লাইফস্টাইল পোস্ট || শপিং করার এবং প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে মেট্রোরেলে চড়ার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। কয়েকদিন আগে আমরা ঢাকা নয়া পল্টনের পলওয়েল সুপার মার্কেট এবং গাজী ভবনে গিয়েছিলাম আমার ওয়াইফ এর জন্য জুতা কিনতে। মূলত আমরা কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়েছিলাম কিছুদিন আগে। সেই পোস্ট ইতিমধ্যেই আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। যাইহোক আমরা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে রিকশা নিয়ে, প্রথমে চলে গেলাম জুতা কিনতে, তারপর আমরা মেট্রোরেল দিয়ে ঘুরাঘুরি করলাম। তো পলওয়েল মার্কেটে কয়েকটি দোকান ঘুরে জুতা পছন্দ হয়নি আমাদের। তারপর আমরা পলওয়েল সুপার মার্কেটের একেবারে পাশে অবস্থিত গাজী ভবনে চলে গেলাম।
সেখানে প্রথমে একটি দোকানে ঢুকলাম এবং দুই জোড়া জুতা পছন্দ করলাম আমি। যদিও আমার ওয়াইফ বলেছিল এক জোড়া জুতা কিনবে,কিন্তু আমার কাছে দুই জোড়া জুতা পছন্দ হয়েছিল বিধায়, দুই জোড়া জুতা কিনলাম ২৭০০ টাকা দিয়ে। আমাদের যেহেতু প্ল্যান ছিলো জুতা কিনে তারপর মেট্রোরেল দিয়ে ঘুরাঘুরি করবো। তাই আমি আমার ওয়াইফকে বললাম, বাসা থেকে যে জুতা পড়ে গিয়েছিল, সেই জুতা ফেলে নতুন এক জোড়া জুতা পরতে। তারপর আমার ওয়াইফ এর ব্যবহৃত জুতা ফেলে দিয়ে, নতুন জুতা পড়ে আমরা দোকান থেকে বের হয়ে গেলাম। আরেক জোড়া জুতার বাক্স আমি হাতে নিলাম। কারণ দুই জোড়া জুতা নিয়ে ঘুরাঘুরি করতে ভালো লাগবে না। সেটা ভেবেই পুরনো জুতা ফেলে দিয়েছিলাম।
যাইহোক আমরা রিকশা নিয়ে মতিঝিল মেট্রোরেল স্টেশনে চলে গেলাম। তারপর সিরিয়াল ধরে টিকেট বিক্রয় মেশিন থেকে ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশন পর্যন্ত যাওয়ার জন্য দুটি টিকেট কিনলাম ৬০ টাকা দিয়ে। বাংলাদেশে এই প্রথম আমি মেট্রোরেলে চড়লাম। স্টেশনের ভিতরে একেবারে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং প্লাটফর্মও একেবারে পরিপাটি। ট্রেনের জন্য তেমন অপেক্ষা করতে হয় না। ৭/৮ মিনিট পরপরই ট্রেন আসে। যাইহোক ট্রেনে উঠার পর দেখলাম প্রচুর মানুষ। তাই সিটে বসতে পারিনি। যাইহোক দাঁড়িয়ে থাকতেও বেশ ভালো লাগছিল। মাত্র ১১ মিনিটের মধ্যেই ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশনে পৌঁছে গিয়েছিলাম। সত্যি বলতে ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশনে নামার পর এতোটা ভালো লেগেছিল, যা বলার মতো নয়।
আমার কাছে একেবারে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছিল তখন। কারণ বাসে চড়ে গুলিস্তান থেকে ফার্মগেট যেতে অনেক সময় ১.৩০/২ ঘন্টাও লেগে যায়। যাইহোক আমরা ফার্মগেটে হাঁটাহাঁটি করছিলাম, ঠিক তখন মনে হলো যে থ্রিডি আর্ট ওয়ার্ল্ডে যাবো। কিন্তু গুগলে সার্চ দিয়ে দিয়ে দেখলাম সেটা বন্ধ রয়েছে। কারণ সেদিন বুধবার ছিলো এবং বুধবার সাপ্তাহিক বন্ধ। যাইহোক এরপর আমরা চলে গেলাম সংসদ ভবন এভিনিউ অয়েস্টার রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ করার জন্য। তারপর চন্দ্রিমা উদ্যানের দিকে ঘুরাঘুরি করতে গিয়েছিলাম। সেই গল্প পরবর্তীতে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। সবমিলিয়ে সেদিন আমরা দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছিলাম।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ৯.২.২০২৪ |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন শপিং করার এবং প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে মেট্রোরেলে চড়ার অনুভূতি। আপনার শেয়ার করা পোস্টে পড়ে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আপনারা দু জোড়া জুতা কিনেছেন ২৭০০ টাকা দিয়ে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাদের কাছে ভালো লাগলেই পোস্ট করার সার্থকতা ভাই। যাইহোক পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
যানজটের শহরে কিছুটা স্বস্থি এনে দিয়েছে এই মেট্রোরেল। আমি কয়েক বার উঠেছি বেশ ভালো লাগে। মুহূর্তে নিজের গন্তব্যে পৌছানো যায় কোন যানজট ছাড়াই। যদিও পিক আওয়ারে বেশ ভীড় থাকে। তবে ভাড়াটা কিছুটা বেশি এই যা। ধন্যবাদ ঘুরে বেড়ানোর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
মেট্রোতে চলাচল করার মজাই আলাদা। বাহিরে থাকতে সবসময়ই মেট্রোতে চড়তাম। হ্যাঁ আপু ঠিক বলেছেন ভাড়া একটু বেশি। যাইহোক পোস্টটি পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
শপিং করার পর প্রথম মেট্রোরেলে চড়ার অনুভূতি উ আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে। আমিও যখন প্রথম মেট্রোরেলে উঠেছিলাম তখন আমরাও বসার জন্য সিট পাইনি। কিন্তু দাঁড়িয়ে যেতেও আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। যেখানে দূর ঘন্টার রাস্তায় দশ মিনিটে যাওয়া যায় তা থেকে তা থেকে আনন্দের আর কি হতে পারে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু মেট্রোরেলে যাত্রীদের চাপ অনেক। তাই সিট খালি পাওয়া যায় না সহজে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনি আপনার ওয়াইফ সহ জুতা কিনতে গিয়েছিলেন দেখে আমার অনেক বেশি ভালো লাগলো। জুতা কিনা শেষ করে আপনি আপনার ওয়াইফ সহ মেট্রোরেলের টিকেট কেটে মতিঝিল মেট্রোরেলে স্টেশন থেকে ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশন পর্যন্ত আসেন। অনেক ভিড়ের কারনে আপনাকে দাড়ায়ে আসতে হয়েছিল।
আসলে মেট্রোরেলে যাত্রীদের চাপ অনেক বেশি। তাই মোটামুটি সবসময়ই প্রচুর মানুষ থাকে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আমি গত কাল গিয়েছিলাম মেট্রো রেলে চড়ে মিরপুর যাবো। তবে স্টেশনে গিয়ে জানতে পারি শুক্রবারে মেট্রোরেল বন্ধ থাকে। যার ফলে আর উঠা হয়নি। আপনারা একদিনে কয়েকটা জায়গায় ঘুরেছেন,মেট্রো রেলেও চড়েছেন। এখন জিয়া উদ্যানের ফটোগ্রাফি দেখা বাকি আছে। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই প্রতি শুক্রবার মেট্রোরেল বন্ধ থাকে। আমরা সেদিন আসলেই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছিলাম। যাইহোক পোস্টটি পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।