার বৃষ্টি আসছে বন্ধ হচ্ছে আবার হচ্ছে। ঠিক একইভাবে বিকেল মুহুর্তে আবার পুকুরে উপস্থিত হয়েছিলাম কাজের জন্য। তখনো সকালের মতো বৃষ্টিতে ভিজে গেলাম। তাই বাড়িতে ফিরতে পথে ঘরের পিছনে কাঁঠাল গাছে একটি মাত্র কাঁঠাল ছিল সেটার পানে আমার বেশ দৃষ্টি যেত। আমি বাড়ি থেকে বের হতে আবার বাড়ির দিকে প্রবেশ করতে কাঁঠালটার পানের লক্ষ্য করতাম। কারণ গাছের শেষ কাঁঠাল বলে কথা। এই গাছটাতে এবার অনেক কাঁঠাল ধরেছিল কুড়ি থেকে ত্রিশ টার মধ্যে হতে পারে। তবে আমি গাছ পাকা কাঁঠালগুলো খেতে খুবই পছন্দ করে থাকি। ঘরে পাকাতে দেওয়া কাঁঠাল আর গাছে পাকা কাঁঠালের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। তবে যাই হোক যখন আমি বৃষ্টির কারণে পায়ে কাদা পিছলের দিকে লক্ষ্য করতে করতে বাড়ির দিকে ফিরছিলাম তখন কাঁঠাল গাছ সোজাসুজি এসে হঠাৎ যেন গাছের দিকে লক্ষ্য হল। আমি কাঁঠাল লক্ষ্য করা চেয়ে কাঁঠালের বোটা বেশি লক্ষ্য করে থাকি পেকেছে কিনা।
কারণ কাঁঠাল পেকে গেলে কাঁঠালের উপরে অংশ বোটা হলুদ হয়ে যায়। আর যদি না থাকে তাহলে সবুজ থাকে। আমি দূর থেকে লক্ষ্য করে বুঝতে পারলাম সবুজ নেই কিছুটা রোদ রং ধারণ করেছে কাঁঠালের বোটা। তখনই আমি গাছের দিকে এগিয়ে গেলাম। কাঁঠালটা মাথার উপর এমন অবস্থায় ছিল। তবে নিচ থেকে ছোঁয়া যাচ্ছিল। কাঁঠালটাতে হাত লাগিয়েই বোঝা গেল পিকে নরম হয়ে রয়েছে। তখন ওই মুহূর্তে আমার হাতে তিনটা দা হাইসু ছিল। একটি গাছের গোড়ায় রেখে বাকি দুইটা ঘরের মধ্যে রেখে ভাবলাম মোবাইলটা নিয়ে যায় শেষ কাঁঠালের চিত্র ধারণ করতে পারব কিন্তু সজরে বৃষ্টি আশায় আর মোবাইলটা হাতে নেওয়া হলো না। কাঁঠালটা ভালোভাবে গাছ থেকে পেড়েই নিয়ে বসলাম আমার ঘরের সামনে সিড়ির পাশে। এরপর সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে এসে পরিপাটি হয়ে বসে পড়লাম। কারণ এই ফলটা গরমের সময় হাওয়ায় খেয়ে শান্তি হয় না। গতকাল দিনে কারেন্ট ছিল না তারপরেও বেশ ছিল ঠান্ডা বৃষ্টির কারণে। এমন দিনেই তো কাঁঠাল খেয়ে বেশি মজা। তাই আমি আমার মত কাঁঠাল ডাকে মাঝখান দিয়ে ছিঁড়ে নিলাম এবং ভাঙ্গা শুরু করে দিলাম। এরপর মাঝখানের অংশটা তুলে ফেললাম। এরপর একটি একটি করে কাঁঠাল উঠাতে থাকলাম।
কাঁঠাল ভাঙার মুহূর্তে একজন পানি এবং প্লেট নিয়ে বসে ছিলাম। যেন দ্বিতীয়বার উঠতে না হয়। আর কাঁঠাল ভাঙলেই তো বুঝতে পারছেন হাতে আগে আঠা লাগে। তাই সেভাবে প্রস্তুতি নিয়ে বসে ছিলাম। এদিকে বাইরে নিরবে বৃষ্টি হয়ে চলছে। আর শীতল বাতাস গায়ে লাগতেছিল। তাই একের পর এক কাঁঠাল তুলছিলাম একটা করে প্লেটে আর একটা করে খেয়ে চলছিলাম। গাছপাকা কাঁঠাল বলে কথা। আর আমাদের গাছের কাঁঠাল খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে। এজন্য এত গভীর আগ্রহের সাথে আমি কাঁঠাল নিয়ে বসে ছিলাম।
বেশ কুড়ি থেকে আধাঘন্টা সময় ধরে আমার এই সুন্দর কার্যক্রম চলতে থাকলো। একটি পর্যায়ে লক্ষ্য করলাম প্লেটে ও বেশ অনেকগুলো কাঁঠাল উঠিয়ে ফেলেছি। দিকে নিজেও খেয়ে যেন আর খাওয়া সম্ভব হয়ে উঠছে না। তবে একটা কথা রয়েছে ফল খেয়ে জল খেতে নেই। কিন্তু আমি পানি সামনে নিয়ে বসে ছিলাম হাত ধোয়া বা খাওয়ার জন্য। শুধু মনে ছিল না সরিষার তেল কাছে রাখার। কারণ এই পর্যন্ত কাঁঠাল খাওয়া হোক লেটে উঠানোর মধ্য দিয়ে আমার ডান হাতে অনেক কাঁঠালের আঠা লেগে গেছে। যাই হোক এরপর নিচের অংশ অর্থাৎ কাঁঠালের খোসা রেখে দিলাম ছাগলের জন্য। শেষ কাঁঠালের খোসা বলে কথা। কারণ এবছরের মত এই খোসা আর ছাগলটা পাবে না। আগামী বছর আসতে আসতে হয়তো ছাগলটা নাও থাকতে পারে। তাই খোসাটাকেও বেশ যত্ন করেই একটি গামলার মধ্যে রাখলাম। আর এভাবেই গতকাল বিকেল মুহূর্তে আমার কাঁঠাল খাওয়ার কার্যক্রম সম্পন্ন হল। আর এরি সাথে শেষ হলো ২০২৪ সালের নিজের গাছের পাকা কাঁঠাল খাওয়ার অনুভূতি।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিষয় | কাঁঠাল খাওয়ার অনুভূতি |
