প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। কয়েকদিন আগে বন্ধুদের সাথে ভোজন বিলাস রেস্টুরেন্টে ডিনার করছিলাম এবং আজকে সেই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। ভোজন বিলাস রেস্টুরেন্ট আমাদের মদনপুরে অবস্থিত। তাই মাঝেমধ্যে ভোজন বিলাস রেস্টুরেন্টে আমাদের যাওয়া হয়। তবে ভোজন বিলাস রেস্টুরেন্টের ইন্টেরিয়র ডিজাইন তেমন সুন্দর না এবং সব খাবার খেতেও আমার ভালো লাগে না। শুধুমাত্র সেখানকার ফ্রাইড রাইস,চিকেন ফ্রাই এবং থাই স্যুপ খেতে আমার খুব ভালো লাগে।

তো সেখানে গেলে সাধারণত এই খাবারগুলো আমাদের খাওয়া হয়। যাইহোক সেদিন একটি বিশেষ কারণে আমি কয়েকজন ফ্রেন্ডকে ট্রিট দিয়েছিলাম। যদিও কথা ছিলো পরের দিন ট্রিট দিবো তাদেরকে। কিন্তু তারা রাত ৯ টার দিকে বললো ডিনার করবে ভোজন বিলাস রেস্টুরেন্টে। তাই আমি আর মানা করিনি। তো আমরা ভোজন বিলাস রেস্টুরেন্টে গিয়ে চারজনের জন্য সেট মেনু এবং আলাদা করে চিকেন কারি অর্ডার করেছিলাম। অর্ডার দেওয়ার পর আমরা আড্ডা দিতে লাগলাম এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে লাগলাম। আর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া এবং খাওয়া দাওয়া করার মজাই আলাদা। যাইহোক অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের টেবিলে খাবার চলে আসলো।

সেট মেনুর মধ্যে ফ্রাইড রাইস,চিকেন ফ্রাই এবং চাইনিজ ভেজিটেবল রয়েছে। তাছাড়া সবার জন্য আলাদা করে চিকেন কারি অর্ডার দিয়েছিলাম। তো আমরা সবাই খাওয়া শুরু করলাম এবং অল্প সময়ের মধ্যেই খাওয়া দাওয়া শেষ করে ফেলেছিলাম। তবে চিকেন কারির স্বাদ ছিলো একেবারে বাজে। তবে পেটের মধ্যে ক্ষুধা থাকলে কিন্তু সবকিছু খেতেই ভালো লাগে। খাওয়া দাওয়া শেষ হওয়ার আগেই আমি আমার বাসার জন্য সেট মেনু অর্ডার করেছিলাম। একটু পর পার্সেল রেডি করার পর,বিল দিয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম। সর্বমোট ১৫০০ টাকার মতো বিল এসেছিল। খাবারের মান মোটামুটি ভালো ছিলো। তবে বন্ধুদেরকে ট্রিট দিতে পেরে বেশ ভালো লেগেছিল। আর আপনাদের সাথে চমৎকার এই অনুভূতি শেয়ার করতে পেরে আরও বেশি ভালো লাগছে।