লাইফ স্টাইল // বাজারে মরিচ বিক্রয় করতে যাওয়ার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৮-০৯-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি লাইফ স্টাইল // বাজারে মরিচ বিক্রয় করতে যাওয়ার অনুভূতি। প্রত্যেক দিনের ন্যায় আজকেও সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই বাড়ি থেকে বাইক বের করে মাংস কেনার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। মাংস কেনা শেষ করে বাড়িতে এসে আবারো মাছের খাবার দেবার উদ্দেশ্যে পুকুরের দিকে রওনা দিয়েছিলাম। মাছের খাবার দেওয়া শেষ করে বাড়িতে এসে হাতমুখ ধুয়ে নিজে হালকা একটু নাস্তা খেয়ে নিয়েছি। তারপরে ভাবলাম আজকে একটা দাওয়াত আছে যেহেতু দাওয়াত খেতে যেতে হবে তাই হয়তো সময় পাওয়া যাবে না দিনের বেলায় আর তাই এখনই একটা পোস্ট শেয়ার করি। তখনই বসে গেলাম কয়েকদিন আগে বাজারে মরিচ বিক্রয় করতে গিয়েছিলাম সেই পোস্ট লেখার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক........
আপনারা পোস্টের টাইটেল দেখে বুঝতে পারছেন আমি আজকে আপনাদের মাঝে কি বিষয়ে পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। প্রত্যেক বছর আমাদের অনেক মরিচ চাষ করে। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও অনেক মরিচ আছে আমাদের। গত কয়েকদিন আগে আমি আমার আব্বু এবং আমার কয়েকজন ছোট ভাই মিলে আমাদের জমিতে মরিচ তোলার জন্য গিয়েছিলাম। আসলে মরিচ তোলা অত্যন্ত কষ্ট । মাটিতে বসে থেকে মরিচ তোলা কি যে কষ্ট বলে বোঝানো যাবে না। তবে মরিচ বিক্রয় করে যখন টাকাগুলো হাতে পাওয়া যায় তখন কষ্টটা আর মনে হয় না। মরিচ তোলা শেষ করে আমি যখন বাড়িতে এসেছিলাম এসে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বাইক নিয়ে মরিচ বিক্রি করতে গিয়েছিলাম। মরিচের বাজারে ঢোকার পরেই আমি বেশ কিছু ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আমাদের এলাকার অনেক চাষী মরিচ তুলে ছিল বাজারে বিক্রয় করার জন্য। প্রত্যেকে অনেক সুন্দর ভাবে ভ্যান গাড়ি এবং মাথায় করে মরিচ নিয়ে বাজারে চলে এসেছে বিক্রয় করার জন্য। আপনারা ভালভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন।
আমরা যখন মরিচের বাজারের মধ্যে ঢুকেছিলাম এবং মরিচ বিক্রয় করার জন্য সেখানে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। তখনই আমাদের কাছে অনেক মরিচের ব্যাপারী এসে জিজ্ঞেস করেছিল মরিচের দাম কত নিবেন। আসলে সেই দিন বাজারে মরিচের দাম প্রায় ১৭০ টাকা কেজি। আসলে এই বছরে মরিচের দাম বেশ ভালো। এরপরে ব্যাপারীরা আমাদের প্রত্যেকের মরিচের বস্তার মুখ খুলে মরিচ দেখতে ছিল। আসলে মরিচ দেখে এখানে দাম একটু কম বেশি হতে পারে। এখানে বড় মরিচ এবং ছোট মরিচ এগুলোকে আলাদা করা হয় তারপরে মরিচগুলো দাম ফেলা হয়। আমি সেই দিন আমার মরিচের দাম পেয়েছিলাম ১৭৫ টাকা কেজি। এভাবেই প্রায় বেপারীরা প্রত্যেক চাষীর মরিচ কিনে থাকে। মরিচ বিক্রয় করতে গেলে বেশ ভালো লাগে আসলে আমাদের এলাকার পুরো চাষীরা যখন একসাথে মরিচ বিক্রয় করে টাকাগুলো হাতে পায় তখন তাদের মুখের হাসি দেখতে সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। তারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে মাঠে ফসল ফলায় এবং সেই ফসলের থেকেই তারা অল্প কিছু অর্থ উপার্জন করে। সে অর্থ দিয়ে তারা পরিবারকে সুখে রাখার জন্য সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করে।
মরিচগুলো যখন ব্যাপারীরা সব চাষীদের কাছ থেকে কিনে নিয়েছিল তখন এভাবে প্রত্যেকটা ব্যাপারী তাদের মরিচের বস্তা লোড করতেছিল। তখন আমি সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে বেশ কিছু সময় দেখেছিলাম এবং ছবিগুলো তুলেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আমি সেই দিন বাজারে মরিচ নিয়ে গিয়েছিলাম ২৮ কেজি। আপনারা ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন মরিচ কেনা শেষে প্রত্যেকটা ব্যাপারে তাদের মরিচগুলো ট্রাকে লোড দিয়ে আবারো অন্য জায়গায় নিয়ে যাচ্ছিল। আমি সেদিন মরিচ বিক্রয় করে বাজার থেকে দই মিষ্টি এবং অনেক কিছু কিনে নিয়ে এসেছিলাম বাড়িতে খাবার জন্য। আমি সেই দিন বাজারে মরিচ বিক্রয় করে মোট ৪৯০০ টাকা পেয়েছিলাম । কিন্তু সেখান থেকে আমাকে ৫০ টাকা বাজারের ট্যাক্স হিসেবে দেওয়া লাগছিল। এভাবেই প্রায় প্রতিনিয়ত আমাদের এলাকার অনেক চাষী বাজারে মরিচ বিক্রয় করে থাকে। আজকের পোস্ট লেখে এখানে শেষ করছি। আশা করি আজকের পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness

OR
x-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Congratulations, your post has been upvoted by @scilwa, which is a curating account for @R2cornell's Discord Community. We can also be found on our hive community & peakd as well as on my Discord Server
Felicitaciones, su publication ha sido votado por @scilwa. También puedo ser encontrado en nuestra comunidad de colmena y Peakd así como en mi servidor de discordia
আপনারা দেখছি বেশ ভালো পরিমাণের মরিচ চাষ করেছেন এবছর। আসলে মরিচের দাম টা আমার কাছে কেমন জানি মনে হয়। মরিচের দাম কখনো অনেক উপরে আবার কখনো কখনো অনেক নিচে নেমে যায়। আপনারা দেখছি বেশ ভালো দামে আপনাদের মরিচ গুলো বিক্রি করতে পারছেন। আপনার পোস্ট টি পড়ে বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন ভাই মরিচের দাম প্রত্যেকদিন ওঠা নামা করে কোন নির্দিষ্ট দাম থাকে না।
বাজারে তো দেখছি মরিচের দাম বেশি। ভালো দামেই আপনাদের মরিচ গুলো বিক্রি করতে পেরেছেন তাহলে। ২৮ কেজি মরিচ নিয়ে বাজারে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। সবগুলো ভালোভাবে বিক্রি করতে পেরেছেন। আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো। অনুভূতিগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার কাছে তো মনে হয় অন্যদিনের তুলনায় আজকে মরিচের দাম একটু কম ছিল। যাই হোক অনেক কষ্ট করে প্রত্যেক কৃষক মরিচ চাষ করে।
আসলে আপনি যে কম দামে মরিচ বিক্রি করলেন তা কিন্তু আমরা অনেক বেশি দামে ক্রয় করতে হয়। অর্থাৎ বাংলাদেশের শুনেছি নাকি এই দেড়শ টাকার মরিচ হাজার টাকা অব্দি কিলো বিক্রি হয়। যাইহোক আপনার মরিচ বিক্রির অভিজ্ঞতাটা জানতে পেরে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর সুন্দর কতগুলো পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে ভাই আপনাদের দেশের তুলনায় আমাদের দেশে মরিচের দাম অনেকটাই কম। ধন্যবাদ মূল্যবান মতামত শেয়ার করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
ভাইয়া আজ আপনি আপনাদের ক্ষেতের লাগানো মরিচ বিক্রি করার এক অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন পড়ে অনেক ভালো লাগলো।মরিচ বিক্রয় করে মোট ৪৯০০ টাকা পেয়েছিলেন। আর সেদিন মরিচ বিক্রয় করে বাজার থেকে দই মিষ্টি আরও কিছু কিনে নিয়ে গিয়েছিলেন বাড়িতে সবার খাবার জন্য। আর এই ধরনের অনুভূতিগুলো সবসময় আমি পড়তে ভীষণ পছন্দ করি। আপনার কথাটি ভালো লেগেছে।আপনাদের গ্রামের চাষীরা ফসল বিক্রি করার পর তাদের মুখের হাসি দেখে আপনার ভালো লাগে।
ধন্যবাদ আপু পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।
বাজারে মরিচ বিক্রয় করতে যাওয়ার সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপনি। আপনার সুন্দর এই পোস্টটা দেখে আমার খুব ভালো লাগলো। বর্তমান সময়ে মরিচের অনেক দাম। কারণ অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে মরিচ গাছ প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে। আমাদের গাছগুলো নাকি সমস্যা হয়ে গেছে। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে মরিচার কত দাম বাড়তে পারে।
ঠিক বলেছেন আপনি অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে অনেক জায়গায় মরিচ গাছ সব মারা গিয়েছে। তাই আগে তুলনায় মরিচের দাম কিছুটা হলে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই বছর বাজারে ভালোই মরিচ দেখা যাচ্ছে। চাষীরা ভালোই দাম পাচ্ছে। আপনি ১৭৫ টাকা করে বিক্রয় করেছেন। তাহলে তো ভালোই। ১৭৫ টাকার মরিচ আমাদের কাছে আসতে আসতে ২৫০ টাকা কেজি হয়ে যায়। এটার নামই বাংলাদেশ। ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাই আস্তে আস্তে দাম অনেক বৃদ্ধি পাবে।