আমার বাংলা ব্লগে সকলকে স্বাগতম
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। এখন বিভিন্ন ফলের সময়, এই সময়ে আমাদের দেশে আম জাম কাঁঠালখোলা সহ আরো অনেক কিছু পাওয়া যায়। তবে এ সমস্ত ফল যদি নিজেদের বাড়িতে থাকে এবং সেই ফল খাওয়ার অনুভূতি যদি ব্যক্ত করা যায় তাহলে কেমন হয়। হ্যাঁ বন্ধুরা ঠিক তেমনি একটা অনুভূতি নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। হয়তো টাইটেল পড়েই বুঝে গেছেন। আজকের বিষয়ে কাঁঠাল খাওয়ার অনুভূতি। তাহলে চলুন শুরু করি।

photo editing by college maker gridArt app
আমাদের একটিমাত্র কাঁঠাল গাছ রয়েছে বাড়িতে। আর সেই কাঁঠাল গাছের প্রায় 30 টার মত কাঁঠাল ধরেছিল এবার। ৩০টা কাঁঠাল কিন্তু কম নয় ত্রিশটা। পাকা খাবার রান্না খাওয়া সহ আরো থাকে। আর সেখান থেকে মনে করেন আত্মীয় স্বজনের বাড়িতেও দেওয়া যায়। বাড়ির গৃহপালিত পশুকেও খাওয়ানো হয়। আজ এক মাস আগে থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত কাঁঠাল খাওয়া চলছে গাছে এখনো রয়েছে। কাঁঠাল গাছে কাঁঠাল গুলো একটা দুইটা তিনটা করে একত্রে এভাবে ধরেছিল। আর এমন কাঁঠাল ধরার দৃশ্য দেখে খুবই ভালো লাগে। আমাদের গাছের কাঁঠাল গুলো খুবই মিষ্টি হয়ে থাকে। যেমন কাঁচা খাওয়া যায় যেমন রান্না করে খাওয়া যায় ঠিক তেমনি পাকিয়ে খাওয়া যায়। এমনকি কাঁঠালের বিচি গুলো রান্না করে খাওয়া যায়।


একটা দিন গাছ থেকে কাঁঠাল পেরে ঘরে রাখা হয়েছিল পাকা খাওয়ার উদ্দেশ্যে। গাছ থেকে পাড়ার ২-৩ দিনের মধ্যে কাঁঠালটা পেকে গেল। তবে বাড়ির লোকজন খুবই কম কাঁঠাল ভাঙতে পছন্দ করে কারণ হাতে আঠা লেগে যায়। আমি নিজেই কাঁঠালটাকে ভাঙলাম এবং কাঁঠালের সারগুলো আলাদা করে প্লেটে উঠালাম। এরপর পরিবারের লোকজনের সামনে উপস্থাপন করলাম খাওয়ার জন্য। কিছু কাঁঠাল রয়েছে ভাঙলেই বোঝা যায় মিষ্টি হবে নাকি মিষ্টি লাগবে না। তবে আলহামদুলিল্লাহ আমাদের কাঁঠাল গুলো খুবই মিষ্টি হয়ে থাকে। দেখে বুঝতে পারছেন কতটা সুন্দর সার। খেতে তেমন টেস্ট হয়। কাঁঠালের আঠা হাতে লাগে এইজন্য কেউ ভাঙতে চায় না কিন্তু ভেঙ্গে শুধু প্লেটে তুলে দেওয়া দরকার। কিছুক্ষণের মধ্যে সব শেষ হয়ে যাবে। কারণ এতটাই মিষ্টি।


আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে আমাদের কাঁঠালগুলো দীর্ঘদিন থাকে আর অনেক আগে থেকে পাকা শুরু হয়। গাছ থেকে যেমন পেকে যায় ঘরে রেখে দিলে পেকে যায়। তবে খাওয়ার জন্য গাছ থেকে পেড়ে দেখাটাই উত্তম। তবে গাছ পাকাগুলো একটু বেশি স্বাদ হয়ে থাকে। গাছ পাকা খেতে গেলে আরেকটা সমস্যা রয়েছে ভিতরে বিচিতে গাছ বের হয়ে পড়ে। আর গাছ বের হয়ে পড়লে সেগুলো খাওয়ার খুব ঝামেলা। ঘরে রেখে দেওয়া হয়েছিল ওগুলো তেমন বিচি থেকে গাছ বের হয়নি। দেখতেও তেমন সলিট আর সুস্বাদু মনে হচ্ছে।


