প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। কয়েকদিন আগে জরুরী কাজে চাষাড়া গিয়েছিলাম এবং জরুরী কাজ শেষ করে সুগন্ধা+ রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ করেছিলাম। আজকে সেই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। আমার ছেলে ওয়াফি বেশ কয়েকদিন ধরে প্রতিদিন বেশ কয়েকবার করে বমি করছে। এমনকি মেডিসিন খাওয়ার পরেও বমি করছে, তাই ডক্টর কিছু টেস্ট লিখে দিয়েছেন। সেই টেস্ট গুলো চাষাড়ার পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে করেছিলাম এবং রিপোর্ট আনতে আমি একাই সেদিন গিয়েছিলাম। তো রিপোর্ট সংগ্রহ করে মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে ডক্টর দেখাতে দেখাতে লাঞ্চের সময় হয়ে গিয়েছিল। কারণ রিপোর্ট সাথে সাথে পেলেও, ডক্টর দেখাতে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকতে হয়েছিল আমাকে। তবে রিপোর্ট আলহামদুলিল্লাহ ভালো এসেছিল এবং ডক্টর বললো আস্তে আস্তে বমির সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে।

কোলাজ মেকার অ্যাপ দিয়ে কোলাজ করা হয়েছে

যাইহোক ডক্টরকে রিপোর্ট দেখিয়ে,আমি সোজা সুগন্ধা প্লাস রেস্টুরেন্টে ঢুকে পড়লাম। বরাবরের মতো সুগন্ধা প্লাস রেস্টুরেন্টের নিচ তলায় প্রচুর ভিড় দেখতে পেলাম। তাই উপরের তলায় চলে গেলাম এবং সেখানে গিয়েও একই অবস্থা দেখতে পেলাম। তবে তখন যেহেতু প্রচন্ড ক্ষুধা পেয়েছিল,তাই ভাবলাম ফাঁকা জায়গা দেখে বসে পড়ি। তো বসার পর ওয়েটার খাবারের অর্ডার নিতে আসলো। সেদিন প্রচন্ড গরম ছিলো। তাই ভাবলাম কাচ্চি বিরিয়ানি না খেয়ে, সাদা ভাত খাওয়া যাক। কারণ প্রচন্ড গরমের সময় তৈলাক্ত খাবার খেতে ততোটা ভালো লাগে না। তো আমি সাদা ভাতের সাথে সবজি মিক্স,খাসির লেগ এবং পাতলা ডাল অর্ডার দিলাম। খাসির লেগ আমার বরাবরই খুব পছন্দ। তবে শুধুমাত্র চাষাড়ার সুগন্ধা এবং সুগন্ধা প্লাস রেস্টুরেন্টে আমি খাসির লেগ খেয়ে থাকি। কারণ বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্টে খাসির লেগ খেতে গিয়ে বাজে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলাম। যাইহোক খাবার অর্ডার দিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে লাগলাম।

যেহেতু একা গিয়েছিলাম,তাই কারো সাথে আড্ডা দেওয়ার সুযোগ ছিলো না। সাধারণত রেস্টুরেন্টে একা একা কম-ই যাওয়া হয় আমার। মিনিট দশেক অপেক্ষা করার পর ওয়েটার খাবার দিয়ে গেলো। যেহেতু পেটে ভালোই ক্ষুধা ছিলো, তাই তাড়াতাড়ি খাওয়া শুরু করলাম। যেহেতু ভাত অর্ডার দিয়েছিলাম,তাই চামচ ব্যবহার না করে,হাত দিয়ে খাওয়া শুরু করলাম। সবজির স্বাদ দারুণ ছিলো। তাছাড়া খাসির লেগের স্বাদ ছিলো এককথায় দুর্দান্ত। খাবার খাওয়ার পরে,ভাবলাম যে ডেজার্ট আইটেম ট্রাই করা যাক। আর ডেজার্ট আইটেম হিসেবে ফিরনী আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। তাই ফিরনী অর্ডার দিলাম। সুগন্ধা রেস্টুরেন্টে মাটির পাত্রে ফিরনী দেওয়া হয় এবং এই ব্যাপারটা আমার খুব ভালো লাগে। ফিরনীর টেস্ট খুব ভালো ছিলো। ফিরনী খেয়ে বিল মিটিয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে বাসায় চলে গিয়েছিলাম। বরাবরের মতো সেদিনও সুগন্ধা রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে খুব ভালো লেগেছিল। আর এই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আরও বেশি ভালো লাগছে।