একদিন নারিকেল পাড়ার আনন্দ মুহূর্ত

in আমার বাংলা ব্লগlast year


আসসালামু আলাইকুম

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। সকলকে শুভকামনা জানিয়ে শুরু করছি আজকের একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি আমাদের গাছ থেকে নারিকেল পড়ার এক মুহূর্তের ফটোগ্রাফি নিয়ে। আশা করবো আমার এই ফটোগুলো আপনাদের ভাল লাগবে সাথে আমাদের দুজনার আনন্দঘন মুহূর্তে কিছু বিষয় জানতে পারবেন।

IMG_20231128_160027_935.jpg


আমি মায়ের বাসায় অবস্থান করেছিলাম। ৫-৬ দিন পরে আমাকে দেখতে আসবে সে। গাছে অনেকগুলা নারিকেল ছিল। আমাদের গ্রামের একজনকে বলা হয়েছিল এগুলো পেড়ে দিয়ে যেতে। আমার হাজব্যান্ড আসবে তাই মা বলেছিল জামাইকে পিঠা বানিয়ে দিবি। আমি বিয়ের পর একটা জিনিস বেশি লক্ষ্য করেছি সে মিষ্টি জাতীয় জিনিস মোটামুটি ভালো পছন্দ করে। আর এই বিষয়টা আমার মত আমার আম্মাও জানে। কিন্তু যিনি নারিকেল গুলো পেড়ে দিয়ে যাবে উনি আসেন না কোন কারনে। এই বিষয়টা আমার হাজব্যান্ড জানতে পারলো। কথায় কথায় হঠাৎ করে সে আমাকে বলল, আমি যেভাবে হোক নারিকেল গুলো পেড়ে দিতে পারব তবে একটা শর্ত আছে। আমি তাকে প্রশ্ন করেছিলাম কি করতে হবে। সে বলেছিল আমি যখন নারিকেল গুলো পারব তখন ফটো ধারণ করতে হবে। তখনই বুঝে গেছিলাম সে ব্লক করতে চায়। আমি এমনিতেই ফটো উঠাতে বেশি পছন্দ করি। আর এটা স্মৃতি হয়ে থাকবে ফটো ধারণ করবেনা।
IMG_20231128_155233_252.jpgIMG_20231128_155156_749.jpg

আমি রাজি হওয়া মাত্র সে আমাদের দোতলা ছাদের উপর চলে গেল। সেখানে একটা বড় চিকন বাঁশ ছিল। বাঁশটা এনে পাচিল এর উপর উঠে পড়ল। তখন আমি বুঝছিলাম না সে কিভাবে পারবে। সে শুধু বলেছিল ফটো ধারণ করতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। আর বুঝতেই পারছেন আমি ফটো ধারণ করা মানে অনেকগুলো। আমি তাকে বললাম যাই করো সাবধানে কিন্তু। অনেক মানুষ তাকিয়ে দেখছে তাকে। সে নীরবে কুল গাছের চলে গেল। এরপর সেই বাঁশটা দিয়ে নারিকেল গাছে নারিকেলের সাথে বারবার আঘাত করতে থাকলো। তখন আমি বললাম তুমি কি বোকা নাকি? এভাবে কোন দিন নারিকেল পড়ে। সে বলে বসলো নারিকেল তো পড়বে নারিকেলের বাপ শুদ্ধ পড়ে যাবে। এই কথা শুনে আমার মা হাসলো। সাবধানে পাড়তে বলল, গাছের উপর দাঁড়িয়ে না জানি বেকায়দা সৃষ্টি হয়।
IMG_20231128_155309_352.jpgIMG_20231128_155035_278.jpgIMG_20231128_155446_576.jpg

