ঈদের পাঞ্জাবি শপিং।
২০ ই চৈএ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
৪ ই এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ।
|
---|
প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আজকে একটি লাইফস্টাইল পোস্ট নিয়ে কথা বলবো।আসলে আর কিছু দিন পরেই মুসলমানদের পবিএ ঈদুল ফিতর।আমরা বেশির ভাগ মানুষইরোজার ঈদ এই বলি থাকি।আসলে আমরা ছোটবেলা এই ঈদটাতেই বেশি আনন্দ করতাম।
একতো অনেকগুলো কষ্ট করে রোজা রেখে এই ঈদ হতো তার উপর নতুন নতুন জামা কাপড়।ছোট বেলা তো ঈদের শপিং করে কাউকে দেখাতে চাইতাম না ঈদ চলে যাবে বলে।জামা পুরানো হয়ে যাবে তাই কাউকে সহজে বলতে চাইতাম না শপিং করা হয়েছে। ছোটবেলায় ঈদ মানেই হচ্ছে এ থেকে জেড পযন্ত সব নতুন থাকতে হবে।তারপর ঈদের দিন আপুর পিছন পিছন ঘুরতাম সাজিয়ে দেওয়ার জন্য।আমি ছোটবেলায় অনেক সাজুগজু করতাম।কেন জানি এমন আনন্দ টা আর নেই হয়তো বড় হয়েছি বিদায়।সেই দিন গিয়েছিলাম ছেলের জন্য পাঞ্জাবি কিনতে আসলে ও তেমন একটা বুঝে না যে ঈদ মানেই নতুন কিছু কিনে দিতে হবে।
তাছাড়া ওকে কোন কিছু নতুন কিনে দিলে সেটা পরতে চায় না বলে পুরোনো হয়ে যাবে। হা হা।এবারের রোজা গুলো প্রথম দিকে একটু ঠান্ডা ঠান্ডাই ছিলো কিন্তু ইদানিং অনেক কেমন জানি একটা গরন পরছে তাই ভেবেছিলাম বাহিরেই বের হবো না,কিন্তু এবার দেখলাম সবাই শপিং এর উদ্দেশ্য টাকা দিয়ে দিচ্ছে কেউ কিছু কিনে দিচ্ছে না।আসলে এবারের ঈদে কেন জানি আমার কাছে কিছু ই পছন্দ হচ্ছে না আবার দাম ও অনেক বেশি। যাই গিয়েছিলাম বাসার কাছাকাছি একটি শোরুমে।
বেশি কিছু ছেলের জন্য পাঞ্জাবি আর যদি ভালো গেঞ্জি পাই তাহলে কিনে নিব । গেলাম আমি আর আপু মিলে উৎসব শোরুমে।সেখানে দেখলাম একেবারে কাপল সেট থেকে মোটামুটি অনেক টাইপের পাঞ্জাবি, শাড়ি কুর্তি পাওয়া যায়।দেখতে মোটামুটি ভালো,কালারগুলো ও সুন্দর ।
সমস্যা হচ্ছে আমরা অনেক দেরি করে যাওয়াতে ঠিকমত সাইজ পাচ্ছিলাম না।আবার সাইজ মিললে ডিজাইন পছন্দ হচ্ছিলো না কিংবা কালার মিলছে না।পরে তাদেরকে জিজ্ঞেস করাতে বললো আসলে দশ রোজার পর সব স্টক আউট হয়ে গিয়েছে। তার মানে আমরা দেরি করে ফেলেছি কি আর করার কোন রকম তিনটা তিনরকমের পছন্দ হয়েছে নিয়ে নিলাম। আসলে একটা আমার ছেলে আরেকটা আমার বোনের ছেলে আর আরেকটা ভাইয়ের ছেলে।আসলে প্রত্যেক বছর চেষ্টা করি ওদেরকে একই রকম পরাতে এই বছর দেরি হওয়াতে সাইজের জন্য একরকম পেলাম না,তাই তিনটা তিনরকমের নিয়েছি।

যাই হোক আজকেএই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে । আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি রাহিমা খাতুন নেভি। আমি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর B.S .C করেছি। আমার ভালো লাগে নতুন নতুন জিনিস দেখতে এবং শিখতে।আমার বাংলা ব্লগের সাথে সকল নিয়ম কানুন মেনে থাকতে চাই।
device | samsung SM-A217F |
---|---|
Location | Dhaka |
Photograpy | flowers |
link | (Source) |
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
আসলে ছোটবেলায় ঈদের আনন্দ আর বড় হয়ে এখনকার ঈদের আনন্দের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। ছোটবেলা আমাদেরও এমনটাই হতো সব কিছু নতুন না হলে ঈদগায়ে নামাজ পড়তে যেতে মন চেতনা। তবে যাই হোক কেনাকাটার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে ভালো লাগলো। তবে এদিকে বিষয় ফ্লোয়ার টা সংশোধন করবেন। ভালো লাগলো আপনার কেনাকাটার মুহূর্তের অনুভূতি জেনে।
যখনই পার্থক্য মনে হবে তখনই বুঝা যাবে বড় হয়ে গিয়েছে। হা হা ধন্যবাদ
চারদিকে ঈদের শপিং করার ধুম পড়ে গিয়েছে। প্রতি বছর ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের ঈদ শপিং করার একটা আলাদা আগ্রহ থাকে।এই ঈদে নতুন নতুন জামা কাপড় না কিনলে মনে হয় ঈদ টি পূর্ণতা পায় না। আপনি আজকে ঈদ উপলক্ষে পাঞ্জাবি কিনেছেন, দেখে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো।
এখন আর আমাদের ঈদ নেই সব বড়দের ঈদ।ধন্যবাদ আপনাকে
এটা ঠিক কথা বলেছেন রমজানের প্রথম দিকে গরম না পড়লেও এখন অনেক গরম পরতে শুরু করেছে আর এজন্য সকলেরই জন্য কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর এ বছর দ্রব্যমূল্যের দাম এত বেশি কোন কিছু ক্রয় করা যেন হচ্ছে না। তারপরও দেখছি আপনি অনেক কষ্টে পছন্দ করে তিনটা পাঞ্জাবি কিনতে পেরেছেন।
শেষের দিকে অনেক গরম পরেছে,প্রথম দিকে বেশ ঠান্ডা ঠান্ডাই ছিলো।ধন্যবাদ
আপু আপনার পোস্ট দেখে বুঝতে পারলাম যে এবার আপনাদেরকে কেউ কোন কিছু কিনে দিচ্ছে না কারণ সবাই টাকা দিচ্ছে। আর এটা আপনি ঠিক বলেছেন আপু এবার জিনিসের দাম অনেকটাই বেশি। এতে ক্রেতারা খুবই বিপদে পড়ে যাচ্ছে। তবে কি আর করার ঈদ মানে কেনাকাটা একটু হবেই। যাইহোক আপনি পাঞ্জাবি কিনেছেন এবং সেখান থেকে বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখতে পেয়ে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
সব কিছুর দাম আকাশ পাতাল হয়ে গিয়েছে। আসলে মার্কেটে যাওয়া বেশ ঝামেলা। ধন্যবাদ আপনাকে
ঈদের কেনাকাটা করতে খুবই ভালো লাগে। আপনারা কেনাকাটা করতে একটু দেরি করে ফেলেছেন তাই হয়তো বা সাইজ মিললে ও কালার বা ডিজাইন পছন্দ হচ্ছিল না। যাইহোক আপনার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
আসলেই আপু দেরি হওয়াতে ঠিকভাবে মিলাতে পারছি না।ধন্যবাদ
ছোট বাচ্চাদের জিনিস গুলো কিনতে একটু সময় দিয়ে আগে যেতে হয়। যদি লেটে যাওয়া হয় ঠিক সেই সমস্যাটা হয়েছে। হয়তো সাইজ পাওয়া যায় না হয় সাইজ পেলে কালার পাওয়া যায় না এমন সমস্যা। আর প্রথম রোজা গুলো ভালই কাটলো কিন্তু শেষের গুলো অনেক বেশি গরম। তিনজনের জন্য তিনটা পাঞ্জাবি নিলেন শুনে ভালো লাগলো। অবশেষে আপনি পাঞ্জাবি নিতে পারলেন। খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করলেন ভালো লাগলো পড়ে।
আসলে ছোট বাবু ম্যানেজ করে বের হওয়াটা বেশ টাফ হয়ে যায়।ধন্যবাদ আপনাকে
বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের আনন্দের কারণগুলোও কেমন জানি কমতে থাকে আপু। আমিও ছোটবেলায় এরকম পুজোর সময় পোশাক কিনে বের করতে চাইতাম না, পুরনো হয়ে যাবে বলে। যাইহোক, এটা ঠিক কথা যে উৎসবের দু একদিন আগে গেলে যে কোন শোরুমে স্টক শেষ হয়ে যায় কিংবা ভালো কালেকশন পাওয়া যায় না। আপনার শপিং করা নিয়ে শেয়ার করা এই ব্লগটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপু।