হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি আমার আম্মার অসুস্থতার জন্য ডাক্তার দেখানোর অনুভূতি নিয়ে। আশা করি এই পোস্ট পড়ার মধ্য দিয়ে বেশ অনেক কিছু জানতে পারবেন।

কুষ্টিয়া পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার: |
বেশ কয়েক মাস যাবত আম্মা অসুস্থ থাকায় উনাকে কুষ্টিয়া পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাক্তার দেখাতে আনতে হয়। এর আগে সেভ ড্রাইগনস্টিক সেন্টারে মাসুদ স্যার কে দেখানো হতো। কিন্তু পরবর্তীতে আম্মার বেশ জটিল সমস্যা ধারণ করে। একদিকে আলসার আরেকদিকে গলায় সমস্যা রয়েছে। এরপর থেকে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আরিফুল স্যার কে দেখানো হয়। তাই ঈদের আগে গত ৭ তারিখে আম্মাকে নিয়ে দুই ভাই উপস্থিত হলাম। উপস্থিত হয়ে বেশ মানুষের ভিড় দেখলাম। এরপর জানতে পারলাম আরিফুল স্যার দুইটার সময় আসার কথা এসে গেছে। লিফটে উঠার সময় উনার সাথে দেখা হল।


মাকে দুই ভাই ধরে লিফটে করে উঠিয়ে এলাম পাঁচ তলায়। সেখানে দেখলাম বেশ মানুষের ভিড়। এদিকে আমরা আগে থেকে মোবাইলে সিরিয়াল করে রেখেছিলাম। মনের মধ্যে শুধু টেনশন হয়েছিল আমাদের সিরিয়াল যে কত নম্বরে। যেহেতু গাংনী থেকে কুষ্টিয়াতে দুই ঘণ্টার রাস্তা। দুইটার পর থেকে পেশেন্ট দেখবেন এরপর যদি কোন টেস্ট দেয় তাহলে তো বাড়ি পৌঁছাতে রাত হয়ে যাবে অনেক।

এরপর আরিফুল স্যারের রুম যেটা সেখানে উপস্থিত হলাম। তার কম্পাউন্ডার এর কাছে আমার আম্মার প্রেসক্রিপশন এর বইটা জমা করলাম ৬০০ টাকা দিয়ে। এরপর কমপাউন্ডার এর কাছে জানতে পারলাম আমাদের সিরিয়াল নম্বর ১৩। যায় হোক আমার বেশ কিছুটা সময় বসে থাকলাম সেখানে। এরপর ডাক্তার তার চেম্বারে প্রবেশ করলেন এবং একের পর এক রোগী দেখতে থাকলে। এই মুহূর্তে আমার আম্মা বেশ অসুস্থ হয়ে পড়লেন। খুবই খারাপ লাগছিল দুই ভাইয়ের। কি যে করা যায় টেনশনে পড়ে গেলাম। ডাক্তারের কাছে এসে সিরিয়ালে পড়ে থেকে মায়ের অসুস্থতা, এই মুহূর্তটা সহ্য করা বেশ কঠিন।



এরপর আমাদের সুযোগ আসলো ডাক্তারের কাছে যাওয়ার। ডাক্তারের চেম্বারে প্রবেশ করলাম। সেখানে এক ভাই আম্মার প্রেসার পরীক্ষা করল, ওজন পরীক্ষা করল। এরপর বিস্তারিত খুলে বলা হলো এখান থেকে বাড়ি আসার পর এতদিন কি অবস্থা হয়েছিল আমার আম্মার আর সব ওষুধ ঠিকঠাক খাওয়া হয়েছে কিনা।

সবকিছু শোনার পরে ডাক্তার বেশ কয়েকটা ঔষধ লিখে দিলেন এরপর জানালেন আগামী ১৮ তারিখে যেন আমরা উপস্থিত হই কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে। সকাল 11:30 টার সময় উনি আমার এন্ডোস কপি করে আলসার টেস্ট করবেন। যদি মনে হয় নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আসছে তাহলে ঔষধ চলবে আর যদি মনে হয় না খারাপ অবস্থা তাহলে অপারেশন করতে হবে। ঠিক এরই মধ্যে আমাদের অসুস্থ হয়ে পড়ে তাই আমরা ১৮ তারিখের অপেক্ষায় রয়েছি। দেখা যাক আল্লাহ কি করে। সম্ভবত অপারেশন করা লাগবে। আপনারা দোয়া করবেন আমার আম্মার জন্য। আজকে ঈদের দিন হয়তো অনেকে অনেক রকম আনন্দের মধ্যে দিন অতিবাহিত করছে দোয়া করি সকলের দিন শুভ কাটুক। কারণ বাড়িতে এমন বিপদ থাকলে কতটা খারাপ লাগে, আর ঈদের দিন কেমন যায় তা অনুভব করতে পারছি। যেন মনে হচ্ছে না ঈদের দিন উদযাপন করছি। তবু আল্লাহ যে অবস্থায় রেখেছে আলহামদুলিল্লাহ অন্যদের তুলনায় অনেক ভালো আছি।

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

বিষয় | মায়ের অসুস্থতা |
ফটো ধারণ | কুষ্টিয়া পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার |
লোকেশন | kushtia |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix hot 11s |
ফটোগ্রাফার | @sumon09 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সকলে। আল্লাহ হাফেজ। |

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
সুস্থতা আল্লার দেয়া সবথেকে বড় নেয়ামত অসুস্থ হলে বোঝা যায় এর গুরুত্ব কতটুকু। আপনার আম্মু অসুস্থ যেনে খুবই খারাপ লাগলো। দোয়া করি আপনার আম্মু যেন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।
আমার আম্মুর জন্য দোয়া করবেন ভাই।
অবশ্যই ভাই আপনার মায়ের জন্য দোয়া রইলো তিনি যেনো খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যান।