তবে আশ্চর্যের বিষয়ে, আমি লক্ষ্য করে দেখলাম একটা দুইটা নারিকেল নয়। একবারে সবগুলো পড়ে গেছে। এদিকে আমি ফটো তুলতে থাকলাম সে দ্রুত নেমে আসলো। এরপর নারিকেল হাতে ধরে বলল ফটো উঠিয়ে দাও। তারপর সব নারিকেল গুলো ছুলে দিল। নারিকেল ছোলার সময় বলতে থাকলো আমাকে ভিডিও ধারণ করলে না কেন কাজে লাগতো। কারণ ভিডিওর মধ্য থেকেও তো ফটো তোলা যায় এটা আমার মনে ছিল না। সবগুলো নারিকেল ছোলা হয়ে গেলে, চলে গেল সে অনলাইনে কাজ করতে। এদিকে আমি আমার ছোট বোন আর আম্মা ব্যস্ত হয়ে পড়লাম পিঠা তৈরি করার জন্য। আর এভাবেই সুন্দর একটা মুহূর্ত আমাদের অতিবাহিত হয়েছিল ঐদিন।
IMG_20231128_155601_460.jpgIMG_20231128_155639_107.jpgIMG_20231128_155921_320.jpg
IMG_20231128_155832_367.jpgIMG_20231128_155924_051.jpgIMG_20231128_155924_051.jpg
IMG_20231128_155927_218.jpgIMG_20231128_160017_796.jpgIMG_20231128_160035_748.jpg

IMG_20231128_201123_384.jpg
Camera: Infinix hot 11s-50mp


সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

received_434859771523295.gif

আমার পরিচয়

আমি মোছাঃ সিমরান জারা। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সদস্য সুমন জিরো নাইন এর পরিবার। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর। আমি একজন গৃহিণী। আমি ফটোগ্রাফি, রেসিপি পাশাপাশি ব্লগ করতে বেশি পছন্দ করে থাকি। এছাড় বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে ভালো লাগে। আমি এসএসসি পাশ করেছি। গাংনী ডিগ্রী কলেজে অধ্যায়ণরত রয়েছি।

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 last year 

নারিকেল পাড়া নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু। একজন নারিকেল পাড়ছে আর একজন ছবি তুলছে। কি সুন্দর দৃশ্য। আপনাদের দুজনের জন্যই শুভ কামনা। পোস্টের প্রতিটি ছবি অনেক সুন্দর হয়েছে। নারিকেল গাছ থেকে পাড়ানো অনেক কষ্টের কজ। কিন্তু সুমন ভাই দারুণ ভাবে সফল হয়ে যোগ্য জামাইয়ের পরিচয় দিয়েছেন!!পোস্টটি শেয়ার করে সুমন ভাইয়ের নারিকেল পাড়ার এই লুকায়িত গুনটি আমাদের সামনে নিয়ে আসার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 last year 

আমরা তো সবাই হাসাহাসি করছিলাম, মনে হচ্ছিল পাগলামি

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

পুরো পোস্ট টি বেশ মন দিয়ে পড়লাম। আপনাদের দুইজনের এমন মিষ্টি মধুর সম্পর্ক দেখে বেশ ভালো লাগলো। ওদিকে ভাইয়ার এমন অভিনব আইডিয়া দেখে তো তাজ্জব বনে গেলাম 😂। তবে সেই আইডিয়া আসলেই কাজে দিয়েছে। নইলে জামাই মানুষ বেইজ্জতি তে পরে যেতেন, যেহেতু অনেকেই তাকে দেখছিলো এই কাজ করতে৷

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

আমার মনে হল তার কনফিডেন্স আছে।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

ইদানিং আমার বাংলা ব্লগের বদৌলতে আমরা আমাদের দৈনন্দিন কাজগুলো আমাদের ব্লগে যুক্ত করতে চাই। এটা নিঃসন্দেহে ভালো একটা ব্যাপার। এগুলো থেকে নতুন নতুন আইডিয়া পাওয়া যায়, এই দেখুন তিনি গাছে না উঠেও কতগুলো নাড়িকেল পেরে আনলেন। সত্যিই দারুন একটা কাজ করেছেন। এরপর এই নাড়িকেল দিয়ে আবার সুস্বাদু পিঠা তৈরি হয়ে গেছে।
যাইহোক অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

তা অবশ্য ঠিক বলেছেন। আমি তো ভাবতে পারি নাই সে নারিকেল পাড়তে পারবে।

Posted using SteemPro Mobile