প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। বেশ কয়েক মাস আগে বাসুসের একটি পাওয়ার ব্যাংক কিনেছিলাম এবং আজকে সেই অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। পাওয়ার ব্যাংক সাধারণত আমার খুব কম ইইজ করা হয়। কারণ বিদ্যুৎ চলে গেলেও বাসায় আইপিএস রয়েছে বিধায়, পাওয়ার ব্যাংক এর প্রয়োজন হয় না। তবে মাঝেমধ্যে ট্যুরে যাওয়া হয় বলে,ভাবলাম একটা পাওয়ার ব্যাংক কেনা দরকার। তো আমার এক পরিচিত ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে জানতে পারলাম, বাসুসের পাওয়ার ব্যাংক অনেক ভালো। তবে বাসুসের পাওয়ার ব্যাংক সব জায়গায় পাওয়া যায় না। তাছাড়া পরিচিত সেই ছোট ভাইয়ের মোবাইল এক্সেসরিজ এর দোকান রয়েছে। কিন্তু তার দোকানেও বাসুসের পাওয়ার ব্যাংক নেই।

তবে সে বলেছিল কয়েকদিন সময় দিলে,সে বাসুসের একটি পাওয়ার ব্যাংক ম্যানেজ করে দিতে পারবে। আমি বললাম দরকার হলে তাকে বলবো। আমার ধারণা ছিলো,বসুন্ধরা সিটি শপিংমলে গেলে অবশ্যই বাসুসের পাওয়ার ব্যাংক খুঁজে পাবো। তো ভাবলাম একদিন সময় করে বসুন্ধরা সিটি শপিংমলে যাবো বাসুসের পাওয়ার ব্যাংক কিনতে ও সেখানে একটু ঘুরাঘুরি করবো এবং ফুড কোর্টে গিয়ে ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার খাবো। কারণ বসুন্ধরা সিটি শপিংমলে ঘুরাঘুরি করতে এবং ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টের বিভিন্ন ধরনের ইন্ডিয়ান খাবার খেতে আমার খুব ভালো লাগে। যাইহোক পরবর্তীতে দারাজেও বাসুসের পাওয়ার ব্যাংক পেয়েছিলাম। কিন্তু ইলেকট্রনিক জিনিস তো,তাই দারাজের উপর ভরসা করতে পারিনি। একদিন আমার ওয়াইফ দুপুর বেলা বললো, সে কিছু কেনাকাটা করবে।

তাই এলিফ্যান্ট রোড যাবে। অর্থাৎ ইস্টার্ন মল্লিকা শপিংমলে গিয়ে কেনাকাটা করবে। তো ইস্টার্ন মল্লিকা শপিংমলে গিয়ে কেনাকাটা করার পর,ভাবলাম যে মোবাইল ফ্লোরে গিয়ে দেখি বাসুসের পাওয়ার ব্যাংক পাই কিনা। সত্যি বলতে আমি ভেবেছিলাম পাবো না। তবে একটি দোকানে গিয়ে শেষ পর্যন্ত বাসুসের পাওয়ার ব্যাংক খুঁজে পেলাম। দামাদামি করে শেষ পর্যন্ত ২,১০০ টাকা দিয়ে বাসুসের পাওয়ার ব্যাংকটা কিনলাম। বাসুসের ২০,০০০ এমএএইচ এর পাওয়ার ব্যাংকটা কিনে সত্যিই খুব ভালো লেগেছিল। যাইহোক তারপর আমরা একটা ফাস্টফুড শপে ঢুকে পিজ্জা এবং লাচ্ছি অর্ডার করেছিলাম। এরপর আমরা বাসায় চলে এসেছিলাম। তো বাসুসের পাওয়ার ব্যাংকটা ইউজ করে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। এককথায় দুর্দান্ত সার্ভিস দিচ্ছে। এতো চমৎকার অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে।