লাইফস্টাইল পোস্ট || পরিচিত ছোট ভাইয়ের বিয়ের দাওয়াত খাওয়ার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। এই মাসের ১১ তারিখ অর্থাৎ শুক্রবার আমাদের এক পরিচিত ছোট ভাইয়ের বিয়ে ছিলো। তো সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে আমাদের ৭/৮ জন বন্ধু বান্ধব এবং ভাই ব্রাদারদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল। আসলে বেশ কয়েকজন মিলে দাওয়াত খেতে খুব ভালো লাগে। বিগত কয়েকদিনের মধ্যে বেশ কয়েকটি বিয়ের অনুষ্ঠানে আমরা কয়েকজন একসাথে গিয়েছিলাম। যাইহোক আমরা সেই পরিচিত ছোট ভাই অর্থাৎ রুবেলের বিয়েতে যাওয়ার জন্য আগে থেকেই মনস্থির করেছিলাম। রুবেলের বাসা হচ্ছে আমাদের পাশের মহল্লাতে এবং তার শ্বশুরবাড়ি হচ্ছে লাঙ্গলবন্দ। অর্থাৎ আমাদের মহল্লা থেকে গাড়িতে চড়ে সেখানে যেতে ২০/২৫ মিনিট সময় লাগে।
তো শুক্রবার দাওয়াত ছিলো রুবেলের শ্বশুরবাড়িতে এবং তার পরের দিন অর্থাৎ শনিবার বৌভাত এর দাওয়াত ছিলো রুবেলের বাড়িতে। যাইহোক শুক্রবার জুম্মার নামাজ আদায় করে বাসায় এসে রেডি হয়ে, পাশের মহল্লায় অর্থাৎ রুবেলের বাসার দিকে চলে গেলাম। কারণ তারা আগে থেকেই আমাদের সবার জন্য গাড়ি ঠিক করে রেখেছিলো। যাইহোক রুবেল সহ তার বাসার সবাই রেডি হওয়ার পর, আমরা বরযাত্রী হিসেবে রওনা দিলাম রুবেলের শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে। তো আমরা সেখানে পৌঁছানোর পর,দেখলাম কোনো টেবিল খালি নেই। তারপর আশেপাশে একটু হাঁটাহাঁটি করলাম এবং স্টেজ দেখলাম। এরপর আমরা সবাই বসে খাওয়া দাওয়া শুরু করলাম। অবশ্য খাওয়া দাওয়া শুরু করার আগে কিছু ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করলাম। যদিও ফটোগ্রাফি করতে আমার লজ্জা লাগছিলো।
কারণ বিয়ে বাড়িতে ফটোগ্রাফি করলে সবাই তাকিয়ে থাকে। আর সেজন্য ফটোগ্রাফি করতে অস্বস্তি লাগে। যাইহোক আমরা সবাই একসাথে খাওয়া দাওয়া করছিলাম এবং ফাঁকে ফাঁকে কথাবার্তা বলছিলাম। খাবারের আইটেম একেবারে কম ছিলো না,আবার বেশিও ছিলো না। তবে প্রতিটি খাবারের স্বাদ দারুণ ছিলো। আমি খাওয়ার ফাঁকে দুটি ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করেছিলাম। যদিও তাড়াহুড়া করে ফটোগ্রাফি করেছি বলে,ফটোগ্রাফি দুটি তেমন ক্লিয়ার আসেনি। যাইহোক খাওয়া দাওয়া শেষ করে, আমরা বেশ কিছুক্ষণ সেখানে ঘুরাঘুরি করলাম এবং প্রাকৃতিক দৃশ্যের বেশ কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করলাম। সেই ফটোগ্রাফি গুলো এক সময় আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। বেশ কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করে ভাবলাম যে বাসায় ফেরা যাক।
তো আমরা বাসার দিকে রওনা দিয়ে, বাসার দিকে যাচ্ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে খুব সুন্দর একটি বিল দেখতে পেলাম। তখন বিকেল ছিলো বলে,বিল এবং চারপাশের সৌন্দর্য দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল। তো আমরা গাড়ি থামিয়ে বিলের সামনে বেশ কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম। সেই ফাঁকে আমি আরও কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছিলাম। সত্যি বলতে বিলের চারপাশে সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে। তাছাড়া সেদিনের আবহাওয়াটাও চমৎকার ছিলো। যাইহোক আমরা অল্প কিছুক্ষণ সেখানে থেকে, গাড়িতে উঠে আমাদের মহল্লায় চলে গেলাম। তারপর আমরা কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে,যার যার বাসায় চলে গিয়েছিলাম। যাইহোক সবমিলিয়ে পরিচিত ছোট ভাই অর্থাৎ রুবেলের বিয়ের দাওয়াত খাওয়ার অনুভূতি দারুণ ছিলো। আর এই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আরও বেশি ভালো লাগছে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S9 Plus |
তারিখ | ২৪.১০.২০২৪ |
লোকেশন | লাঙ্গলবন্দ,নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
X-promotion
পরিচিত কোন এক ছোট ভাইয়ের বিয়ের দাওয়াতে উপস্থিত হয়েছেন। আর সে দাওয়াত সম্পর্কে আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার সুন্দর এই লাইফস্টাইল পোস্ট দেখে। যেখানে কিছুটা হলেও অজানা কোন এক ব্যক্তির বিয়ে সম্পর্কে ধারণা পেলাম।
চেষ্টা করেছি পোস্টটি দারুণভাবে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে। যাইহোক এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ছোট ভাইয়ের বিয়ের দাওয়াত খাওয়ার অনুভূতি তো দারুন ছিল। বিয়ে মানেই তো খাওয়া দাওয়া আর আনন্দ। তবে বিয়ের তিন চার মাস পরে বুঝা যায় বিয়ে কি জিনিষ হা হা হা মজা করলাম। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই কিছুদিন পরেই বুঝবে বিয়ে কি জিনিস হা হা হা। এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।