---|---|
লোকেশন | Location |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix hot 11s |
ফটোগ্রাফার | @sumon09 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সকলে। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আমি তেমন কাঁঠাল খেতে পারি না।কাঁঠাল খেলে আমার প্রেশার উঠে যায়।আরন কাঁঠাল জিনিসটা অনেক গরম।কাঁঠাল খাওয়ার সাথে সাথে শরীরে গরম ধরে।যাই হোক আপনার কাঁঠাল খাওয়ার অনুভূতি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।আসলে নিজের গাছের কোন ফল খাওয়ার মজাই অন্যরকম।
ভালো লেগেছে যেন খুশি হয়েছি
মামা আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনাদের নিজ গাছের পাকা কাঁঠাল খাওয়ার অনুভূতি। আসলে পাকা কাঁঠাল খেতে আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে। তবে এবার অতিরিক্ত গরমের কারণে খুবই কম খাওয়া হয়েছে। তবে এখন ঠান্ডার সময় কাঁঠাল খেলে কোন সমস্যা হবে না। আসলে নিজের গাছের যে কোন ফল খেতেই বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ঠান্ডার দিনে খেতে ভালো লাগে।
পুরো দেশেই গতকাল থেকে অনেক বৃষ্টি হচ্ছে। যাই হোক বৃষ্টির মধ্যে নিজেদের গাছের শেষ পাকা কাঁঠাল খেলেন। ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে কাঁঠালটা বেশ মজার ছিল। আর বৃষ্টির সময় একটু ঠান্ডা পড়লে কাঁঠাল খেতে ভালো লাগে। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম ঠিক বলেছেন আপু
বৃষ্টির দিনে কাঠাল খেতে একটু বেশি ভালো লাগে। তবে, প্রচন্ড গরমের মধ্যে কাঠাল খেলে আরো বেশি গরম লাগে। আপনার বাসায় দেখছি অনেক গুলো কাঁঠালের গাছ রয়েছে।আর কাঠাল গুলো দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজাদার ছিল।
হ্যাঁ অনেক ফল গাছ রয়েছে
আমি কখনও কাঁঠাল পছন্দ করি না। তাই খাওয়াও হয়নি। আজ আপনার গাছের কাঁঠালটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে বেশ মজা কাঁঠালটি ছিল। আমাদের এবার কয়েকটা কাঁঠাল কিনে এসেছিল। কিন্তু আপনার গাছের কাঁঠালের মতো একটাও এইরকম ভালো পড়েনি। গরমের দিন অতিরিক্ত কাঁঠাল খেলে অনেক অস্থির লাগে। আসলে নিজের গাছের ফল খাওয়ার মজাই আলাদা।
গরমের দিন তো খেতে পারিনা
ভাইয়া সত্যি কাঁঠালটা খেতে অনেক মজা লেগেছিল। আমি ,রাজ ,ও রাজের আব্বু অনেকগুলো খেয়েছি এই কাঁঠাল থেকে অনেক অনেক মজার ছিল আমাদের এই কাঁঠালটি। ভালো লাগলো এই কাঁঠালদের পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে।
শেষ কাঁঠাল বলে কথা
আপনারা পোস্ট টি পড়ে বুঝতে পারলাম কাঁঠাল আপনার অনেক প্রিয় একটি ফল তাই তো বিশ,ত্রিশ টি কাঁঠাল খাওয়ার পরেও একমাত্র কাঁঠালের প্রতি আকর্ষণ ছিলো অনেক এবং সব সময় চোখ রাখতেন কাঁঠালটির প্রতি। বেশি বৃষ্টিতে ভিজিয়েন না ভাইয়া জ্বর চলে আসবে।কাঁঠাল সত্যি গাছ পাকা পছন্দ আমারও।গাছ পাকা কাঁঠাল চেনার সহজ পদ্ধতি পেলাম আপনার কাছে।কাঁঠালের রোয়াগুলো অনেক সুন্দর। মিষ্টি নিশ্চয়ই অনেক।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
মাঝেমধ্যে বৃষ্টিতে ভেজা হয়ে যায় আপু
তাহলে ভাইয়া ২০২৪ সালের নিজ গাছের কাঁঠাল খেয়ে ফেলেছেন। নিজ গাছের কাঁঠাল পাকা খাওয়ার মজাই আলাদা। এইবার আমি নিজেও নিজ গাছের পাকা কাঁঠাল অনেক খেয়েছি। তবে আপনারা দেখতেছি নিজ গাছের শেষ কাঁঠালটি খুব মজা করে খেয়েছেন। এবং নিজ গাছের প্রথম কাঁঠাল ও শেষ কাঁঠাল খেতে অন্যরকম অনুভূতি আসে। অনেক সুন্দর করে কাঁঠাল খাওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
২৪ সালের শেষ কাঁঠাল শেষ।