প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। গত পরশুদিন অর্থাৎ রবিবার আমার ওয়াইফকে নিয়ে সুলতান ডাইনে লাঞ্চ করতে গিয়েছিলাম এবং আজকে সেই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। কাচ্চি বিরিয়ানি খেতে আমার বরাবরই খুব ভালো লাগে। কারণ খাসির মাংস আমার খুব পছন্দ। তবে সুলতান ডাইনের কাচ্চি মানেই স্পেশাল কিছু। তাই আমি সুযোগ পেলেই সুলতান ডাইনে যাওয়ার চেষ্টা করি। যাইহোক গত পরশুদিন ওয়াইফকে নিয়ে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়েছিলাম, কিছু টেস্ট করে রিপোর্ট নিয়ে ডক্টর দেখানোর জন্য।

আমরা সকালের নাস্তা করে ১১টার দিকে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। আগেই ফোন করে ডক্টরের সিরিয়াল দিয়ে রেখেছিলাম। তো হসপিটালে গিয়ে অনেক গুলো টেস্ট করতে করতে দুপুর তিনটা বেজে গিয়েছিল। আমাদের দু'জনের তখন প্রচন্ড ক্ষুধা পেয়েছিল। তাই ভাবলাম সুলতান ডাইনে গিয়ে লাঞ্চ করে নিবো। কারণ পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে সুলতান ডাইনে হেঁটে যাওয়া যায় একেবারে অল্প সময়ের মধ্যে। আমরা আসলে লাঞ্চ করে, টেস্টের রিপোর্ট গুলো নিয়ে ডক্টর দেখানোর প্ল্যান করেছিলাম। তাই তাড়াতাড়ি লাঞ্চ শেষ করে হসপিটালে ঢোকার প্ল্যান ছিলো আমাদের। যাইহোক সুলতান ডাইনে গিয়ে দেখি প্রচন্ড ভিড়।

অর্থাৎ বসার জন্য কোনো স্পেস ছিলো না। ওয়েটার একটা টেবিল পরিষ্কার করে আমাদের বসার ব্যবস্থা করে দিলো। তারপর মেনু দেখে আমি বাসমতী কাচ্চি অর্ডার দিলাম। বড় সাইজের একটি প্লেট অর্ডার দিয়েছিলাম,যাতে করে তৃপ্তি সহকারে খেতে পারি। ওয়েটার আগে থেকেই বললো, সেই প্লেটে ৬ পিস খাসির মাংস থাকবে এবং ভালো পরিমাণে বাসমতী রাইস থাকবে। তাছাড়া আমার জন্য জাফরানি শরবত এবং আমার ওয়াইফের জন্য বোরহানি অর্ডার দিলাম। আমরা অল্প কিছুক্ষণ বসে থাকার পর, বাসমতী কাচ্চি আমাদের টেবিলে চলে আসলো। তারপর আমরা প্লেটে নিয়ে কাচ্চি খাওয়া শুরু করলাম।

সত্যি বলতে কাচ্চি বিরিয়ানির স্বাদ এককথায় দুর্দান্ত ছিলো। তাছাড়া মাটনের সাইজ মোটামুটি ভালোই ছিলো। কিন্তু পরিমাণ এতো বেশি ছিলো যে,আমরা খেয়ে শেষ করতে পারছিলাম না। তাই অবশিষ্ট কাচ্চি পার্সেল করে নিয়েছিলাম। কাচ্চি, জাফরানি শরবত এবং বোরহানির স্বাদ বেশ ভালো ছিলো। আমরা অল্প সময়ের মধ্যে খাওয়া দাওয়া শেষ করে, বিল মিটিয়ে ওয়েটারকে টিপস দিয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম। সবমিলিয়ে বিল এসেছিল ১,০২৬ টাকা। তারপর রিপোর্ট নিয়ে, ডক্টর দেখিয়ে সন্ধ্যার পর বাসায় এসেছিলাম। যাইহোক সুলতান ডাইনে লাঞ্চ করে বেশ ভালো লেগেছিল। আর এই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আরও বেশি ভালো লাগছে।