প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। কয়েকদিন আগে বিকেলে, অনেক দিন পর একা একা একটু ঘুরাঘুরি করেছিলাম ও রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করেছিলাম এবং আজকে সেই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। আসলে ঘুরাঘুরি করতে আমার সবসময়ই খুব ভালো লাগে। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে সেটা সবসময় সম্ভব হয় না। তবুও মাঝেমধ্যে চেষ্টা করি সময় বের করে একটু ঘুরাঘুরি করার। কারণ ঘুরাঘুরি করলে মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়। তাছাড়া ঘুরাঘুরি করলে মনটা একেবারে ফ্রেশ হয়ে যায়। যাইহোক সেদিন বিকেলে একটু প্রয়োজনীয় কাজে আদমজী গিয়েছিলাম।

তো কাজ শেষ করার পর,ভাবলাম একটু ঘুরাঘুরি করা যাক। তারপর আমি চলে গেলাম ডিএনডি লেকের দিকে। কারণ লেকের পাড়ে বিকেলে ঘুরাঘুরি করার মজাই আলাদা। আদমজী ডিএনডি লেকের উপরে অনেক গুলো ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। এতে করে চারপাশের সৌন্দর্য অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষজন বিকেলে সেখানে গিয়ে দুর্দান্ত সময় কাটাতে পারে। তাছাড়া রাতের বেলা লাইটিং এর কারণে চারপাশের সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি পায়। আমি সেদিন দুটি ব্রিজের উপর উঠেছিলাম এবং ব্রিজের উপরে দাঁড়িয়ে, চারপাশের দৃশ্য দারুণভাবে উপভোগ করার চেষ্টা করেছিলাম। কয়েকটি ছেলে ব্রিজের উপর থেকে লাফ দিয়ে, লেকের পানিতে পড়ছে। সেই দৃশ্যটা দেখে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে।

কারণ ছোটবেলায় এমন দৃশ্য প্রায়ই দেখতাম। তবে আমি কখনো এভাবে উপর থেকে লাফ দিয়ে পানিতে পড়িনি। কারণ আমি সাঁতার কাটতে পারি না। তবে এই ধরনের দৃশ্য গুলো বরাবরই বেশ উপভোগ করে থাকি। লেকের পানি বেশ পরিষ্কার ছিলো এবং ছেলে গুলোর কাছ থেকে জানতে পারলাম, লেকের পানি মোটামুটি ভালোই ঠান্ডা। তাই লেকের পানিতে গোসল করতে তাদের খুব ভালো লাগছিলো। তবে দুপুর বেলা তীব্র গরমের সময় লেকের পানিতে গোসল করতে ততটা ভালো লাগে না। যাইহোক বেশ কিছুক্ষণ সেখানে সময় কাটিয়ে, ভাবলাম যে কিছু খাওয়া যাক। কারণ তখন মোটামুটি বেশ ভালোই ক্ষুধা পেয়েছিল আমার। তাই আমি চলে গিয়েছিলাম একটি রেস্টুরেন্টে। সেখানে গিয়ে চিকেন চাপ এবং লুচি অর্ডার দিলাম।

কারণ বিকেলের নাস্তায় এই ধরনের খাবার খেতে আমার খুব ভালো লাগে। যদিও তেল জাতীয় খাবার আমি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। কিন্তু সবসময় সেটা সম্ভব হয় না। কারণ মাঝেমধ্যে এমন মুখরোচক খাবার গুলো দেখলে, লোভ সামলানো যায় না। চিকেন চাপ এবং লুচির স্বাদ বেশ ভালো ছিলো। বড় সাইজের লুচি অনেক দিন পর খেয়েছিলাম সেদিন। কারণ সাধারণত ছোট সাইজের লুচি খাওয়া হয় আমার। খাওয়া দাওয়া শেষ করে, রেস্টুরেন্টের বিল মিটিয়ে বাসায় চলে এসেছিলাম। অনেকদিন পর একা একা বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম। আসলে মাঝেমধ্যে একা একা সময় কাটানো সবারই উচিত। এতে করে নিজের সাথে বোঝাপড়া করা যায়। সেদিন সবমিলিয়ে এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছিলাম।