লাইফ স্টাইল।। জরুরি প্রয়োজনে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ইনস্টিটিউটে।।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।
অসুস্থতা জিনিস টা কার কখন কিভাবে হয়ে যাবে কেউ জানেনা।কথায় আছে অসুস্থতা আর দরিদ্রতা এই দুটো জিনিস কখনোই বলে কয়ে আসেনা ।সুতরাং এই দুটো জিনিস নিয়ে কখনোই বড়ই করতে নেই।অসুস্থতা মানেনা বড় বা ছোট।এইতো গত মাসের দশ তারিখে যেতে হয়েছিল বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে।আমার ভাতিজির সমস্যার জন্য।যদিওবা আমার ভাতিজি গুরুতর অসুস্থ ছিলনা কিন্তু তারপর ও ছোট বাচ্চাদের রোগ হলে কোনোভাবেই হেঁয়ালি করতে নেই।আর ঐ সময়টায় ছিলো প্রচুর গরম।আমার ভাতিজির সমসসা ছিল,এলার্জি এবং খাওয়ার কোনো রুচি ছিলোনা।
প্রথমদিন ডাক্তার দেখিয়েছিলেন আমার বড় ভাই এবং ভাবী।ঢাকা শহরের মেডিকেল গুলোর সমস্যা হলো রিপোর্ট ডেলিভারিতে।আমাদের উত্তরবঙ্গে যেকোনো টেস্ট আপনি যেদিন করবেন সেইদিনই রিপোর্ট পাবেন মাত্র 3 টা স্যাম্পল এর রিপোর্ট ব্যতীত।যাইহোক ভাই এবং ভাবী বাবুকে নিয়ে ডাক্তার দেখিয়েছিলেন 9 তারিখে।আর তারপরের দিন আমি গিয়েছিলাম রিপোর্ট নিয়ে ডাক্তার কে দেখাতে।সেইদিন এত পরিমাণের গরম পড়ছিল যে,কি বলবো আর আপনাদের।রিপোর্ট নেওয়া শেষে যখন ডাক্তার কে রিপোর্ট দেখাতে গেলাম তখন তো আরও বিড়ম্বনায় পড়ে গিয়েছিলাম।
রিপোর্ট দেখাতে গিয়ে দেখি ইয়া বড় লম্বা লাইন।কম করে হলেও 25 থেকে 30 জন হবে লাইনে।এতটা পরিমান শিশু বাচ্চারা ঐ সময়টায় অসুস্থ হচ্ছিলো।তারপর আর কি করার ডাক্তার রুমের গার্ড এর কাছে দিয়ে ভালোভাবে কৌশল বিনিময় করলাম। তারপরে আরো কিছুক্ষণ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গল্প করলাম। ভাব জমাই নিয়ে তারপরে বললাম ভাই আমি অনেক দূর থেকে এসেছি আমি শুধু রিপোর্টটা দেখাবো যদি একটু সুযোগ করে দিতেন! তারপর কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাকে ভেতরে ডাকা হলো রিপোর্ট দেখানোর জন্য।
এরপরের ভিতরে গিয়ে ডাক্তার কে আমার ভাতিজির বর্তমান সময়ের অবস্থার কথা জানানোর পর তিনি বেশ কিছু ঔষধ এডভাইস করেন। এরপরে ডক্টরের চেম্বার থেকে বের হয়ে বাইরে হালকা খাওয়া-দাওয়া করে পুনরায় বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হই। ঐ দিনটা সব মিলিয়ে বেশ ব্যস্তময় কাটিয়েছিলাম। সেই সাথে অতিরিক্ত পরিমাণে গরম থাকার কারণে সবকিছু যেন আরো এলোমেলো লাগছিল। বেশ কষ্টকর একটি দিন কাটিয়েছিলাম সেই দিন। যাই হোক আমার ভাতিজি এখন মোটামুটি সুস্থ। সবাই আমার ভাতিজির জন্য দোয়া করবেন।
আমার লিখে যাওয়া প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল, সেই সাথ আপনাদের মন্তব্য গুলিও থেকে যাবে অনন্তকাল।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য গুলো কমেন্ট বক্সে দেখতে পাবো ।
Device | Redmi 12 |
---|---|
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.