তবে যাই হোক প্লেটে প্লেটে কাঁঠাল উঠিয়ে দেওয়ার পর সবাই একসাথে বসে খাওয়ার মজা আলাদা। প্রচন্ড গরমের দিন কাঁঠাল খাওয়া খুব ঝামেলা হয়। কিন্তু এখন বৃষ্টির দিনে এই মুহূর্তে কাঁঠাল খেতে খুবই ভালো লাগে। ঠান্ডা আবহাওয়া বেশি কাঁঠাল খাওয়া যায়। তাই আমাদের পরিবারের লোকজন স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে যখন আবহাওয়া একটু নরম হয় তখনই কাঁঠাল পেড়ে রেখে দেয় পাকানোর জন্য। এখনো ঘরে পাকানোর জন্য রয়েছে। কারণ এখন ঠান্ডা আবহাওয়া বেশ পাঁচ সাত দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। গরমের দিন খেলে গ্যাস বাড়ে পেটের সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই আমার থেকে সবার জন্য পরামর্শ থাকবে আপনারা পাকা কাঁঠাল খেতে চাইলে ঠান্ডার দিন খাওয়ার চেষ্টা করবেন দেখবেন শরীর সুস্থ থাকবে ভালো থাকবে এবং তৃপ্তি সহকারে খেতে পারবেন।



পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।


বর্তমান আম এবং কাঁঠালের সিজন চলতেছে। আমাদের ও বাসায় বেশ কয়েকটি কাঠাল গাছ রয়েছে। এবছর মোটামুটি ভালোই কাঠাল খাওয়া হয়েছে। তবে কাঠাল কিনে খাওয়ার থেকে নিজের গাছের কাঠাল খাওয়ার মজা একটু আলাদা। আপনি দেখছি আজকে আমাদের মাঝে আপনাদের গাছের কাঠাল খাওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।আর আপনার গাছের কাঁঠাল গুলো দেখে মনে হচ্ছে একটু টেস্টিকর ছিল।
একদম ঠিক বলেছেন।
৩০ টা হলে তো ভালোই কাঁঠাল ধরেছে একটা গাছে। নিজেদের গাছের পাকা কাঁঠাল খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। যদিও কাঁঠাল খেতে তেমন একটা ভালো লাগে না আমার কাছে তবে এরকম কিছুটা নরম হলে খেতে ভালো লাগে। সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু অনেকগুলো এবং মোটা মোটা।
নিজ গাছের পাকা কাঁঠাল খাওয়ার মজাই আলাদা। পাকা কাঁঠাল খেতে আমি নিজেও খুব পছন্দ করি। তবে আপনাদের একটি গাছের মধ্যে যদি ত্রিশটি কাঁঠাল ধরে তাহলে তো অনেকটি কাঁঠাল ধরেছে। তবে আমার হাজবেন্ডের বাড়িতে গাছের মধ্যে অনেক কাঁঠাল ধরে। আত্মীয়-স্বজনকে দেওয়া হয় এবং নিজেও খাওয়া হয়। তবে এটি ঠিক বলেছেন কাঁঠাল ভাঙতে অনেকে পছন্দ করেনা আটার কারণে। যাই হোক কাঁঠাল খাওয়ার অনুভূতি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ঠিক বলেছেন আপু। হ্যাঁ এটাই বড় সমস্যা আটার জন্য অনেকেই ভাঙতে রাজি হয় না।
নিজের গাছের কাঁঠাল খাওয়ার আনন্দ সত্যি অনেক বেশি। আমরা সবাই কাঁঠাল খেতে পছন্দ করি। নিজের গাছের কাঁঠাল খাওয়ার আনন্দ অনেক বেশি। আর আপু আপনি এত সুন্দর করে নিজের অনুভূতি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে খুবই ভালো লেগেছে আমার।
আপনি কিন্তু ঠিক বলেছেন আপু।
আসলে নিজের গাছের ফল খাওয়ার অনুভূতি বেশ দারুন হয়ে থাকে। আপনি নিজের গাছের কাঁঠাল খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করেছেন। কাঁঠাল খেতে আমিও পছন্দ করি। আপনার অনুভূতি পড়ে বেশ ভালো লাগলো । ৩০ টা কাঁঠাল ধরেছে গাছে বেশ ভালো হলো। নিজ গাছের পাকা কাঁঠাল খাওয়ার মজাই আলাদা হয়ে থাকে। পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
হ্যাঁ ভাই অনেকগুলো কাঁঠাল ধরেছে।
নিজের গাছের কোন কিছু খাওয়ার আনন্দটা সব সবসময় একটু বেশি থাকে। যখন আমরা নিজের গাছের কোন ফল খাই তখন খুবই ভালো লাগে। আপনি নিজের গাছের কাঁঠাল খাওয়ার অনুভূতি গুলো খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন আপু। আপনার অনুভূতিগুলো পড়ে খুবই ভালো লাগলো। দুর্দান্তভাবে অনুভূতিগুলো শেয়ার করেছেন।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য
এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।