প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। বেশ কিছুদিন আগে সন্ধ্যার পর, চাষাড়া শহীদ মিনারের দিকে ঘুরতে গিয়েছিলাম আমরা কয়েকজন বন্ধু বান্ধব মিলে এবং আজকে সেই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। চাষাড়া শহীদ মিনারে প্রায় সবসময়ই মানুষের আনাগোনা দেখা যায়। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর তো প্রচুর ভিড় হয় সেখানে। তাই সন্ধ্যার পর সেখানে গিয়ে সময় কাটাতে বেশ ভালো লাগে আমাদের। তাছাড়া শহীদ মিনারের পিছনে বিভিন্ন ধরনের স্ট্রিট ফুড পাওয়া যায়। এছাড়া বিভিন্ন ফ্লেভারের চা তো পাওয়া-ই যায়। তাছাড়া বেশ কিছু ক্যাফে রয়েছে সেখানে। সেসব ক্যাফে গুলোতে সন্ধ্যার পর লুচি,চিকেন তন্দুরি,বটি কাবাব থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের খাবার বিক্রি করা হয় সন্ধ্যার নাস্তায়।

তাছাড়া সেখানে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট,সুলতান ডাইন রেস্টুরেন্ট ছাড়াও বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট রয়েছে। সবমিলিয়ে শহীদ মিনারের পিছনের রাস্তাটা খুবই ব্যস্ততম একটি রাস্তা। যাইহোক আমরা চাষাড়া পৌঁছে প্রথমে মার্কেটে ঢুকে কিছু কেনাকাটা করলাম। মূলত আমার ফ্রেন্ড কিছু কেনাকাটা করেছিল। তো আমরা তারপর চলে গেলাম শহীদ মিনারের সামনে। সেখানে বসে বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম। সন্ধ্যার পর সেখানে বসে আড্ডা দেওয়ার মজাই আলাদা। টিএসসি চত্বরে বসে আড্ডা দিতে যেমন ভালো লাগে, তেমনি চাষাড়া শহীদ মিনারের সামনে বসে আড্ডা দিতেও আমার খুব ভালো লাগে। যাইহোক সেখানে আড্ডা দেওয়ার পর সবারই হালকা ক্ষুধা লেগে গিয়েছিল। তাই শহীদ মিনারের পিছনে থাকা একটি ক্যাফে তে আমরা ঢুকলাম। তারপর সবাই মিলে লুচি, চিকেন তন্দুরি এবং বটি কাবাব অর্ডার দিলাম।

খাবার অর্ডার দিয়ে আমরা আড্ডা দিতে লাগলাম। এরমধ্যেই আমাদের টেবিলে খাবার এসে হাজির হলো। সবাই ক্ষুধার্ত ছিলো বলে,অল্প সময়ের মধ্যেই খাওয়া দাওয়া শেষ করে ফেলেছিলাম। তাছাড়া খাবারের স্বাদ ছিলো এককথায় দুর্দান্ত। আমার ক্ষুধা বেশি লেগেছিল বলে,খাবারের ছবি তোলার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। যাইহোক আমরা বিল মিটিয়ে, শহীদ মিনারের পিছনে থাকা চায়ের দোকানে চলে গেলাম। সেখানে তেঁতুল চা,আমলকী চা,লেবু চা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ফ্লেভারের চা রয়েছে। আমি আমার জন্য তেঁতুল চা অর্ডার করেছিলাম। কারণ সেখানকার তেঁতুল চা আমার কাছে বরাবরই দারুণ লাগে। চা পান করার পর সেখানে আর বেশিক্ষণ না থেকে,বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। ২৫/৩০ মিনিটের মধ্যেই বাসায় চলে এসেছিলাম। সবমিলিয়ে সেদিন আমরা দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছিলাম। আর সেই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে।